Published : 27 Aug 2020, 12:03 PM
কোভিড-১৯ ঠেকানো নিয়ে সারা বিশ্বে অস্থির একটা পরিবেশ বিরাজ করছে। ঔষধ আবিষ্কারের আশা আপাতত ফিঁকে হলেও ভ্যাকসিনের শিখা জ্বল জ্বল করছে। সারা বিশ্বে দুশোটির মতো ভ্যাকসিন তৈরির এই প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যে সু-খবর আসা শুরু করেছে।
মানুষ মরার এই মিছিল ঠেকাতে গবেষকরা রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতায় বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আর সেখানের সফলতায় হতে পারে চূড়ান্ত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত নিউজ আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে যেভাবে কাভারেজ দেয়া হয়, তা বিশ্বের খুব কম দেশেই হয়। পাঠকদের আগ্রহ তাই ভ্যাকসিনকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। আমরা মনে করছি, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে বুঝি আমরা পেতে শুরু করব।
গত ১১ অগাস্ট রাশিয়া বিশ্বে প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমতি দিয়েছে বলে দেশটির এক বিবৃতিতে (সূত্র-১) দাবি করা হচ্ছে। গামেলিয়া জাতীয় এপিডোমওলজি ও মাইক্রোবায়োলজি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত স্ফুটসিক-পাঁচ ভ্যাকসিনটি SARS-CoV-2 বিরুদ্ধে মানবদেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করছে বলে বলা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের এই বিবৃতিতে গামেলিয়া গবেষণা কেন্দ্র থেকে মার্স ও ইবোলার বিরুদ্ধে কার্যকরি আরও একটি ভ্যাকসিন তৈরির সফলতার কথা জানানো হয়। ক্লিনিক্যাল টায়ালের অংশ হিসেবে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে গামেলিয়ার তৈরিকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতায় সফল বলেও তারা দাবি করছে।
প্রেসিডেন্টের ওই বিবৃতিতে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, "I know this very well, too, because one of my daughters has got this vaccination. I think that in this sense she has taken part in the experiment. After the first shot, she had a fever of 38 degrees, but the next day it went down to just over 37, and that was it." অর্থ্যাৎ ভ্যাকসিনটি নেয়ার পর পুতিনের মেয়ে জ্বরাক্রান্ত হলেও তা পরে সেরে গেছে। সাধারণত যেকোনো ভ্যাকসিন নেয়ার পর প্রি-ক্লিনিক্যাল উপসর্গ হিসেবে জ্বর, মাথাব্যথার তথ্য পাওয়া যায়।
তবে ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারের ঘোষণা বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। গবেষণার নানা দিক নিয়ে ইতোমধ্যে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার ও সায়েন্সে আলোচিত হচ্ছে। কোনো ধরনের তথ্য-উপাত্ত গবেষণাপত্রে কিংবা বিজ্ঞানী মহলে উপস্থাপন না করে, সরাসরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া শুধু হতবাকই করেনি, এর ভবিষ্যত ব্যবহার নিয়ে শংকা তৈরি করছে।
একটি ভ্যাকসিন যে তিনটি ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা দাবি করতে পারে সেটি মানবদেহের জন্য উপযুক্ত কি না। তবে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গত ১৭ জুন ফেইজ ১-২ এর জন্য ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিন নেয়ার তথ্য দেয়া থাকলেও এর বাইরে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি (সূত্র-২)। এরপরও রাশিয়ার ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতোমধ্যে বেলারুশসহ ২০টি রাষ্ট্র ধর্ণা দিয়েছে।
রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিতর্কের মধ্যে তৃতীয় ধাপে থাকা ছয়টি ভ্যাকসিন যে সম্ভাব্য সফল হওয়ার পথে রয়েছে সেই সব ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ধনী রাষ্ট্রগুলো চুক্তি করা শুরু করেছে। জাপান ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০০ মিলিয়ন, ফাইজারের কাছ থেকে ১২০ মিলিয়ন, নোভাভাক্সের কাছ থেকে ২৫০ মিলয়ন ডোজ কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি জাপানের দাইচি সানকিও লিমিটেড, দাইচি সাংকিও বায়োটেক কোম্পানি, মেইজি সেইকা ফার্মা কোম্পানি এবং কেএম বায়োলজিকস কোম্পানি সরবরাহ করবে বলা হচ্ছে (সূত্র-৩)।
শুধু জাপান নয় ফাইজারের ভ্যাকসিনটি পেতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় রাষ্ট্র চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাজ্য তার প্রতিটি নাগরিকের জন্য কমপক্ষে ৩৪০ মিলিয়ন ডোজ কিনেছে, যুক্তরাষ্ট্র কিনেছে ৮০০ মিলিয়ন ডোজ। পিছিয়ে নেই মধ্যম আয়ের দেশগুলোও। তারাও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে। ৭৮০ কোটি মানুষের জন্য কোভিডের ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে অন্তত কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নরওয়ে এবং ভারত, বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ওয়েলকাম ট্রাস্ট দ্বারা গঠিত কোয়ালিশন ফর এডেমিওন প্রিপারডনেস ইনোভেশনস (সিপিআই) এর টিকা অ্যালায়েন্স (গাভি) সংস্থাটির সাথে অংশীদারিত্বে ডজনখানেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ কেনার কথা জানিয়েছে (সূত্র-৪)।
তবে এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা পৌঁছানোর জন্য নোভাভাক্স ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তবে তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এই টিকা প্রস্তুত করবেন বলে বলা হচ্ছে। যদিও ব্রাজিল ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডোজ কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বিশ্বের এই ভ্যাকসিন কেনাবেচায় যখন রাষ্ট্রগুলো প্রতিযোগিতায় নেমেছে তখন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের তৈরিকৃত ডোজের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। নেচারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২.৪ বিলিয়ন, নোভাভাক্স ১.৩৫ বিলিয়ন, ফাইজার ১.৩ বিলিয়ন, মর্ডানা ০.৯৫ বিলিয়ন, জনসন অ্যান্ড জনসন ১.১ বিলিয়ন, সানোফি ১.৬ বিলিয়ন, সিনোভ্যাক ৩৫০ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করবে (সূত্র-৫)।
ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতার জন্য অন্তত দুই বা ততোধিক ডোজ নেয়া লাগবে। সেই হিসেবে আমরা যদি ভ্যাকসিন ২০২১ সালে পেতে শুরু করি, তাহলে এই লক্ষ্যমাত্রায় যেতে ২০২২ সাল লেগে যেতে পারে। আর ধনী রাষ্ট্রগুলো যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে সেগুলো প্রস্তুত করতেই ২০২১ পার হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহলে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে যে পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যা বাস করছে, তাদের জন্য ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা কিছুটা হলেও ধোঁয়াশার মধ্যে থাকবে।
কোয়ালিশন ফর এডেমিওন প্রিপারডনেস ইনোভেশনস (সিপিআই) এর টিকা অ্যালায়েন্স (গাভি) এর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী তারা ২ বিলিয়ন ডোজ টিকার মধ্যে ৯২টি গরীব রাষ্ট্রর জন্য ১ বিলিয়ন আর ৭৫টি ধনী রাষ্ট্রের জন্য ১ বিলিয়ন ডোজ টিকার অর্ডার নিশ্চিত করেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে যাদের টাকা আছে তারা নিজেরাই কিনে রাখছে, এরপরও গাভি সংস্থা তাদের জন্য বরাদ্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বলার আর অপেক্ষা রাখে না কোভিড-১৯ টিকা গরীব রাষ্ট্রগুলো পেতে আরো সময় লাগবে। কোভিডের এই টিকা যদি প্রতিটি নাগরিককে দিতে হয়, তাহলে এই পৃথিবীর মানুষের টিকা দেয়া সম্পন্ন হতে পারে ২০২২ এর শেষ নাগাদ। আর যদি তালিকায় থাকা এই ছয়টি ভ্যাকসিনের মধ্যে কার্যকারিতায় ২/৩টি ভ্যাকসিন টিকে যায়, তাহলে এই প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে আরও বিলম্বিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভ্যাকসিনগুলো তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু রাষ্ট্র উৎসাহ প্রকাশ করেছে। অনেক কোম্পানি ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন উদ্ভাবকদের কোম্পানির সাথে চুক্তিও করেছে। সেই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ বিলিয়ন, যুক্তরাজ্য ১.৫ বিলিয়ন, ভারত ১.৩ বিলিয়ন, নরওয়ে ১ বিলিয়ন, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স ১ বিলিয়ন ডোজ তৈরি করে দেবে।
উৎপাদনের এই সূচকে দামের যে পার্থক্য থাকবে সেটিও ভ্যাকসিন প্রাপত্যার অন্যতম মানদণ্ড হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য প্রতি ডোজে ৪ ডলার আর মর্ডানার টিকার প্রতিটি ডোজের জন্য ২৫ ডলার ব্যয় করছে। তবে জাপান প্রতি ডোজের জন্য কত টাকা খরচ করেছে তা প্রকাশ করেনি। জাপানের মতো অন্যন্য রাষ্ট্রও কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তির অর্থ লেনদেনের বিষয়ে মুখ খোলেনি।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাসের জন্য সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনগুলো প্রথম দিকে ধনী রাষ্ট্রগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকবে। তবে হিউম্যানিটির হিসেব কষে, গরীব রাষ্ট্রগুলোর জন্য কিছু বরাদ্দ থাকলেও সেগুলো দিয়ে রাষ্ট্রগুলো তার নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে হয় না। আর যদি রাষ্ট্রগুলো মনে করে, ভ্যাকসিন নিজের দেশেই উৎপাদন করবে, তাহলে সেটির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আর সর্বত্র উৎপাদনের জন্য আদৌও ভ্যাকসিনের মূল কোম্পানিগুলোর অনুমতি মিলবে কি না তা নিয়ে সংশয়ও থাকবে।
মোদ্দা কথা, গরীব রাষ্ট্রগুলোতে কোভিড আক্রান্ত হবে বেশি, মরবে বেশি, এমনকি ভ্যাকসিনও পাবে শেষে।
সম্প্রতি ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা বলেছে। আমি জানি না, কূটনৈতিক এই দোলাচল কোন দিকে মোড় নেবে, তবে ভারতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ বিলিয়ন আর নোভাভাক্সের ০.৩ বিলিয়নের মত যে ডোজ উৎপাদিত হবে, তা দিয়ে সেই দেশটিই নিজের চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাবে বৈকি।
চীনের ভ্যাকসিন পাওয়ার যে সম্ভবনার দুয়ার বাংলাদেশ দেখছে, সেটিও প্রথম কারা পাবে তা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে। চীনের সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাগার হিসেবে ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়াকে বেঁছে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের ভ্যাকসিন এই দুই রাষ্ট্র পাওয়ার জন্য তৎপর।
আমরা জানি না, বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন কেনার কোনো সিদ্ধান্ত মাথায় রেখেছে কি না, তবে ১৭ কোটি মানুষের জন্য ৩৪ কোটি ডোজ বাংলাদেশ সরকারকে সংগ্রহ করতে বেশ বেগ পেতে হবে। ২০২১ সালের শুরুতে আমরা যদি ভ্যাকসিন পাওয়া শুরু করি, তাহলেও অন্তত বছর লেগে যাবে। আর এই জন্য সরকারের উচিত হবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি করা। কেবল চীন কিংবা ভারতের সম্পর্কের ওপর দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পাওয়া দুষ্কর হবে। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোও ভ্যাকসিন কিনেছে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের দেশ ভ্যাকসিন উৎপাদনের একটা ক্ষেত্রও হতে পারে। কম পারিশ্রমিকে ভ্যাকসিন তৈরির পথ সুগম করতে পারে সরকার। আর সেজন্য ভ্যাকসিনগুলোর প্রস্তুতকারকদের আকর্ষণ করা জরুরি।
কোভিড-১৯ এর ঔষধ আপাতত নেই। ভ্যাকসিনেই সমাধান দেখছে গোটা বিশ্ব। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ অনেকটা স্টেডি অবস্থানে রয়েছে। আমরা যদি ধনী ও গরীব রাষ্ট্রের পরিসংখ্যান না দেখে ভ্যাকসিনের সুষম বন্টনের ব্যবস্থা করতে পারতাম, তাহলে হয়তো পরিত্রাণ মিলত। আর যদি এই ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূ-রাজনীতি জড়িয়ে পড়ে তাহলে তো ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক দেশকেই ভুগতে হবে। বিশ্ব রাজনীতিতে মোড়লদের ঘাড়ত্যাড়ামী হয়তো গরীব রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি পীড়া দেবে। প্রাণসংহারের মিছিলও দীর্ঘ হতে পারে। ভ্যাকসিনের প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। রাষ্ট্রের বিপরীত রাজনীতির কারণে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। একাডেমিক বিতর্ক শুরু হতে পারে। যেমনটা রাশিয়ার স্ফুটিনিকের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়েছে।
আমরা চাই না, পৃথিবীর এই সংকটময় পরিস্থিতে বিশ্ব রাজনীতির বলি হোক লাখো প্রাণ। আমরা দেখতে চাই না, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ধনী-গরীব রাষ্ট্রের মধ্যে ফাঁরাক। মানবতাকে বাঁচিয়ে ভ্যাকসিন হোক সাদা-কালো, ধনী-গরীব সবার। কেউ বাঁচবে, কেউ মরবে, কারও অর্থনীতি মচকাবে আবার কারও ফুলবে এমনটা দেখতে চাই না। মানবিক এই বিপর্যয়ে কোভিড-১৯ টিকা হোক সবার।
তথ্যকণিকা
সূত্র-১ : http://en.kremlin.ru/events/president/news/63877
সূত্র-২ : https://clinicaltrials.gov/ct2/show/NCT04437875?term=GAMALEYA+RESEARCH+INSTITUTE&draw=2&rank=10
সূত্র-৩-https://www.japantimes.co.jp/news/2020/08/26/world/science-health-world/developing-countries-coronavirus-vaccines/#.X0YUdH7ivIU
সূত্র-৪ https://www.scmp.com/news/world/united-states-canada/article/3096986/coronavirus-vaccine-pre-orders-top-5-billion
সূত্র-৫ https://www.nature.com/articles/d41586-020-02450-x