বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট, জানিয়েছেন দেশটির একজন আইনপ্রণেতা।
১৭ জুলাই, ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এতে সামরিক বাহিনী লোকজনকে আটক করার, জনসমাবেশ সীমিত করার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা পায়।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেন। এরপর পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হন বিক্রমাসিংহে।
বুধবার নেওয়া পার্লামেন্টের জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পেলে আরও এক মাস বজায় থাকবে বলে ওই আইনপ্রণেতার বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে খাবি খাচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় জ্বালানি, খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। এ কারণে কয়েক মাস ধরে দেশটিতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
গোটাবায়া পদত্যাগ করায় ও বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিরাজমান জরুরি অবস্থার মধ্যে শ্র্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেকটা কমেছে, বিক্ষোভও স্তিমিত হয়ে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে ভারত, চীন ও জাপানকে নিয়ে দাতা সম্মেলন করার পরিকল্পনা করেছেন। একটি বেইলআউট প্যাকেজ নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনাও এখন সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ বাজার থেকে, তারপর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের পাশাপাশি জাপানও দেশটির ঋণের এক বড় যোগানদাতা।