রাষ্ট্রপতি অনেক ভালো কথা বলেছেন, কিন্তু কে শুনছে?

রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে যদি কেউ মনে করেন, বকাউল্লা বকে গেলেন, শোনাউল্লা শুনে গেলেন, ব্যস, লাভও নেই, ক্ষতিও নেই, সমান সমান– তাহলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে কি?

বিভুরঞ্জন সরকারবিভুরঞ্জন সরকার
Published : 10 April 2023, 06:01 PM
Updated : 10 April 2023, 06:01 PM

মেয়াদের শেষে এসে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গত ৭ এপ্রিল ভাষণ দিয়েছেন। ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বসেছিল জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি তাঁর দীর্ঘ ভাষণে দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস, সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, জনগণের প্রতি সংসদের দায়বদ্ধতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম সংসদে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৩ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। সদ্য স্বাধীন দেশে যাত্রা শুরু হয়েছিল সংসদীয় গণতন্ত্রের। তবে এই যাত্রার পেছনে রয়েছে ২৪ বছরের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতনের করুণ ইতিহাস।

দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস, সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, জনগণের প্রতি সংসদের দায়বদ্ধতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম সংসদে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। 

জাতীয় সংসদের আগে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ওই সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, গণপরিষদে কোনো বিরোধী দল না থাকলেও সংসদ অধিবেশন হতো প্রাণবন্ত। যুক্তিতর্ক ও মতামত উপস্থাপন ছিল খুবই আকর্ষণীয়। ন্যাপ থেকে নির্বাচিত একমাত্র গণপরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পার্লামেন্টে বক্তৃতা করার সুযোগ চাইলে সবসময়ই সুযোগ পেতেন। স্পিকার মাঝেমধ্যে তাঁকে মাইক দিতে না চাইলেও বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘ওকে সুযোগ দেন, বিরোধী পক্ষের কথা আগে শুনতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, পরমতসহিষ্ণুতা, বিরোধী দলকে আস্থায় নেওয়া এবং অন্যকে কীভাবে সম্মান দেওয়া যায় এসব বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় নজির রেখে গেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া নজির তাঁর বর্তমান অনুসারীরা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে কি না? জাতীয় সংসদ কি সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে? সংসদের কার্যক্রম প্রাণবন্ত কারার জন্য সব উদ্যোগ কি এখন নেওয়া হয়? বিরোধী পক্ষের কথা আগে শোনার যে রীতি বঙ্গবন্ধু অনুসরণ করতেন, বর্তমান সংসদে কি ওই রীতি অনুসরণ করা হয়? এক্ষেত্রে এখন যে বড় ধরনের ঘাটতি আছে সেটা সম্ভবত রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় আছে। গণতন্ত্রের মূলে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন হলেও সংখ্যালঘুদের মতামতকেও সম্মান দেওয়াও প্রকৃত গণতন্ত্রেরই বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এখন রীতি হয়েছে সংখ্যালঘুর মতকে উপেক্ষা করা। এখন সরকারি দল যেমন বিরোধী দলকে আস্থায় নিতে পারে না, তেমনি বিরোধী দলেরও রয়েছে সরকারের প্রতি প্রবল অনাস্থা। সংসদকে কার্যকর বা প্রাণবম্ত করার বদলে এখন সব পক্ষের চেষ্টা থাকে একে অন্যকে ঘায়েল করার, নাজেহাল করার, বিব্রত করার। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গা দখল করেছে পারস্পরিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি। 

সংসদ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ একজন অভিজ্ঞ মানুষ। প্রথম সংসদ থেকেই তিনি সংসদীয় কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। তিনি সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে। ফলে তিনি সংসদ সম্পর্কে, সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। একজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে সন্নিবেশিত বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সংসদের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারেন।

সংসদীয় কমিটির গুরুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে এই সংসদীয় কমিটি ব্যবস্থা। মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত সংসদীয় কমিটি ব্যবস্থার কার্যকারিতার ওপর সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের কার্যক্রমকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করতে হলে সংসদ সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। যুক্তিতর্কের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এই সংসদকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা দলমত-নির্বিশেষে আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

স্বাধীনতার পর অনেকগুলো বছর চলে গেছে। এই সময়ে আমরা অনেক কিছু যেমন অর্জন করেছি, তেমনি অপূর্ণও রয়েছে অনেক কিছু। গণতন্ত্র এখনও শক্ত ভিত পায়নি। গণতান্ত্রিক কাঠামো শক্তিশালী হয়নি। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারিনি আমরা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নেই গণতন্ত্রের অবাধ চর্চা। রাজনৈতিক অবস্থায় রয়েছে অনেক গলদ। সরকারি দল ও বিরোধী দলের সম্পর্ক পারস্পরিক সহযোগিতার নয়, শুধুই বিরোধিতার। সরকারি দল ও বিরোধী দলের যে মুখোমুখি অবস্থান সেটা রাষ্ট্রপতির অজানা নয়। সেজন্যই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সবার সহায়তা করা উচিত। 

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতৈক্যে পৌঁছানোর যে তাগিদ রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন, তা কি পালন করবে? 

রাষ্ট্রপতি খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়া বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে তোলে। সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে আমাদের সকলের সহায়তা করা উচিত।’

গণতন্ত্র ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে। দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়। আবার গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। উন্নয়নকে স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে, তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতন্ত্রহীন অবস্থায় যে উন্নয়ন হয়, তা কখনো সর্বজনীন হতে পারে না। সে উন্নয়ন হয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক। গত দেড় দশকে সরকার ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার ফলে দেশ উন্নতি–অগ্রগতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘গণতন্ত্র আমদানি বা রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য বা সেবা নয়। মনে চাইল কোনো দেশ থেকে পরিমাণমতো গণতন্ত্র আমদানি বা রপ্তানি করলাম, বিষয়টি এমন নয়। চর্চার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র বিকশিত ও শক্তিশালী হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংসদের কার্যবাহে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায় সংসদকে কীভাবে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করতে হয়।’

গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে সংসদ সদস্যদের গঠনমূলক, কার্যকর ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কেবল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতরাই সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং জনগণের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারেন।

গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে, এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

সংসদের দায়িত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সার্বিকভাবে সংসদের মূল তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, সমাজের সব শ্রেণি, পেশা, জেন্ডার, মত ও পথের প্রতিনিধিত্ব করা। দ্বিতীয়ত, আইন প্রণয়ন ও সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয়াদি এবং তৃতীয়ত, তদারকির মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সংসদীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলোকে সঠিকভাবে কার্যকর করা গেলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

জাতীয় সংসদকে কার্যকর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তাঁরা (জনগণ) অনেক আশা নিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছেন যাতে তাঁদের কথা, চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা আপনারা সংসদে তুলে ধরেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং নীতি-আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না।’

জাতীয় সংসদে সব স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এটি অর্জনে আমাদের সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।’

আইন প্রণয়নকাজে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তোবা সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত আইনের পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। একজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে সন্নিবেশিত বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সংসদের কাছে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারেন।

সংসদীয় কমিটির গুরুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণ হচ্ছে এই সংসদীয় কমিটি ব্যবস্থা। মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত সংসদীয় কমিটি ব্যবস্থার কার্যকারিতার ওপর সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত।

রাষ্ট্রপতির এইসব বক্তব্য কোনো রাজনৈতিক দল কি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার প্রয়োজন বোধ করছে? বিএনপির রাজনীতির ধারা হলো সরকার পক্ষের সব কিছুকে না বলা। বিএনপির কোনো নেতা রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বলে মনে হয় না। বিএনপি একে একটি সাধারণ বক্তৃতা বলেই ধরে নিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কি রাষ্ট্রপতির বক্তব্য বিবেচনাযোগ্য মনে করছে? রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোর যে কথা বলেছেন, তাতে আওয়ামী লীগের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া কোথায়? রাষ্ট্রপতি তো আওয়ামী লীগেরই লোক। তারপরও রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে যদি কেউ মনে করেন, বকাউল্লা বকে গেলেন, শোনাউল্লা শুনে গেলেন, ব্যস, লাভও নেই, ক্ষতিও নেই, সমান সমান– তাহলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে কি?