চীনা ঋণে এখন পাকিস্তান দেউলিয়া

আলোচনায় আবারও পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করছেন, তারা দেউলিয়া। কেন পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অবস্থা?- এ প্রশ্নের উত্তরে লেখক বলতে চাচ্ছেন- শ্রীলংকার মতোই চীনের ফাঁদে পড়ে।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকশামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
Published : 22 Feb 2023, 03:53 PM
Updated : 22 Feb 2023, 03:53 PM

পাকিস্তানের দুটি সংবাদ আবারো গণমাধ্যমের শীর্ষে স্থান পেয়েছে। এর একটি একান্তই বাংলাদেশের বিষয়, যা বাংলার মানুষের মনোজগতে যন্ত্রণার কারণ ঘটিয়েছে, আর অন্যটি গোটা বিশ্বে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী।

বাংলাদেশের মানুষের জন্য অতীব বিরক্তিকর কথাগুলো সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খা শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের কাছে  অত্যন্ত নির্লজ্জ ভাষায় ব্যক্ত করেছেন । অন্য যে খবরটি সমগ্র বিশ্বের মানুষের ভাবনার জগতকে নাড়া দিচ্ছে সেটি হলো পাকিস্তানের দেউলিয়াত্ব। পাকিস্তানের প্রখ্যাত ডন পত্রিকার খবর অনুযায়ী গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি সিয়ালকোট শহরে একটি কলেজে ভাষণদানকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পাকিস্তান এরই মধ্যে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে, অর্থাৎ দেশটির দেউলিয়া হতে আর বাকি নেই। তার উক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়, কারণ দেশটি এরই মধ্যে দেউলিয়া হয়েই পড়েছে। তিনি আরো বলেছেন, “আমরা দেউলিয়া দেশে বাস করছি।”

সবশেষ খবর অনুযায়ী পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, যা দিয়ে দেশটি বিদেশ থেকে তিন সপ্তাহের বেশি পণ্য আমদানি করতে পারবে না। জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি। গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পেট্রোল ডিজেল কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখে এক বছর আগে দেখতে পাওয়া শ্রীলংকার চিত্রপটের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। গ্যাসের সিলিন্ডারের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় তারা এখন প্লাস্টিকের ব্যাগে গ্যাস ভরছে, যা খুবই বিপজ্জনক।

গমসহ সকল খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বহু গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ অর্ধাহারে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কর্মসংস্থানের অভাবে আম-জনতা ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছে। যাদের পক্ষে দেশ ছাড়া সম্ভব তারা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। জ্বালানি তেলের জন্য অতীতের ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ায় সেগুলো পূর্ণিমার চাঁদের মতোই ঝলসানো রুটির মতো দেখাচ্ছে। এক মন্ত্রী জনগণকে চা খাওয়া বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন এই বলে যে, চা কিনতে যে ডলার প্রয়োজন পাকিস্তানে তা নেই। বিদ্যুৎ ব্যবহারে চলছে কঠিন নিয়ন্ত্রণ, এমনকি হাসপাতালগুলোতেও। ওষুধের প্রাপ্যতা এবং মূল্য নাগালের বাইরে।

পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য অচিন্তনীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই বলেছেন এ পরিস্থিতি স্বপ্নের বাইরে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কর্তৃক ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ভ্রমণের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিদেশি মুদ্রার অপচয় রোধকল্পে। ঠিক শ্রীলংকার অবস্থারই পুনরাবৃত্তি। পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের কর্তা ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে সেখানকার এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা লিখেছে- পাকিস্তান অতীতে বিদেশ থেকে অকাতরে যে ঋণ নিয়েছে তা পরিশোধ করার কারণেই তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে পৌঁছেছে।

পাকিস্তানের খ্যাতনামা ডন পত্রিকাও জানিয়েছে আগামী এক বছরে দুই হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে দেশটি দেউলিয়া তকমা এড়াতে পারবে না। আগামী সাড়ে তিন বছরে আট হাজার কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে। যে সব দেশ থেকে অকাতরে ঋণ নিয়ে পাকিস্তান জর্জরিত, তার শীর্ষে রয়েছে চীন, ঠিক শ্রীলঙ্কায় যা হয়েছে।

চীন ছাড়াও রয়েছে সৌদি আরব এবং আমিরাত। মূলত চীনের ঋণ শোধ করার চাপে পড়েই পাকিস্তান সৌদি ঋণ নিয়েছে, যার জন্য এমনকি ইসলামাবাদের বৃহত্তম পার্কটি ইজারা দিতে হয়েছে। পাকিস্তান ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ পড়ে তার দেশে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্প নির্মাণ ব্যয় করার জন্য, যেটি চীনের সুচতুর এবং দুরভিসন্ধিমূলক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের অংশ, বিবেচনাহীন গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের মতোই ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে চীনা ঋণ গ্রহণ করতে থাকে।

আর চীনও পাকিস্তানকে উৎসাহিত করেছে অধিক ঋণ নিতে। চীন একই পন্থা শ্রীলংকা এবং অন্যান্য দেশেও প্রয়োগ করেছে। অথচ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের জন্য যত না হিতকর তার চেয়ে অনেক বেশি সুফলদায়ক চীনের জন্য। ১৫ বছর মেয়াদী ৩০০০ কিলোমিটারের এই প্রকল্পের অধীনে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন, গিলগিট-বালতিস্তান থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ এক মহা সড়কের শেষ প্রান্তে রয়েছে বেলুচিস্তানের গোয়াদর সমুদ্র বন্দর। এর ফলে চীন সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য পণ্য গোয়াদর বন্দর হয়ে বিদেশে পাঠাতে পারবে অতি সহজে এবং দ্রুততার সাথে। এটি না হলে চীনকে মালামাল পাঠাতে হতো মালাক্কা প্রণালী হয়ে, যার জন্য একদিকে যেমন অনেক বেশি সময়ক্ষেপন হতো, অন্যদিকে বিশেষ পরিস্থিতিতে কেউ মালাক্কা প্রণালীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে চীনা দ্রব্যাদি পাঠানো বন্ধ হয়ে যেতো।

এরই মধ্যে শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরের মতো গোয়াদর অঞ্চলের বেশ কিছু ভূমি দীর্ঘমেয়াদী দখলে নিয়েছে চীন, যার জন্য বেলুচ জনগণ ক্ষিপ্ত। এই প্রকল্পের কথা ভেবে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পাকিস্তানের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৫১টি সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন করেন,  ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের কথা মাথায় রেখে। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের জন্য চীন থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে যেহেতু চীনের সাথে সকল দেশের সকল চুক্তির একটি শর্ত থাকে এই যে- চুক্তির বিস্তারিত কখনো প্রকাশ করা যাবে না, তাই পাকিস্তান চীন থেকে এই প্রকল্পের জন্য আসলে কত টাকা ঋণ নিয়েছে, তা গোপন রয়েছে।

বাংলাদেশে চীন সরবরাহকৃত কোভিডের টিকার মূল্যের কথা জনৈক সরকারি কর্মকর্তা উল্লেখ করে ফেলার পর চীন ক্ষেপে গিয়ে তার কঠোর সমালোচনা করে বলেছিল এর দ্বারা বাংলাদেশ চুক্তি ভঙ্গ করেছে। পাকিস্তান কেন্দ্রিয় ব্যাংকের গভর্নর আশরাফ মাহমুদ খোলামেলাই বলেছেন, পাকিস্তান চীন থেকে এই প্রকল্পের জন্য কত ডলার ঋণ নিয়েছে তা তার জানা নেই। পাকিস্তানের গোটা বিদেশি ঋণের ৩০ শতাংশ নেওয়া হয়েছে চীন থেকে। চীন এই প্রকল্পের অধিক সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও, সে দেশটি পাকিস্তানের উপরেই শুধু ঋণের কঠিন বোঝা চাপিয়ে দেয়নি, বরং সেই ঋণ শোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

পাকিস্তান ঋণ পরিশোধের জন্য নুতন সময় সীমা নির্ধারণের অনুরোধ করলেও চীন তা প্রত্যাখ্যান করেছে এই ধারণা নিয়ে যে, ঋণ শোধ করার মতো অবস্থায় পাকিস্তান নেই। অথচ চীনা ঋণের ফাঁদে পড়েই পাকিস্তানের এই দুর্দশা। চীনের এ ধরনের কার্যকলাপ এটি প্রমাণ করছে যে, বন্ধু হিসেবে চীন মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। শ্রীলংকা, জিবুতি, কম্বোডিয়া, কেনিয়া এবং মালদ্বীপেও চীন একই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধকালেও চীন পাকিস্তানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এই অর্থে যে, সে বহু আশ্বাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধে নামেনি, যে আশার মরীচিকা পাকিস্তানকে প্রতারিত করেছিল। একাত্তর সালে পাকিস্তানের প্রতি চীনের বিশ্বাসঘাতকতা অবশ্য আমাদের জন্য ছিল স্বর্গীয় আশীর্বাদসম।

এই মহাসংকট থেকে উত্তরণের জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দ্বারস্ত হওয়ার পর সংস্থার শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সাথে  ১০ দিনব্যাপী আলোচনার জন্য সম্প্রতি পাকিস্তানে এসেছিলেন। কিন্তু আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল যে সব শর্ত আরোপ করেছে সেগুলো মানা হলে পাকিস্তান আরও বেশি বিপর্যস্ত হবে। এসব শর্তের অন্যতম হচ্ছে- জ্বালানির উপর থেকে ভর্তুকি তুলে দেওয়া, যা করলে জ্বালানি মূল্য এতোটাই বেড়ে যাবে যে জ্বালানি কেনা বামুনের চাঁদ ধরার মতোই দিবাস্বপ্নে পরিণত হবে। আরেকটি শর্ত হচ্ছে, আয়কর বাড়িয়ে দেয়ার।

অথচ উক্ত তহবিলের সহায়তা ছাড়া পাকিস্তানের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। পাকিস্তানের কয়েকজন মন্ত্রী এবং তাদের সেনা প্রধান মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি প্রাচুর্যশীল দেশে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে গমন করেও তেমন আশাব্যঞ্জক ফল লাভ করতে পারেননি। চরম আর্থিক সংকটের পাশাপাশি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং পাখতুন এলাকায় চলছে সে সব অঞ্চলের লোকদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। এক কথায় পাকিস্তান রয়েছে চরম নাভিশ্বাসের মধ্যে।  

দেউলিয়াত্বের প্রান্তে আসা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রস্তাব দিলে ড. মোমেন পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। জবাবে হিনা রাব্বানি বলেছেন, এটি করার ব্যাপারে তাদের “অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে”।

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দাবিকে আমরা পুরোপুরি প্রশংসনীয় বলতে পারি না। কারণ শুধু ক্ষমা চাইলেই পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না, আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যে ক্ষতিপূরণ প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানিকে দিতে হয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলোকে। তাছাড়া পাকিস্তানকে অবশ্যই তাদের সে সব সৈনিক এবং সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে, যারা বাংলাদেশে গণহত্যা, গণধর্ষণসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিল।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যকৃত বিভাগের প্রধান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের নিয়মিত লেখক মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নিল) সম্প্রতি এ বিষয়টির উপর একটি গবেষণাধর্মী এবং প্রশংসনীয় নিবন্ধন লিখেছেন। এটি কারো অজানা নেই যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকায় তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। এ ব্যাপারে তারা ধর্মান্ধ জঙ্গিদের অর্থ সাহায্যসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে, যার জন্য অতীতে কয়েকজন পাকিস্তানি কূটনীতিক হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন, ধরা পড়েছিলেন পিআইএ-র কর্মকর্তার মুখোশপরা জনৈক আইএসআই কর্মকর্তা। ২০০১ সালে আমাদের নির্বাচনের সময় পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা যে বাংলাদেশে তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলটিকে প্রচুর অর্থ দিয়েছিল, সে কথা সংস্থাটির প্রধান সে দেশের আদালতেই স্বীকার করেছেন। সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলে পাকিস্তানকে এই ব্যাপারে অবশ্যই মুচলেকা দিতে হবে যে, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা পরিহার করবে, আমাদের দেশের রাজনীতিতে নাক গলাবে না।