ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য বিহারে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারধর করার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 09 Oct 2018, 08:16 PM
মারধরের কারণে প্রায় ৩৪ ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় খবরে। এর আগে ছাত্রীরা যৌন হয়রানি করার জন্য স্থানীয় কয়েকটি ছেলেকে তিরস্কার করেছিল।
বিবিসি জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। ওইদিন সাওপুলে ত্রিবেনিগঞ্জের একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা স্কুলের মাঠে খেলছিল। কয়েকজন ছেলে চুপিচুপি মাঠের ভেতর প্রবেশ করে।
ছাত্রীরা তাদেরকে মাঠ থেকে চলে যেতে বললে তারা চলে না গিয়ে উল্টো যৌন হয়রানি শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ছেলেদের হাতাহাতি শুরু হয়।
পরে ছেলেরা মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে হামলা চালায়। বাঁশ ও রড দিয়ে তারা ছাত্রীদের মারতে শুরু করে। বাধা দিতে গেলে স্কুলের শিক্ষকদেরও মারধরের শিকার হতে হয়।
ছাত্রীদের কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কয়েকজন সোমবারও হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এ হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করেন।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা এর আগেও কয়েকবার পুলিশের কাছে স্থানীয় কিশোরদের বিরুদ্ধে তাদের উত্ত্যক্ত এবং যৌন হয়রানি অভিযোগ করেছিল বলে জানায় বিবিসি।
তারা স্কুলের কাছে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের অশ্লীল মন্তব্য করত এবং স্কুলের দেয়ালে নোংরা কথা লিখে রখাত। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিদ্যানাথ যাদব।
এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ ছয় কিশোর ও তিন নারীকে কাস্টডিতে নিয়েছে। ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী আরো ৮ থেকে ১০ জন মারধরের ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
বিদ্যানাথ বলেন, “ছাত্রীদের উপর হামলাকারী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”