Published : 19 Dec 2013, 10:13 AM
''তাহলে সব মিলিয়ে ফলাফল কী দাঁড়াতে যাচ্ছে? আসুন একটা সম্ভাব্য দৃশ্যপট চিন্তা করি– বাংলাদেশের সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে অথবা গৃহযুদ্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করবে কি না এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি শুরু। ভোটে নিরাপত্তা পরিষদের সবগুলো সদস্য দেশ একটি প্রস্তাব পাশ করে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বন্ধ করে দেশটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে চায়। প্রস্তাবে শান্তি ফিরে এলে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও বলা হয়।
কিন্তু না, ভারতের লবিংয়ে এবং বাংলাদেশে ভু-রাজনৈতিক কৌশলের স্বার্থে রাশিয়া শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এরপর?
আমাদেরকে জানতে হবে… আর জানার সময় কিন্তু এখুনি… বীর বাঙালি শুধু অস্ত্র ধরলেই হবে না, কে কার বিরুদ্ধে কেন অস্ত্র ধরছি তা-ও জানতে হবে।''
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস এটি। যিনি এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন তিনি দেশের রাজনীতি, কূটনীতি বা সুশীল সমাজের হোমড়া-চোমড়া কেউ নন। তিনি একটি কূটনৈতিক মিশনে চাকরি করতেন। থাকেন দেশের বাইরে।
বিএনপির শাসনামলে কূটনৈতিক মিশনে চাকরি পাওয়া এই ভদ্রলোক এখন যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামাতের হয়ে কাজ করা একটি লবিস্ট ফার্মে চাকরি করেন। ঢাকায় সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত একটি পত্রিকায় ছদ্মনামে রিপোর্ট লিখেন। বিরোধী বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা একটি নির্বাচনের পর সম্ভাব্য একটি দৃশ্যপট সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি তার স্ট্যাটাসে।
ভদ্রলোকের বক্তব্যের দুটি বিষয়ের প্রতি আমি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব– (১) গৃহযুদ্ধ এবং (২) বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ। এই দুটি বিষয়কে একজন ব্যক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে দেখলে ভুল করা হবে। মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন তথা দেশটির আগামী দিনের ভবিষ্যতের সঙ্গেও শব্দগুলো গুরুত্বপূর্ণভাবে জড়িত। বাংলাদেশে এখন যে একটি 'তামাশার' নির্বাচন প্রত্যক্ষ করছে, তার পেছনেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে 'গৃহযুদ্ধ' এবং 'বাংলাদেশে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের' স্বপ্ন।
এটা সত্য একতরফা একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকারদলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার ঘটনা খোদ সরকারের সমর্থকদের মধ্যেও হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। আগামী দিনগুলোতে দেশের 'সুশীল' মিডিয়া নির্বাচনটিকে 'খেলো' করে দেওয়ার সব ধরনের চেষ্টাই যে করবে তার লক্ষণ ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনটি নিয়ে বিএনপির 'নমনীয়' অবস্থানেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক। মনে হচ্ছে তিনি বিএনপিকে আরও মারদাঙ্গা অবস্থায় দেখতে চাচ্ছেন। ঢাকার সুশীল সমাজের কাছে নির্বাচনটি অবশ্যই একটি 'অসহনীয় বিদ্রুপের' উপাখ্যান।
বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনতে না পারা আমরা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচনায় নেব। এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়াকেও আমরা 'তামাশা' হিসেবেই দেখব। কিন্তু বিএনপিকে কি আদৌ নির্বাচনে আনা সম্ভব ছিল? একটি অর্থবহ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি কিংবা আগ্রহ– কোনোটাই কি বিএনপির ছিল?
আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, নির্বাচনের প্রতি বিএনপির মোটেও আগ্রহ ছিল না, লক্ষ্য তো ছিলই না। বিএনপি রাজনীতি করতে চেয়েছে, আগাগোড়া সেটিই করে গেছে। বিএনপির রাজনীতি যারা মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেন, তারা খেয়াল করবেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিটিকে বিএনপি দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচনের দাবিতে রুপান্তরিত করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যেতেও বিএনপির আপত্তি নেই, আপত্তি কেবল একজন ব্যক্তির ব্যাপারে, যিনি আবার গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিযেই বিএনপি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে শেখ হাসিনাকে দাবির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। এর একটি লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে বিতর্কের কেন্ত্রে নিক্ষেপ করা। বিএনপি-জামাত সমর্থক টকশোবাজ এবং সুশীলরাও বিএনপির এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমস্বরে চিৎকার করেছে, ''শেখ হাসিনা সরে গেলেই দেশে শান্তি আসে'' বলে।
কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেন সরে যেতে হবে, তার কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য তাদের ছিল না, স্রেফ ধারণার উপর ভিত্তি করে তারা শেখ হাসিনাবিরোধী প্রচারণা জোরদার করেছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার সময় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের কারচুপি এবং অনিয়মের কারণেই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি যৌক্তিকতা পেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনামলে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচন নিয়েই কোনো প্রশ্ন উঠেনি। তাহলে এখন তত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যৌক্তিকতা কী?
যৌক্তিকতা একটাই– বেগম খালেদা জিয়ার জেদ এবং পুরনো অপমানের প্রতিশোধ নেওয়া। শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বেগম খালেদা জিয়াও স্পষ্ট করে বলে ফেলেছেন, ''আপনি বিচারপতি হাসানকে মানেননি, আমি আপনাকে মানব কেন?''
সংকটটা আসলে এখানেই। যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মীমাংসা করা যায়, কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের জেদের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ফয়সালা করা সত্যিই কঠিন। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা না থাকার সঙ্গে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হওয়া না হওয়া নির্ভরশীল তখন তিনিই যে রাজনীতির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেন– তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বড় প্রতিবন্ধকতা আসলে জামাত। জামাত যেহেতু বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মূল নিয়ন্ত্রক সেহেতু নির্বাচন প্রশ্নে এই সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাও কঠিন কাজ। জামাত যেখানে দেশে 'গৃহযুদ্ধ' পরিস্থিতি তৈরি এবং তা প্রচারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয়, তখন বিএনপি নির্বাচনে যাবে– সেটা জামাতই কিছুতে হতে দেবে না। সেটি হয়ওনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্ন এসেছে ঠিক তখনই অবধারিতভাবে 'গৃহযুদ্ধ' শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে। এটা যে কেবল বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে হচ্ছে তা নয়, গত প্রায় এক দশক ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ এলেই জামাত-শিবির দেশে 'গৃহযুদ্ধের' ভয় দেখাতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করত না। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর একেকটা রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামাত-শিবির সারা দেশে পরিকল্পিভাবে যে সন্ত্রাস করেছে, সেটিও কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের 'গৃহযুদ্ধের' দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই করেছে।
আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি জামাত-শিবিরের সন্ত্রাস মোকাবেলায় মাঠে নামেনি বলে হয়তো 'গৃহযুদ্ধের' প্রচারণার পালে তেমন করে হাওয়া লাগানো যায়নি। কিন্তু নিজেরা হামলা করে, সন্ত্রাস করে, মানুষ খুন করে সরকারের বিরুদ্ধে 'গণহত্যার' অপপ্রচারণা কিন্তু বিএনপি এবং জামাত সম্মিলিতভাবেই করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনেও বাসে আগুন দিয়ে, পুড়িয়ে মানুষ মেরে আতংক সৃষ্টি করে দেশে বিশেষ একটি পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাই করেছে বিএনপি-জামাত।
সমসাময়িক রাজনীতির গতিপ্রবাহ যারা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করেছেন, তারা জানেন বিএনপি-জামাতপন্থী সুশীল, টকশোবাজরা জাতিসংঘের তত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছেন। বিরোধী দলের প্রতি সহানুভূতিশীল পত্রিকাগুলো জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচনের কল্পকাহিনী ছেপে জনমত বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে। সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতায় মধ্যস্থতা করার জন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধির ঢাকা সফরকালে সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার কোনো কর্মসূচি কেন নেই তা নিয়েও এই মহলটি হৈচৈ করার চেষ্টা করেছে।
এমনকি তারানকো যখন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সঙ্গে একের পর এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখনও এই মহলটি জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচনের গুঞ্জন সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। বিষয়টা স্পষ্ট যে, জামাত-বিএনপি তাদের শক্তিশালী লবিস্টদের মা্ধ্যমে জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। আর তাদের খেপিয়ে তোলা জায়েজ করতে দেশের ভেতরে পরিকল্পিভাবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সফরকালে জাতিসংঘকে দিয়ে বড় ধরনের চাপ তৈরির চেষ্টা কার্যত বিফলেই গেছে। তারানকো স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, যেহেতু জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে, তাই বাংলাদেশের ভোট তদারকিতে তাদের যুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরাপত্তা বা সাধারণ পরিষদের অনুমোদন ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। "যদি না নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস হয়। আর বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিরাপত্তা পরিষদ কিংবা সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের প্রেক্ষাপট নেই।"(সূত্র: বিডিনিউজ)।
বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫১ জন প্রার্থীর বিজয় অবশ্যই হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সম্মিলিত মোর্চা হাস্যরস তৈরিতে ব্যস্ত নয়। তাদের লক্ষ্য অন্যখানে। বিএনপি-জামাত এখনও স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তারা দেশে জাতিসংঘ বা শান্তিবাহিনী মোতায়েনের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। সরকারি দল যতই চেষ্টা করুক না কেন, যতই আন্তরিকতায় বিরোধী দলকে সিক্ত করার চেষ্টা করুক না কেন, তা যে কোনো কাজে লাগবে না সেটি কিন্তু পরিষ্কার।
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন হল না কি, বিরোধী দলসহ নির্বাচন হল, সেই প্রশ্নের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশকে আমরা কোনদিকে নিয়ে যাব। জামাতের অবস্থান পরিষ্কার। তারা দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, মানুষ খুন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চায়। বিএনপি কার্যত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে জামাতের নির্দেশনায়।
ফলে জামাত-বিএনপি সম্মিলিতভাবেই এখন দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যর্থ এবং সন্ত্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করানোর কাজে নেমেছে। যে সব দেশে সরকার থাকে না, সে সব দেশে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণ থাকে। জামাত-বিএনপি এখন বাংলাদেশকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা চাইলেও বিরোধী দলকে এই নির্বাচনে আনতে পারতেন না।
'তামাশার' নির্বাচন নিয়ে হাসি-ঠাট্টার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে– দেশকে আমরা কোনদিকে নিয়ে যাব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি তো আছেই। পরিকল্পিত সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে 'ব্যর্থ রাষ্ট্রের কলংক টিপ' পরিয়ে যারা জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা এবং কাজ সমর্থন করবেন কি না, সেই প্রশ্নও রইল পাঠকদের প্রতি।
শওগাত আলী সাগর: দৈনিক 'প্রথম আলো'র সাবেক বিজনেস এটিডর; টরন্টো থেকে প্রকাশিত নতুনদেশ ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক।