২০০৭ সালের এই মামলায় বিচার শুরু হয় পাঁচ বছর আগে।
Published : 14 May 2023, 08:38 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) রহিমা খাতুন গত ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেছিলেন।
ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালতে রোববারও সাক্ষ্য দেন তিনি। তবে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ১ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান দুদকের জ্যেষ্ঠ আাইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
সাবেক সংসদ সদস্য ফালুর বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই।
মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুদকের তখনকার কর্মকর্তা রহিমা। মামলায় ফালুর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছিল।
তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী মামলা বাতিলে হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচার আটকে ছিল।
পরে হাই কোর্ট ফালুর আবেদন খারিজ করে দিলেও তার স্ত্রীর আবেদন গ্রহণ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
এতে বিচারিক আদালতে মামলার বিচারের পথ খোলে। ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট ফালুকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয় আদালতে।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস পেয়ে ২০০৭ সালের ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তা নিয়ে তদন্তে তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক।