সবমিলিয়ে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ এ।
Published : 17 Sep 2024, 04:32 PM
জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক এই দলটি তাদের প্রত্যাশিত ‘মাথাল’ প্রতীক পেয়েছে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন করেছে। দলটির প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে ‘মাথাল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।”
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর দলটির নিবন্ধনের বিষয়ে কারো আপত্তি রয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আপত্তি না পাওয়ায় মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে নিবন্ধন সনদ তুলে দেওয়া হয়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন, যাতে প্রতীক হিসেবে ‘মাথাল’ চাওয়া হয়। তবে নিবন্ধন না দেওয়ায় একপর্যায়ে বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
দলটির আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সম্প্রতি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে ৩০ দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
“কিন্তু তারা দীর্ঘ সময় এটা বাস্তবায়ন না করায় আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করি। এরপর তারা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে রায় স্থগিত করা হয়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তাদের আপিল আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়।”
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) এবং মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্যকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধন পাওয়ায় নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮ এ।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৩টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।