আইএসের পক্ষ থেকে ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে ‘হত্যার দাবিতে’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিস্মিত হয়েছে।
Published : 01 Oct 2015, 01:52 AM
আইএসের সক্রিয় সদস্য নয়, তাদের মতাদর্শের অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে মনে করছে তারা।
ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “বাংলাদেশে আইএসের প্রত্যক্ষ উপস্থিতির কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন মৌলবাদী ইসলামপন্থি গ্রুপের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যারা সন্ত্রাসের হুমকি তৈরি করেছে। ইতালীয়কে হত্যা কোনো আইএসের সমর্থকের বিচ্ছিন্ন হামলা হতে পারে।”
ভারতেও এ ধরনের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি ওই কর্মকর্তা। সেখানেও তরুণদের একাংশ আইএসের প্রতি আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন জিনিস অনলাইনে পোস্ট করছে।
বর্তমানে ১০ জনের মতো ভারতীয় সিরিয়া/ইরাকে আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় অবস্থান করছে এবং প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে সেখানে যাওয়া থেকে আটকানো হয়েছে।
“আইএসের সহিংস উগ্রপন্থার মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মৌলবাদী ব্যক্তি বা গ্রুপের ভারতে বিচ্ছিন্ন হামলা চালানোর ঝুঁকি রয়েছে। তবে সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে এবং এ ধরনের ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে,” বলেন একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের কূটনীতিকপাড়ায় গুলি চালিয়ে তাভেল্লাকে হত্যার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এতে ভারতেও এ ধরনের হামলার হুমকি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
ইতালীয় ওই ত্রাণকর্মীকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী একটি গ্রুপ জানায়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
শিরশ্ছেদের মাধ্যমে হত্যার যে চিত্র আইএস দিয়েছে তার চেয়ে ভিন্ন কায়দায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সন্দেহ, সরাসরি আইএসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তাদের মতাদর্শের অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে আইএসের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।