Published : 31 Dec 2013, 10:34 AM
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে নির্বাচন বর্জন এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নৈমিত্তিক একটি ঘটনা। আবার এর মাধ্যমে বর্জনকারীর পক্ষের কিছু কিছু অর্জন বা প্রাপ্তিযোগ ঘটাটাও বরাররই স্বাভাবিক বিষয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এতকাল। কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করছি।
১) ১৯৮৬ সালে বিএনপি কর্তৃক এরশাদ সরকারের বৈধতা প্রদানে খ্যাত নির্বাচনটি বর্জন। এই বর্জনের মাধ্যমে বিএনপির অর্জন ছিল নিজেদেরকে 'স্বৈরাচারবিরোধী আপোষহীন শক্তি' হিসাবে পরিচিত করা।
২) ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যুগপৎ বর্জন। এর মাধ্যমে উভয় দলেরই অর্জন ছিল নিজেদের স্বৈরশাসনবিরোধী অবস্থানটি সুদৃঢ় করা।
৩) ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন। "বিতর্কিত মাগুরা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়"– এই রকম এক পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি একটি যৌক্তিক দাবি হিসেবে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতাও অর্জন করেছিল। আওয়ামী লীগের অর্জন ছিল দাবির সপক্ষে জনসমর্থন টেনে ক্ষমতাসীনদের কোণঠাসা করা।
৪) ২০০৬ সালে আবারও আওয়ামী লীগ কর্তৃক নির্বাচন বর্জন। এইবার প্রথমে সামনে আনা হয় নির্বাচন প্রভাবিত করতে সংবিধানের উদ্দেশ্যমূলক সংশোধনীর বিষয়টি, পরবর্তী ইয়াজউদ্দিন সরকার চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ করতে সে সময়কার নির্বাচন কমিশনের লাগাতার বিতর্কিত পদক্ষেপও অজুহাত হিসেবে চলে আসে।
এই বর্জনের সরাসরি কোনো ফল আওয়ামী লীগ পায়নি। দুই বছর নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসে যাকে ওই নির্বাচন বর্জনের ফসল হিসেবে গণ্য করার কোনো কারণ নেই।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, বর্জনকারী পক্ষগুলি, যতই দিন যাচ্ছে ততই ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ইস্যুকে নির্বাচন বর্জনের অজুহাত হিসেবে ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ হয়েছে। আর এর মাধ্যমে তাদের অর্জনগুলো নীতিগত (কনসেপচুয়াল) পর্যায় থেকে ক্রমান্বয়ে বস্তুগত (ম্যাটেরিয়াল) পর্যায়ে নেমে এসেছে। বর্জনের সঙ্গে যেহেতু অর্জনের একটা যোগসূত্র থাকছেই, তাই বর্জন উৎসাহিত হয়েছে, যদিও এইজন্য দেখানো কারণটার যৌক্তিকতা কিছু থাকুক বা না থাকুক। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটেছে সাম্প্রতিক নির্বাচন বর্জনটি।
বেশ হালকাভাবে তাকালেও এটা পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে নির্বাচন বর্জনে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দলগুলির মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে, বর্জনের যৌক্তিকতা উত্থাপনে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। এটা কি এজন্য যে দাবিটা কার্যত অসার? নাকি এজন্য যে তাদের হোমওয়ার্ক করার মতো মন-মানসিকতারই বরং অভাব? ভাবখানা এমন, ডাক দিলে তো যেনতেনভাবেই বর্জন ঘটে, এত হোমওয়ার্কের দরকারটা কী?
একটু খতিয়ে দেখলে এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে যে প্রথম তিনটি বর্জনই এমন প্রেক্ষাপটে হয়েছে যেখানে বর্জনকারীদের "জিততে দেওয়া হবেই না" এটা শুরুতেই খুব গ্রহণযোগ্যভাবে, বিশ্বাসযোগ্যভাবে উত্থাপিত হয়েছে। আবার প্রথম দুটো বর্জনের সুফল হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও যে তারাই নির্বাচিত হবেন, এমন গ্যারান্টিও ছিল না। প্রতিটা নির্বাচনের পরপরই বর্জনের সুফল হিসেবে যে জিনিসটা সামনে আনা হয়েছে, তা হল জনগণের সার্বিক কল্যাণ। সেটা নিয়মতান্ত্রিক দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো পন্থায়।
সাম্প্রতিক বর্জনগুলোতে এই বিষয়গুলো সাধারণভাবে অনুপস্থিত। ২০০৬ ও ২০১৩, এই দুই নির্বাচনেই বর্জনকারীরা জিতবেন না, এ রকম কোনো পরিস্থিতি ছিল না। সরকারের জন্য নির্বাচনগুলো বিরাট কোনো হুমকি নয়, এটা তারা নিজেরা স্বপ্নেও ভাবেননি। আর এ জন্য প্রশাসন সাজানো, পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্তি, এসব কলকাঠি নাড়াতেই হয়েছে।
প্রথম তিনটি ক্ষেত্রে বর্জনকারীরা যা করেছেন, তা করার কারণ, ওটাই ছিল তাদের শেষ অস্ত্র। নির্বাচন করে অর্জনবিহীন পরাজয়ের চেয়ে বর্জন করে কিছু নৈতিক বিজয় তারা শ্রেয়তর জ্ঞান করেছেন। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে নিশ্চিত বা প্রায় নিশ্চিত বিজয় নাগালের মধ্যে দেখেও বর্জনটি মূলত আরও সুনিশ্চিত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে। দুই ক্ষেত্রেই বর্জন-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি তাই কিছুটা ভিন্ন। আবার বর্জনের জন্য যে কারণটি সামনে রাখা হয়েছে/হচ্ছে, তাতেও জনবিচ্ছিন্নতা বেশ স্পষ্ট। ছিয়াশি বা অষ্টাশিতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সঙ্গে এবারের নির্বাচন বর্জনের পার্থক্য বিরাট। বর্জন প্রক্রিয়ায় জনগণের সাফারিং তো রীতিমতো তুলনারই অতীত।
এবারের নির্বাচন বর্জনে যে প্রকাশ্য কারণটা সামনে আনা হয়েছে তা হল, সুষ্ঠু নির্বাচন না হবার আশংকা। এটা এমন একটা দাবি যা যে কোনো সময়ে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই করা যায়। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও তা করা হয়েছে। তাছাড়াও অন্য সময়গুলিতে এই দাবির সপক্ষে যেখানে বাস্তব কিছু না কিছু প্রমাণসহ এই দাবি করা হয়েছিল, এবার সাধারণভাবে তার অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সে ক্ষেত্রে নির্বাচন বর্জনের দাবিটাকে সরকারের কাছে 'হঠাৎ প্যাঁচ কষে কোণঠাসা করে ফেলার একটা পাঁয়তারা' মনে হতেই পারে। এই জাতীয় পরিস্থিতিতে যে কোনো সরকারের যে রিঅ্যাকশন স্বাভাবিক, 'প্যাঁচ কষতে না দেওয়া বা প্যাঁচের মধ্যে ফাঁক রাখা'-– তাই তারা করেছেন।
দেখা গেছে, নির্বাচন বর্জনের ধুয়ো তুলে বিএনপি যতই ডেডলাইনের দিকে এগিয়ে প্রস্তুতিহীন, অগোছালো হয়ে পড়েছে– আওয়ামী লীগ ততই দল গুছিয়েছে, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে বর্জনকারীরা পড়তে বাধ্য হয়েছে যে হানাহানি ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব, উপস্থিতি প্রমাণ করাটাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত এরই ধারাবাহিকতায়ই তারা হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ে আর তার খেসারত তাদের দিতে হয়। পদ্মা ব্রিজ, শেয়ারবাজার বিপর্যয়, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি ইত্যাদির কারণে আওয়ামী লীগের দিক থেকে সমর্থন উঠে যাওয়াজনিত কারণে বিএনপির যে অর্জন অনুভব করা গিয়েছিল তা উবে যেতে শুরু করে ওই অনিয়ন্ত্রিত হানাহানির কারণে।
তাহলে দাঁড়ালটা কী?
১) বর্তমান সরকার বেশ কিছু ভালো কাজ করার পরেও গুটিকয়েক দুর্বলতার জন্য জনসমর্থন প্রত্যাহারের চাপে পড়ে। প্রমাণ হল তুলনামুলক অযোগ্য প্রার্থীদের কাছে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন খোয়ানো।
২) বিরোধীরা এটাকে বিজয়ের পুর্বাভাষ ধরে নিয়ে সরকারকে আরও কোণঠাসা করতে এবং হয়তো-বা সুপার মেজরিটি নিশ্চিত করতেই নির্বাচন বর্জনের বহু ব্যবহারে জীর্ণ চালটি অর্থাৎ নির্বাচন-বর্জন বেছে নেয়।
৩) আওয়ামী লীগ এটা মোকাবেলার জন্য সম্ভবত আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডের গতি কমিয়ে দাবিটার দানা বাধা পিছিয়ে দেয়। এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক, গণজাগরণ সম্পর্কিত অথবা রামপাল নিয়ে ঘটা ঘটনাপুঞ্জ নানা মাত্রা যোগ করে। বিভিন্ন দিকে দৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ায় একদিকে বিএনপির ফোকাস নষ্ট হয়, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিজেদের কিছু কৃতিত্ব লাইমলাইটে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
৪) এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিএনপির কোনো কনটিজেনসি প্ল্যান ছিল কিনা তা বোঝা যায়নি। নির্বাচন হওয়াটার দিকেই যখন আইনগত, সংবিধানগতভাবে পক্ষপাত রয়েছে, বিএনপির জন্য একটা কনটিজেনসি থাকা জরুরি ছিল। তা হতে পারত, কেন্দ্রীয়ভাবে না হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুদের দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নির্বাচনের ট্রেন ধরার সুযোগ থাকত।
৫) প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশের আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে শেষ মুহুর্তে তাদের কোণঠাসা করার যে সুবর্ণ সুযোগটি কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দআনার মতো সামনে এসে গেল, এর জন্য কোনো পক্ষরই কোনো প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেল না। যে কোনো ফর্মেই নির্বাচনে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা থাকলে এটা দিয়ে তারা ক্ষমতাসীনদের ভালোই কাবু করতে পারতেন। মাঠে না থাকার কারণে এই সুবর্ণ সুযোগটা যে তারা হাতছাড়া করলেন, এটা ভবিষ্যতে অন্যরা তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু করবেন না।
৬) যে ১৪৬টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে তার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই সব আসনের সাড়ে চার কোটির মতো ভোটের প্রায় তিন কোটিই ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগ ভোটার। এদের দুই থেকে আড়াই কোটিকে যদি ভোট কেন্দ্রে আনা যায়, ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশ বা তার আশেপাশে চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি ৯৬-এর নির্বাচনের মতো (২১ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি) ভোটারবিহীন নির্বাচন বলার কোনো সুযোগ কি থাকবে? মনে হয় না।
৭) অবশ্য সরকারের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভোটের আগের দিন নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সামগ্রী ও কর্মকর্তাগণকে পৌঁছুনো। যেহেতু অর্ধেকের কম আসনে নির্বাচন হবে তাই এবং বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকা ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, কিছুটা নিরাপত্তা সচেতন হলে এটা খুব অসম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আর নির্বাচনের দিনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও ফেরাটা নির্বিঘ্ন করতে আবু হেনা সাহেবের সময় থেকে চলে আসা পদ্ধতি অর্থাৎ যন্ত্রচালিত যান চলাচলে ও মোবাইল নেটওয়ার্কে নিষেধাজ্ঞা তো খুবই পরীক্ষিত ও সফল।
সব দেখেশুনে, অনেকের মতো, '৫ জানুয়ারী নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে'– এ রকম বলার মতো খুব কোনো কারণ দেখছি না। আমাদের জানামতে যেসব নির্বাচনকে প্রহসন বা ফার্সিয়াল ইলেকশন বলা হয়, এবারের নির্বাচন তা থেকে নানা দিক দিয়ে গুণগতমানে এগিয়ে। সেটা ৮৬-র রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বা আটাশির বিরোধী দলবিহীন বা ফেব্রুয়ারি, ছিয়ানব্বই-এর নিয়মরক্ষার নির্বাচন– যেটাই হোক না কেন। ওই নির্বাচনগুলির প্রধান দুর্বলতা ছিল ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত অনুপস্থিতি। এইবার তা হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম।
অবশ্য কলঙ্কতিলক একটা আছে। আর তা হল ১৫৪ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন। প্রশ্নটা যৌক্তিক যে বাংলাদেশের মানুষ কবে থেকে এতটা নির্বাচনবিমুখ হল? তবে উত্তরটাও সহজ। দলগুলোই যদি এভাবে নির্বাচন নিয়ে জুয়া খেলায় নামতে পারে, সেটাকে জনগণের নির্বাচনবিমুখতা বলতেই বা দোষ কী? তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটাও তো আজকাল চাট্টিখানি কথা নয়। উচ্চ হারের জামানত খোয়ানো ছাড়াও ১ শতাংশ ভোটারের ভোটার নম্বর, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ স্বাক্ষর সংগ্রহের জটিল একটা কাজ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ছক্কা ছয়ফুরদের মতো শুধু জামানত দিয়ে যথেচ্ছা নির্বাচন করার দিন আর নেই।
সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন গণতন্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চর্চ্চার গ্যারান্টি দেয় না সত্য তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বশর্ত। আমরা প্রক্রিয়াটা শুরু করলেও তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আজও দিতে পারিনি, অপ্রিয় হলেও এটাই সত্য। এর মধ্যে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে নির্বাচন বর্জনকে যেভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলে আসছে তা কখনও না কখনও বন্ধ করার জন্য কাউকে না কাউকে দৃঢ়তা দেখাতেই হত।
আমি বর্জনের মুখেও বর্তমান সরকারের নির্বাচন করার এই প্রচেষ্টা গোঁয়ার্তুমি না ভেবে নির্বাচনমুখী দৃঢ়তা হিসেবেই বর্ণনা করতে চাচ্ছি।
কাজী আহমেদ পারভেজ: শিক্ষক, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।