Published : 02 Mar 2016, 09:21 AM
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সারাদেশে উৎসবের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ৬ ধাপে ৪ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচন হবে বলে কিছুটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
দলীয় মনোনয়নে ও প্রতীকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হওয়াটা ভালো হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, আমাদের দেশের রাজনীতি যেভাবে বিদ্বেষ-বিভেদপ্রবণ ও সংঘাতময় হয়ে উঠেছে তাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়েও বিদ্বেষ-বিভেদ-সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
আবার কেউ-বা মনে করছেন, নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে আমাদের দেশে কোনো নির্বাচনই এখন আর দলীয় ছাতার বাইরে হয় না। দলের শক্তি-সমর্থন নিয়েই প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে নামেন। এখন কোনো রাখঢাক না রেখে দলীয় প্রতীকে এবং দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন হওয়ায় সবার জন্যই সুবিধা হবে।
অবশ্য ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে আগের মতোই নির্দলীয় ভিত্তিতে এই নির্বাচন হবে। নির্দলীয় বলা হলেও কার্যত কোনোটাই এখন আর দলমুক্ত হয় না। নির্দলীয় বলে যারা প্রার্থী হন, তাদেরও একটা রাজনৈতিক পরিচয় থাকে। একেবারেই দলনিরপেক্ষ মানুষেরা এখন আর নির্বাচনমুখী হন বলে মনে হয় না।
২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর সব দলেই প্রার্থী-সংকট দেখা গেছে। জাতীয় পার্টি তো মাত্র ১৪৮টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগে প্রতি ইউনিয়নেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সরকারদলীয় প্রার্থী হলেই জয় নিশ্চিত– এই ধারণা থেকেই সম্ভবত প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডকে।
প্রার্থী মনোনয়ন কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে এক ধরনের সাজ সাজ রব পড়েছে। মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য নানা উপায়ে চেষ্টা-তদবির করেছেন। যারা সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি। তবে যারা দলীয় মনোনয়ন পাননি অথচ নিজেদের জনপ্রিয় ও যোগ্য বলে মনে করেন তাদের কেউ কেউ 'বিদ্রোহী' (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী আছে। তাছাড়া আর কোনো দল সব ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারেনি। ১১৪টি ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। বাধার মুখে বাগেরহাট, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মাদারীপুর, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় বিএনপি-প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-বঞ্চিত নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীরাও কোনো কোনো জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারদলীয় লোকজনের বাধা ও হুমকির মুখে তাদের অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আবার তুচ্ছ অজুহাতে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা কয়েক জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন।
ফলে প্রাথমিকভাবে ৫১টি ইউনিয়ন পরিষদে মাত্র ১ জন করে প্রার্থী আছেন এবং তারা সবাই আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে ২৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ের পথে। বাকি ২৬টিতে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন। আদালত তাদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর তা না হলে এই ৫১টি ইউনিয়নেই সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় 'নির্বাচিত' হবেন।
এটা একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। ইতোপূর্বে আমাদের দেশে আর কখনও এত বেশি সংখ্যক ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনেই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ওটা ছিল একটি বিশেষ অবস্থা। এখন এটাই কি নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত ২৩৩টি পৌরসভার নির্বাচনেও বেশ কয়েক জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এভাবে নির্বাচিত সবাই আওয়ামী লীগ অর্থাৎ সরকারদলীয়। বিরোধী দলের কারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। সরকারদলীয় প্রার্থীদের ঝাঁকে ঝাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা কেউ ভালো চোখে দেখছেন না। এটা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে সে ব্যাপারে আগে থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছে বিএনপি। তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে যে বাধা দেওয়া হবে সে আশঙ্কাও আগে থেকেই ব্যক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসন বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। বরং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এই বলে দায় এড়িয়েছেন যে, কেউ যদি মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন তাহলে নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে!
একমাত্র বাগেরহাট জেলাতেই ১৯ জন সরকারদলীয় প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। এটা সবার কাছেই অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যাওয়ার কথা, সেখানে ১৯টি ইউনিয়নে একজনের বেশি প্রার্থী নেই– একে কীভাবে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায়?
নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখার স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বিষয়টি তদন্ত করে দেখা। বাগেরহাটে বিশেষ কী পরিস্থিতি তৈরি হল, যার জন্য ১৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মাত্র একজন করে প্রার্থীই মনোনয়নপত্র জমা দিলেন? তদন্ত করে যদি দেখা যায়, ওই সব জায়গায় অস্বাভাবিকতা আছে তাহলে নির্বাচন স্থগিত করা উচিত। এটা করলে নির্বাচন কমিশন প্রশংসিত হত। কিন্তু কমিশন সম্ভবত তাদের শক্ত অবস্থান দেখানোর চাইতে বিতর্কিত-সমালোচিত হওয়াটাই পছন্দ করছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আরেকটি দখলবাজির মডেল বানাতে চায়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন যমজ ভাইয়ের মতো একযোগে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে বিএনপি মনোনীত যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে। তা না হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
রিজভীর অভিযোগে কিছুটা বাড়াবাড়ি হয়তো আছে, কিন্তু তা একেবারে অসত্য বলে অনেকেই মনে করছেন না। বিএনপির অভিযোগগুলো ঢালাও এবং তথ্যনির্ভর না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এগুলো গায়ে মাখছে না। তবে বিএনপির উচিত কেবল ঢালাও অভিযোগ উত্থাপন না করে তথ্য প্রমাণসহ নির্বাচন কমিশনে যাওয়া।
আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা এটা বলছেন যে, তৃণমূলে সারাদেশেই বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল। প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পায়নি বলেই অনেক জায়গায় তাদের প্রার্থী নেই। তাছাড়া পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেও অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন।
গত কয়েক বছর ধরে ভুল রাজনৈতিক কৌশল ও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার আশ্রয় নেওয়ায় বিএনপি এখন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে কিছুটা নাজুক বা বেকায়দায় আছে, এটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো অবস্থা বিএনপির নেই সেটা খুব বিশ্বাসযোগ্য কি?
গত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি খুব খারাপ ফল করেছে। মাত্র ২৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপি-প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। কিন্তু যেসব জায়গায় ভোটাররা বিনা বাধায় ভোট দিতে পেরেছেন সেসব জায়গায় বিএনপি-প্রার্থীরা ভালো ভোটই পেয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ যদি একতরফা জয়লাভের পথ বেছে নেয় তাহলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েই মানুষের মধ্যে নতুন করে অনাস্থা তৈরি হবে। মানুষ যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস-সহিংসতা সমর্থন করে না, তেমনি তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়াও পছন্দ করে না। সে জন্যই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানুষ যাতে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন সেটা যে কোনোভাবেই নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম দফা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি বাধা বা হুমকি দেওয়াও হয়ে থাকে, পরবর্তী পর্যায়ে যেন তার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। কমিশনকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি যথেষ্ট ঝামেলায় আছে। আওয়ামী লীগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নেই তাদের প্রার্থী সংখ্যা একাধিক। সবাই মনে করেন দল মনোনয়ন দিলে এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেই তার বিজয় ঠেকায় কে? সেজন্য একক প্রার্থী মনোনয়ন সহজ ছিল না।
৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪১২টিতেই আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী রয়েছেন। কোনো কোনো জায়গায় দুই থেকে পাঁচজন প্রার্থী 'বিদ্রোহী' প্রার্থী থাকার কথা গণমাধ্যমে এসেছে। দলের পক্ষ থেকে এদের বসে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতে কতটা ফল পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নয়।
প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের নানা অভিযোগ, অসন্তোষ আছে। টাকার খেলা, মনোনয়ন বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগও বাদ নেই। তৃণমূল থেকে যে প্রার্থীর পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রে এসে তা বদলে গেছে– এমনও শোনা যাচ্ছে।
কিছু কিছু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের নিষ্ঠাবান, ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে নবাগত ও সুবিধাবাদীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলেই এই ক্ষোভ। কয়েকটি ইউনিয়নে রাজাকার-পুত্র কিংবা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করতেন এমন কয়েক জন মনোনয়ন পেয়েছেন বলেও সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়েছে। এসব অভিযোগের সত্যতা আছে কিনা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উদ্ধৃত করেই আজকের লেখাটি শেষ করতে চাই। ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে মেনন বলেছেন, 'ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমার দলের লোকদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে। এটা আমি জানি। এই নির্বাচন যদি যথাযথভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী। কিন্তু তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারছে না। পৌরসভার ভোটেও আগের রাতে বাক্স ভরে রাখা, জাল ভোট প্রদান এবং কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছিল। ইউপি নির্বাচনে এই অবস্থা হলে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষ আস্থা হারাবে। তখন কোনো নির্বাচনই মানুষ আর বিশ্বাস করবে না।'