Published : 27 Sep 2015, 02:22 PM
তারেক রহমান কেন দেশে ফিরে বিপন্ন বিএনপির পাশে দাঁড়াচ্ছেন না সে বিষয়ে দলটির যে কোনো স্তরের নেতা বা একনিষ্ঠ কর্মীকে জিজ্ঞেস করলে, তার উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের মস্তিকে একটি বিশেষ ধরনের কৃত্রিম প্রোগ্রাম সন্নিবেশ করা আছে, বাই ডিফল্ট। প্রথমত, তারা বলেন, তারেক লন্ডনে স্পাইনাল কর্ডের চিকিৎসা নিচ্ছেন। উত্তরদানকারী প্রশ্নকারীর সহানুভূতি পাওয়ার জন্য সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার উপর যে অত্যাচার করা হয়েছে সাধারণত সেটির বরাত দিয়ে থাকেন। দ্বিতীয়ত, তাদের বক্তব্য, অবৈধভাবে নির্বাচিত বর্তমান সরকারের সময় তার দেশে আসা ঠিক হবে না। তাহলে সরকার তাকে জেলে ঢুকিয়ে দিবে।
তারেক অসুস্থ ছিলেন এতে সন্দেহ নেই। তবে এখন যদি তিনি সুস্থ না হয়ে থাকেন তাহলে কীভাবে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরব পর্যন্ত দীর্ঘ বিমানপথ ভ্রমণ করছেন? লন্ডনে জামায়াতের প্রেসক্রিপশানে কীভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকেন এবং ইতিহাস বিকৃত করে নিজেকে আলোচনায় রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেন?
তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দলটির দ্বিতীয় প্রভাবশালী নেতা। দেশের জনগণের বড় যে কথিত অংশটি জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী, সেটি তাকে দেশের নির্বাহী প্রধান হিসেবে স্বপ্ন দেখে। ফলে তার সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য জানার অধিকার সবার রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি তিনি সুস্থ না হয়ে থাকেন, তাহলে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণমত মান দিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যৌক্তিক। প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই মা হিসেবে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে আসা উচিত। তা না করে তিনি নিজেই গেলেন সে দেশে চিকিৎসা নিতে, সেটিও প্রশ্ন জাগায় বৈকি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার মধ্যে পায়ের ব্যথাটি গুরুতর। কিন্তু তিনি চোখের তীব্র সমস্যায় ভুগছেন তেমনটি অশ্রুত। পায়ের ব্যথার জন্য তিনি বহুবার দেশের বাইরে গিয়েছেন। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে। সৌদি আরবেও গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তবে সিঙ্গাপুর ছাড়া চিকিৎসার জন্য যেখানেই গিয়েছেন তিনি, সেখানেই মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি।
জনগণকে এক ধরনের তথ্য দিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে অন্য বিষয়ে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, বিশেষ করে বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা অস্থিতিশীল করে দেওয়ার পরিকল্পনার নাম ষড়যন্ত্রই হওয়া উচিত। সেটা বলা হচ্ছে এ জন্য যে, অতীতে বিএনপি যখনই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, ততবারই খামখেয়ালিপূর্ণভাবে তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
খালেদা জিয়া চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে থাকলে সেটি নিয়ে এত লুকোচুরি কেন তাও একটি প্রশ্ন। বিষয়গুলি নিয়ে তাঁর ঢাকাস্থ অফিস, এমনকি লন্ডনে বিএনপির নেতাদের কেউ গণমাধ্যমকে কিছু জানাননি। তিনি কোথায় আছেন এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল তথ্য কারও কাছে নেই। তবে শোনা যাচ্ছে, তিনি তারেকের বাসায় রয়েছেন। এমন অবস্থায়, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরটি যে চিকিৎসার নামে মা-ছেলের একান্ত রাজনৈতিক পরামর্শ, তা স্পষ্টত বুঝা যায়।
বিএনপি যে তাদের নেত্রীর সফর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি, তার কিছু প্রমাণ তাঁর সফরসঙ্গী নির্বাচন পদ্ধতিতে পাওয়া যায়। যারা ঢাকা থেকেই তাঁর সফরসঙ্গী হলেন, তাদের মধ্যে তাবিথ আউয়াল ও উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অন্যতম। এই গ্রুপের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা, উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু খালেদা জিয়া লন্ডনে পৌঁছার তিন দিন আগেই ব্যাংকক থেকে লন্ডনে গিয়েছেন। চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দিল্লি থেকে লন্ডনে যাওয়ার কথা। টুকুর উপস্থিতি কিন্তু অন্য একটি ডাইমেনশানের নিয়ামক।
নেতাদের আরেক গ্রুপের খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করার কথা। দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এ গ্রুপের নেতাদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। এ গ্রুপে রয়েছেন সংস্কারপন্থী ও তারেকের নেতৃত্বের প্রতি কম অনুগত ও আস্থাশীল নেতারা। চিকিৎসা সেরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ডক্টর ওসমান ফারুক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে কথা ছিল। স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খানও আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছেন। উল্লিখিত চার নেতার মধ্যে ডক্টর মঈন খান ছাড়া বাকি তিনজন বিএনপির বর্তমান বাস্তবতায় খুব একটা প্রাসঙ্গিক নন।
তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক চিন্তার দ্বন্দ্ব দেশের গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তাই এটি সহজেই অনুমানযোগ্য যে, পথহারা বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ফখরুলের উপস্থিতি একটি ঐচ্ছিক বিষয়। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন।
বাকি রইলেন সংস্কারপন্থী দুজন, সাদেক হোসেন খোকা ও ডক্টর ওসমান ফারুক। ওঁরা দলের ভিতরে এমনিতেই কোণঠাসা। বিএনপির মূল নেতৃত্ব তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর চেয়েও এই দুজনের বিষয়ে বেশি সন্দেহপ্রবণ ও সংবেদনশীল। আরও মজার বিষয় হল, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মনে করেন, মাইনাস-টু ফর্মুলা এখনও অ্যাকটিভেট রয়েছে; তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জায়গায় যোগ হয়েছে তারেকের নাম এবং মাইনাস টুএর এই নতুন সংস্করণের পিছনের মূল কারিগর দলটির ভিতরেই রয়েছেন। এ বিবেচনায় সাদেক হোসেন খোকা ও ডক্টর ওসমান ফারুকের লন্ডনে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা একেবারেই ঋণাত্মক।
ওয়ান ইলাভেনের সময় থেকেই উল্লিখিত দুই গ্রুপের নেতাদের কর্মকাণ্ড, দলের প্রতি তাদের আগ্রহ এবং তাদের প্রতি দলটির হাই কমান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিলে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের মূল উদ্দেশ্য পরিস্কার হয়ে যায়। লন্ডনে যারা তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাদের মধ্যে একটি বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মিল রয়েছে। তারা সবাই মাতা-পুত্রের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত।
ঈদের পরপরই বিএনপি সরকারের বিপক্ষে অলআউট আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। রাজনীতির মাঠে টিকে থাকার জন্য হোক আর শেষ হয়ে যাওয়ার আগে শেষ লাফ দেওয়ার জন্যই হোক, তাদের হাতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। ঈদের পর আসবে শুষ্ক মৌসুম। তাছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারি সরকারের মেয়াদ দুবছর পূর্ণ হবে। ফলে এর চেয়ে ভালো আন্দোলনের সময় আর হয় না।
ঢাকার উত্তরে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র-প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আওয়াল। তিনি তরুণ, সম্পদশালী, মামলা-মুক্ত এবং নেতাকর্মীদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের প্রতীক 'টেবিল ঘড়ি' পেয়েছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। আর চার ঘণ্টা নির্বাচন করে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রতীক 'বাস' পেয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭। স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো প্যারামিটারে দলটির জন্য সাদেক হোসেন খোকা ও মির্জা আব্বাসের চেয়ে তাবিথের প্রয়োজনীয়তা বেশি।
পলাতক মির্জা আব্বাস স্ত্রীকে দিয়ে দলে নিজের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তাকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিএনপিপন্থী সুশীলদের দ্বারা কম ভৎর্সনার শিকার হতে হচ্ছে না। ওদিকে খোকা প্রায় স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই, তারেক রহমানের নির্দেশনায় বেগম জিয়ার পরিচালনায় ঈদের পর থেকে সম্ভাব্য আন্দোলনের জন্য তাবিথ আউয়াল 'বেস্ট চয়েস'। অধিকন্তু, বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতার মতো তাবিথের ইতিহাস নিয়ে, বিশেষ করে একাত্তর নিয়ে বিশেষ সংবেদনশীলতা না থাকারই কথা। ফলে মাঠ পর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে কাজ করতে তার তেমন অসুবিধা হবে না।
তাবিথের পিতা আবদুল আউয়াল মিণ্টু একজন ব্যবসায়ী। এক সময়কার আওয়ামী লীগ-ঘেঁষা এই শিল্পপতি রাজনীতিতে ছেলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্যই এখন লন্ডনে। আউয়াল পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রভাবশালী নেতাদের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া ক্ষমতার রাজনীতির জন্য মিণ্টুর যে আগ্রহ তা দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না। সব মিলিয়ে আগামীতে পুনর্গঠিত বিএনপিতে তাবিথকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিএনপির জন্য বর্তমানে একক নির্ভরশীল নেতা। সেখানকার অন্যান্য নেতাদের চেয়ে তিনি দলটির হাই কমান্ডের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় বড় বড় নেতাদের যখন রাস্তায় দেখা যেত না, তখনও তিনি রাস্তায় নামতেন। তাছাড়া ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমির খসরুর মধ্যে তারেকের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাও রয়েছে। ফলে চট্টগ্রামের রাজপথ দখলে রাখার জন্য তার শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন।
এভাবেই দল হিসেবে টিকে থাকার জন্য বিএনপি 'ডু অর ডাই' ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেগম জিয়া আগামী বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মাঠের খেলাটি যেন দীর্ঘমেয়াদী হয়, দলটি সে চেষ্টাই করবে।
এই ম্যাচের পরিকল্পনায় খালেদা জিয়ারও তেমন কিছু করার নেই। তাঁকে কেবল আন্দোলনের ঘোষণাপত্র পাঠকের ভূমিকা পালন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কীভাবে কর্মকাণ্ড চালানো হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেতেই বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী। তারা তারেক রহমানের পছন্দেই নির্বাচিত।
আমরা বিগত দিনে দেখেছি বিএনপির আন্দোলনের রূপরেখা তারেক রহমান কীভাবে নির্ধারণ করে দিতেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে তাদের ডাকা সম্ভাব্য আন্দোলনের রূপরেখায় তারেকের একক ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এখানেই একটি মৌলিক প্রশ্ন চলে আসে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য নিষ্ক্রিয় ও অবহেলিত। খালেদা জিয়া দল পরিচালনায় তারেকের পরামর্শ গ্রহণ করেন। এ অবস্থায়, দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তারেক কাদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন?
প্রশ্নটির উত্তরে সম্ভাব্য দুটি উৎস রয়েছে। ডান-ঘেঁষা তারেকের রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর জঙ্গি ম্যানুফ্যাকচেরার জামায়াতের প্রভাবটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে রয়েছে। সেই প্রভাবক শক্তি একটি উৎস। আরেকটি উৎস হতে পারে জামায়াতের রাজনীতির প্রতি সহানুভূতিশীল বিদেশি শক্তিগুলি। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক খেলোয়াড়রা তারেকের পিছনে 'থিংক ট্যাংক' হিসেবে কাজ করতে পারে এমন সম্ভাবনাই বেশি।
তাহলে কি এভাবেই লন্ডনে পর্দার আড়ালে প্রণীত হচ্ছে আবারও মানুষ পুড়ানোর তালিকা? হয়তো হাসপাতালের বার্ন ইউনিটগুলি সাধারণ মানুষের চিৎকারে স্তব্ধ হয়ে যাবে। দড়ি দিয়ে সিএনজির সঙ্গে যাত্রীকে বেঁধে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
২০দলীয় জোট কিন্তু তাদের ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি এখনও প্রত্যাহার করে নেয়নি বলে জানি। অনেকটা দুই কোরিয়ার যুদ্ধের মতো। ১৯৫৩ সালে দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা হলে এখনও দেশ দুটি 'অফিসিয়ালি' যুদ্ধে জড়িয়ে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণকে সাইরেন বাজিয়ে যুদ্ধের সময় সতর্কতা অবলম্বনের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক পুরুষের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং দুবছর সেনাবাহিনীতে কাজ করা বাধ্যতামূলক।
অনুরূপভাবে, আমরাও এখনও বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছি। ফলে আন্দোলন করার জন্য বিএনপির আবার নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ার দরকার নেই। হঠাৎ রাস্তায় নেমে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুর আর মানুষ পুড়ালেই চলবে।
বলা যায়, খালেদা জিয়ার সফরটি একশভাগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। চিকিৎসা গ্রহণের ফাঁকে তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি রাজনৈতিক প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করবেন। সব ঠিকঠাক হলে জনগণকে আবারও কয়েক মাসের জন্য পেট্রোল বোমার রাজনীতির থাবায় বন্দি হয়ে যেতে হবে।