মুক্তিযুদ্ধ এবং একজন জ্যোতিঃপাল মহাথেরো

জাতিসংঘের তদানীন্তন মহাসচিব উ থান্ট এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকসহ পৃথিবীর সকল দেশের বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের আঞ্চলিক শাখা ও বৌদ্ধ সমিতিগুলোর কাছে বাংলাদেশে পাকিস্তানি গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ সৃষ্টির আবেদনপত্র পাঠান জ্যোতিঃপাল মহাথেরো।

প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুপ্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু
Published : 31 March 2023, 10:03 AM
Updated : 31 March 2023, 10:03 AM

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবাই অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেননি। কেউ কলম হাতে, কেউ কেউ মেধা-মননশীলতা খাটিয়ে, কেউবা আবার গানে গানে বা তুলির আঁচড়ে জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন। জ্যোতিঃপাল মহাথেরোও সম্মুখসমরের যোদ্ধা নন। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ওই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক ও ২০১১ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জীবদ্দশায় তাঁর সান্নিধ্যলাভের সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল। জীবনের প্রান্ত সীমানায় উপনীত হওয়ার পরও তাঁর সারগর্ভ, তথ্যবহুল ঐতিহাসিক বক্তব্য এবং বাচনভঙ্গি ছিল অন্তরছোঁয়া।

ব্রিটিশ শাসনামলে তদানীন্তন ত্রিপুরা বা বর্তমান কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন কেমতলী গ্রামে ১৯১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন দ্বারিকা মোহন সিংহ নামে এক শিশু। এই অঞ্চলের বৌদ্ধদের পারিবারিক উপাধি হলো ‘সিংহ’। ১৯৩৩ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি আগারিক জীবন থেকে অনাগারিক জীবনে প্রবেশ করেন। তাঁর নাম রাখা হয় জ্যোতিঃপাল শ্রামণ। পরে তিনি ১৯৩৮ সালে ১৪ জুলাই শুভ উপসম্পদা লাভ করে জ্যোতিঃপাল ভিক্ষু নাম ধারণ করেন। বৌদ্ধ ধর্মের ওপর তাঁর উচ্চতর শিক্ষা ছিল।

তিনি ভারতের কলকাতা নালন্দা বিদ্যাভবন থেকে ত্রিপিটক বিশারদ উপাধি এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতার সংস্কৃত ও পালি বোর্ড আয়োজিত অভিধর্ম উপাধি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। আনুষ্ঠানিক উচ্চতর শিক্ষা লাভ না করলেও ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশিকা শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছান।

মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত বাংলাদেশের বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ছিলেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বৃহত্তর সাংঘিক সংগঠন সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার দশম সংঘরাজ ছিলেন তিনি। বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার পাশাপাশি তাঁর আরও অনেক পরিচয় আছে। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী, গবেষক, লেখক, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব, সমাজ সংস্কারক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।

কুমিল্লার অনগ্রসর ও পশ্চাদপদ মানুষের জন্য তিনি আজীবন কাজ করে গিয়েছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রামে ৭টি বৌদ্ধ বিহার স্থাপন করেছেন। ১৯৪২ সালে লাকসামে একটি অনাথালয় স্থাপন করেন। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে গরীব ছাত্র ও অনাথদের শিক্ষা ও বাসস্থানের জন্য তিনি এই অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

‘কর্মতত্ত্ব’, ‘ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের উত্থান-পতন’, ‘চর্যাপদ’, ‘রবীন্দ্র সাহিত্যে বৌদ্ধ সাহিত্য’, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম’, ‘পালি বাংলা অভিধান’সহ বেশকিছু গ্রন্থের সম্পাদনা তাঁর গভীর পাণ্ডিত্যের পরিচয় বহন করে। তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মধ্যে ‘চর্যাপদ’সহ কয়েকটি বই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগে পাঠ্যপুস্তকরূপে পঠিত হয়ে আসছে।

জ্যোতিঃপাল মহাথেরোর কর্ম প্রতিভা একসময় দেশের মাটিকে ছাপিয়ে যায়। তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। ১৯৯৫ সালে বিশ্বশান্তি মানবতা ও নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে অমূল্য অবদানের জন্য তাঁকে ‘বিশ্ব নাগরিক’ উপাধি দেয় জাতিসংঘ। ১৯৭৫ সালে তিনি এশীয় বৌদ্ধ শান্তি সংস্থার বাংলাদেশ জাতীয় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত হিতোশি বার্ষিকী ও মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোরে অনুষ্ঠিত সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশীয় বৌদ্ধ শান্তি সংস্থা মঙ্গোলিয়া হতে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়।

তাঁর গৌরবোজ্জ্বল সাংঘিক জীবনের এক অসাধারণ সংযোজন হলো নিখুঁত দেশপ্রেম। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে জ্যোতিঃপাল মহাথেরোর অনন্য ভূমিকা ছিল। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের নেতৃবৃন্দ জহুর আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ আলী আহসান, এইচ টি ইমাম, আকবর আলী খান প্রমুখের সাথে তাঁর যোগাযোগ হয়। তাঁদের সাথে আলোচনার পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বিশ্ব বৌদ্ধদের তথা বিশ্ববাসীর মধ্যে জনমত গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাক সামরিক বাহিনীর গণহত্যা, নির্যাতন বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি অপরিহার্য। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী সহযোগীদের পরামর্শ নিয়ে বাংলাদেশে পাকবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ সম্বলিত প্রচারপত্র তৈরি করেন।

জাতিসংঘের তদানীন্তন মহাসচিব উ থান্ট এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকসহ পৃথিবীর সকল দেশের বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের আঞ্চলিক শাখা ও বৌদ্ধ সমিতিগুলোর কাছে বাংলাদেশে পাকিস্তানি গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ সৃষ্টির আবেদনপত্র পাঠান। এদিকে মুজিবনগর সরকার এবং ভারত এশীয় বৌদ্ধ দেশগুলোতে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত পূর্বাঞ্চলিক মিশনের অন্যতম কর্মকর্তা এইচ টি ইমামকে টেলিগ্রামে জানানো হয়। ওই টেলিগ্রামে জ্যোতিঃপাল মহাথেরো এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানরাজা মংপ্রুসেইন চৌধুরীকে মুজিবনগরে পাঠানোর কথা বলা হয়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্যোতিঃপাল মহাথেরো মুজিবনগরে আসেন। সেখানে হাইকমিশনার আলী হোসেন, আবদুল করিম চৌধুরী প্রমুখ তাঁকে বিদেশ গমনের উদ্দেশ্য এবং করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা দেন। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি আগরতলা থেকে কলকাতা এবং পরে নয়াদিল্লি যান।

নয়াদিল্লিতে জগৎজ্যোতি বিহারের অধ্যক্ষ ভারতীয় রাজ্যসভার সদস্য ধর্মবীরিয় ভিক্ষুর সহায়তায় ভারতের বৌদ্ধ নেতা এবং সংসদ সদস্যদের সাথে দেখা করেন। ২৯ জুলাই তিনি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করে বাঙালি জনগণ এবং বৌদ্ধদের ওপর চলমান বর্বরতার বর্ণনা দেন। ৭ অগাস্ট অ্যাডভোকেট ফকির শাহাবুদ্দিনসহ তিনি যাত্রা করেন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে।

উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের স্থলপথ ও আকাশপথ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন ছিল। শুধু কলম্বো বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে উড়োজাহাজ চলাচলের সুবিধা ছিল। তাঁরা শ্রীলঙ্কাকে বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, পাকিস্তানি উড়োজাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে সৈন্য (৫০০ করে) এবং অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা পাকিস্তানি বাহিনীর জন্য শ্রীলঙ্কার আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পাঁচ মন্ত্রীর সাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের কাছে পেশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন থেকে পাকিস্তানি বিমানের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে পাকিস্তানের যুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি সেনাদের রসদ, গোলাবারুদ ও অস্ত্র সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর তিনি এবং শাহাবউদ্দিন সাহেব ১১ অগাস্ট থাইল্যান্ড, ১৬ অগাস্ট জাপানে গিয়ে একই আহ্বান জানান। পরে ২২ অগাস্ট জ্যোতিঃপাল মহাথেরো হংকং হয়ে নয়াদিল্লি প্রত্যাবর্তন করেন এবং শাহাবউদ্দিন সাহেব হংকং থেকে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পরিভ্রমণ করে দিল্লি ফিরে আসেন। ১৮ ও ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত প্রতিনিধি হিসেবে জ্যোতিঃপাল মহাথেরো অংশগ্রহণ করেন।

ওই সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. এ আর মল্লিক ও সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন অন্যতম প্রতিনিধি। সম্মেলনে ৩১টি দেশের প্রতিনিধি যোগদান করেছিলেন। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তা ছিলেন ড. এ আর মল্লিক। তিনি তাঁর দীর্ঘ এক ঘণ্টার বক্তব্যে বাংলাদেশে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেন। তাঁর ভাষণের পর পাকিস্তান সরকারের প্রতি উপস্থিত প্রতিনিধিরা নিন্দা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেন। এ সম্মেলনে যোগদানকারী বৌদ্ধ প্রতিনিধিদের জ্যোতিঃপাল মহাথেরো দিল্লির জগৎজ্যোতি বিহারে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যান এবং সেখানে তিনি এ দেশের মানুষের ওপর পাকবাহিনীর অত্যাচারের বিবরণ বিশদভাবে তুলে ধরেন। জ্যোতিঃপাল মহাথেরো সম্পর্কে কুমিল্লার প্রাক্তন সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার লিখেছেন, ‘আমি জানি যে, একমাত্র জ্যোতিঃপাল মহাথেরো ব্যতীত বাংলাদেশের অন্য কোনো ধর্ম সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বতন ধর্ম-যাজক বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করে সহযোগিতা করেননি। কিন্তু তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’

কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. জহিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে উচ্চ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সংগঠক রূপে সহযোগিতা করেছেন কুমিল্লা নিবাসী মাননীয় জ্যোতিঃপাল মহাথেরো।’

জ্যোতিঃপাল মহাথেরো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে পরিপূর্ণভাবে সফল হয়েছিলেন। বিশেষ করে বৌদ্ধ রাষ্ট্রগুলোকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ সাধনপীঠ কুমিল্লা প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১০ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় আসেন।

১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি সদ্য কারামুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। জ্যোতিঃপাল মহাথেরো তাঁর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে প্রণীত ‘বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রামে’ গ্রন্থে (১৯৭৭) লিখেছেন, ‘আমি যখন বঙ্গবন্ধুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম তখন আমার এক পার্শ্বে বঙ্গবন্ধুর তদানীন্তন প্রেস সেক্রেটারি জনাব আমিনুল হক বাদশা এবং আরেক পার্শ্বে মুজিবনগরের পরিচিত এক বন্ধু। জনাব বাদশা বঙ্গবন্ধুর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং বাংলাদেশে আন্দোলনে আমার ভূমিকা সর্ম্পকে বলতে আরম্ভ করলেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আমিও তাকে জড়িয়ে ধরলাম এবং বললাম, না, আমি বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারিনি। তবে দেশ বিদেশে গিয়ে মানুষের কাছে বাংলাদেশের জন্য কেঁদেছি। তিনি আমার কথা শুনে খুব আনন্দ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেন।’

দেশপ্রেমিক জ্যোতিঃপাল মহাথেরোর বর্ণাঢ্য জীবন প্রদীপ নিভে যায় ৯২ বছর বয়সে ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল। অবাক হয়ে লক্ষ্য করেলাম, ওই অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে অসংখ্য নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক-সেবিকার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।