বাংলা নববর্ষ- বাঙালির জাতীয় উৎসব

এম আর খায়রুল উমামএম আর খায়রুল উমাম
Published : 14 April 2021, 04:43 PM
Updated : 14 April 2021, 04:43 PM

বারো মাসে তের পার্বণ উদযাপনের জাতি বাঙালি। যদিও এ জাতির যাপিত জীবন প্রাচুর্যে ভরপুর ছিল তা বলা যাবে না। বরং কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত বাংলার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নীচেই বসবাস করতো। দু বেলা দু মুঠো অন্নের সংস্থানে উদয়াস্ত পরিশ্রমেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। এমন কঠিন জীবনের শ্বাসরূদ্ধকর চাপ থেকে মুক্তি পেতে, শত অভাব অনটনের মধ্যেও বাঙালি অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে থেকেছে একটা পার্বণের জন্য। জীবনের কঠিনতম সংগ্রামের বিপরীতে আনন্দ উৎসবকে বিলাসিতা মনে হলেও সমস্যাক্লিষ্ট জীবনের কথা ভুলে হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠার পার্বণগুলোতে মানুষ আগামীর প্রাণশক্তি সঞ্চয়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। এক একটা উৎসব যেন গ্রীস্মের খরতাপদহের পর সুশীতল বারিধারার ন্যায়। উৎসবের ক্ষণস্থায়ী আনন্দ বাঙালির সংগ্রামী জীবনকে স্নিগ্ধ ও সজীব করে দিয়েছে। 

যদিও আমাদের দেশে অনেকক্ষেত্রে উৎসব বলতে ধর্মীয় উৎসবই প্রাধান্য পেয়ে এসেছে কিন্তু আজো বাঙালি মুক্তির আনন্দ খোঁজে তার সর্বজনীন সামাজিক উৎসব আর পার্বণগুলোতে। আজ আমরা স্বাধীন। নিজেদের সংস্কৃতি চর্চার জন্য আজ আমাদের কারও অনুমতির অপেক্ষা করতে হয় না। কোনো বহিরাগত সংস্কৃতি পালনের বাধ্যবাধকতার আর চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয় না। আর তাই বাঙালি আজ তাদের সাংস্কৃতিক চেতনার গভীরতা প্রকাশের পরিবেশ ও মানসিকতায় বাংলা নববর্ষকে পরিণত করতে পেরেছে তার জাতীয় উৎসবে। 

বাঙালি জাতির জীবনে বাংলা নববর্ষ অন্যতম অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব। এক সময় গ্রাম বাংলার সাধারণ দরিদ্র পরিবারগুলো নিজেদের তিল তিল করে জমিয়ে রাখা অর্থ দিয়ে সবাইকে নিয়ে এ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতো। দিনে দিনে গ্রামের দরিদ্র মানুষের এ উৎসব শহর কেন্দ্রিক হয়ে বিত্তবানদের উৎসবে রূপান্তর হয়ে গিয়েছে। এই একটা দিন গ্রাম-শহর, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে মনোনিবেশ করে। গভীর তৃপ্তি আর সন্তোষের অনুভূতি নিয়ে পরষ্পরের হাতে হাত রাখে, গেয়ে ওঠে গান, আনন্দোৎসব, আড্ডা কিংবা আলোচনায় মত্ত হয়, ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাকের সমারোহে একান্ত নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশে অবগাহন করে। এ যেন বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনার নিত্য নব দিগন্তের উন্মোচন। রমনার বটমূলে বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের অংশ হিসেবে ছোট্ট সাধারণ আয়োজনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যে নব দিগন্তের সূচনা তা আজ শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই। আজ তা সারাদেশের, সারা বাংলার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার উৎসব। এককালে যা গ্রামবাংলার শান্ত পরিবেশে সীমিত ছিল তা আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব। 

মোঘল বাদশা আকবর তার শাসনামলে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা আনার জন্য নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। আকবরের সময়কালে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এরপরের দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ভূমিমালিকরা নিজ নিজ এলাকার সকল মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনে উৎসব পালন করতো। যদিও এই দিনটার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস। তারপরও গ্রামবাংলার জনমানুষের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল এ আনন্দ পার্বণ। আর ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গ্রামবাংলার সাথে শহুরে বাঙালিও বাংলা নববর্ষকে তাঁর একান্ত নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ করে নিয়েছে। যা আজ জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাঙালির নববর্ষ উদযাপনের আয়োজনে নবতম সংযোজন। অশুভের বিনাশ কামনা করে সত্য ও সুন্দরের জন্য প্রার্থনা। বাঙালির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চেতনার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাজানো। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশজ সংস্কৃতি। নানা ধরনের মুখোশ, প্রতিকৃতিতে শৈল্পিক প্রতিবাদ। প্রাণের টানে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সারাদেশে অন্ধকার দূর করে আলোতে ভরিয়ে তোলার প্রয়াস। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি জানানোর পর মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে নববর্ষ আবাহনের অবশ্য পালনীয় অনুষঙ্গ। 

ইউনেস্কোর মতে, মঙ্গল শোভাযাত্রা অশুভকে দূর করা সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক। এর মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয়। বাঙালির উৎসবগুলো মূলত পরিবার বা গোষ্ঠীকেন্দ্রিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধভাবে পালন করা হতো। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ প্রথম জাতীয় উৎসবে রুপ নিয়েছে। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী প্রাণের টানে লক্ষ কোটি বাঙালিকে ঘর থেকে বের করে এনে উৎসবের আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে। এ তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বের কাছে পৌছে দেবে। পাশাপাশি লোকজ সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ লাভ করবে দেশে এবং বাঙালির মধ্যে।  বোমা মেরে এ উৎসব বন্ধ করা যাচ্ছে না, সরকার নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কিছু ধর্মান্ধ ধর্মের বর্মে একে আটকানোর চেষ্টা করেছে এবং করছে। কিন্তু এ ধর্মান্ধতার কাছে আমরা জিম্মি থাকতে পারি না। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়- "তবু বেয়ে তরী/সব ঠেলে হতে হবে পার,/কানে নিয়ে নিখিলের হাহাকার/শিরে লয়ে উন্মুক্ত দুর্দিন/চিত্তে নিয়ে আশা অন্তহীন/… রাখো নিন্দাবাণী রাখো আপন /সাধু অভিমান- শুধু এক মনে হও পার এ প্রলয়-পারাপার/নতুন সৃষ্টির উপকূলে/নতুন বিজয় ধ্বজা তুলে।"

বাঙালি জীবনে এমন আরো জাতীয় উৎসব পাওয়ার কথা ছিল। অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসকে আজ পর্যন্ত জাতীয় উৎসবে রূপ দিতে পারিনি আমরা। বাংলাদেশের জনগণ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার পরও আমাদের রাজনীতি আজও ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য বা জনগণের ঐক্য স্থাপনে ব্যর্থ। নানাধরনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত মানুষগুলো নানামুখী উসকানিমূলক কথা বলে পরিস্থিতিকে প্রতিনিয়ত আরো জটিল ও সংকটাপন্ন করে তুলেছে। ন্যূনতম পারষ্পরিক সহিষ্ণুতার মনোভাব নেই, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মনোভাব নেই। সর্বত্র চরম অসহিষ্ণুতা বিরাজমান। পরষ্পরকে চিরকালের জন্য শেষ করে দেওয়ার বিধ্বংসী যুদ্ধ চলমান। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়েও  ভিন্নতা ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার বিরোধী। সর্বক্ষেত্রে চলমান এ  বিরোধিতা মৌলবাদকে সামনে নিয়ে আসতে সহায়ক। বিচারপ্রবণ মন নিয়ে পুরা ব্যপারটা ভেবে দেখা প্রয়োজন। 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নানা ধারায় বিভক্ত যা জনগণের মধ্যে বিভক্তি বাড়িয়েই চলেছে। বাংলাদেশে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের দ্রুত প্রসার ঘটছে আমলা, সেনা আমলা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী তথা দেশের এলিট শ্রেণির সিংহভাগ মানুষ ইংরেজি মিডিয়ামের ধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ইংরেজি ভক্তরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সবকিছুর উপর নিজেদের নিরংকুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে বসে আছে। অথচ এ ধারার পাঠ্যসূচিতে বাংলাদেশ নেই বললেই চলে। এ ধারার অনুসারীরা বিশ্বায়ন নিয়ে যতটা উৎসাহী ততটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদাসীন। বিকাশমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একই পথে চলার চেষ্টা করছে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে না তুলে জাতীয় ঐক্য ভেঙ্গে ফেলার শিক্ষা ব্যবস্থা আত্মঘাতী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ এতটা আপসকামী হয় কিভাবে?

বাংলাদেশের জনগণকে তার নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে মিশ্র বা শংকর বলা হয়ে থাকে। মানবজাতির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রধাণত আফ্রিকার মানুষ কালো, জাপান-চীন-কোরিয়া অঞ্চলের মানুষ প্রধাণত হলদে এবং ইউরোপের মানুষ প্রধানত সাদা। এ তিনরকমের মানুষের নানারকম মিশ্রণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। বাঙালি কোনো ব্যতিক্রম নয়। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মধ্যে এ মিশ্রতা বিদ্যমান। কেউই রক্তের বিশুদ্ধতা দাবি করতে পারে না। ভাবনার আগেই এ মিশ্রণ ঘটে গিয়েছে। জাতিভেদ বা ছোটবড় এসবের প্রভাব মানবজাতির নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে খুঁজে না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে সত্যিকার অর্থে কোনো পার্থক্য নেই। আর এখান থেকেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে পারে। জীবনের নান্দনিক বিকাশে, মানুষের প্রাণের যে তাগিদ, সে তাগিদই বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিক চেতনার নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে। বিশ্বাস করি, আমাদের কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগী হলেই আমাদের জীবনে সত্যিকার আরো জাতীয় উৎসব পাওয়া যাবে। জাতীয় জীবনে ঐক্য সৃষ্টির জন্য আজ নববর্ষের মতো বেশি বেশি জাতীয় উৎসব প্রয়োজন। 

বাঙালি দুই-আড়াই হাজার বছরের মধ্যে স্বাধীন ছিলনা। বিদেশি শাসিত বা বিজাতি শাসিত ছিল। বিভিন্ন রাজা ছিল, বিভিন্ন রাজ্য ছিল, বিভিন্ন রাজবংশ ছিল। জনসাধারণের আনুগত্যও ছিল বিভিন্ন রাজায় ও বিভিন্ন সংস্কৃতিতে। সংহতিবোধ ছিল না, জাতীয়তাবোধ ছিল না, জাতীয় চেতনা থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং সমাজে নানারকম ভেদাভেদ ছিল। ধর্মবেদ ছিল, জাতিভেদ ছিল, অধিকারভেদ ছিল। হয়তো সে কারণেই দেখা যায় পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ পরাজিত হওয়ার পরদিন সকালে সে এলাকারই বাঙালি কৃষকরা নির্বিকারভাবে শস্যক্ষেত্রে কৃষিকাজ করে যাচ্ছে। কারণ এটা ছিল সেই কৃষকদের চোখে দুই বিদেশি শক্তির মধ্যে ক্ষমতার লড়াই। রাজা কখনই তার নিজের হয়নি। আপন হয়নি সমাজের সুউচ্চ আসনে থাকা মানুষগুলো। পলাশীর যুদ্ধ সাধারণের কাছে তাই রাজায়-রাজায় যুদ্ধ। বহু চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ১৯৪৭ সালের প্রথম স্বাধীনতাও বাঙালিকে মুক্ত করতে পারেনি। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি প্রথম বারের মতো ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত, স্বাধীনতার মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হলো এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতিকে মুক্ত করার জন্য জীবনবাজি রেখে রচনা করলো ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়।

১৯৭১-এ বাঙালি স্বপ্ন দেখেছিল স্বজাতির শাসনে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী জীবন গড়ে তোলার। আজ স্বপ্নের সফলতা বিচারে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য, আইনশৃংখলার অবনতি, নিরাপত্তার অভাব, বেকার সমস্যা, সমাজের সর্বস্তরে দুর্ণীতির অবাধ প্রসার জনমনে হতাশার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এই নৈরাশ্য কাটাতে জাতীয় ঐকমত্য ও প্রেরণা প্রয়োজন। জীবনে নতুনকে আবাহন এবং নতুন চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। আর বাঙালিকে তার সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে, ঐক্যবদ্ধ করতে, সম্মিলিত প্রাণের আবেগ সৃষ্টি করতে আসে বৈশাখ, নববর্ষ। পুরাতন সকল গ্লানিকে দূর করে নবজীবনের আলোয় উদ্ভাসিত করবার উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি আশানুরূপ বিস্তার ও বিকাশে সহায়ক হোক, প্রেরণার উৎস হোক, গৌরবময় চালিকাশক্তি হোক, ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হোক। এসো হে বৈশাখ…