অন্তত এক মাস আগ থেকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দেয়।
Published : 25 May 2023, 12:34 PM
হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে ‘হার্ট অ্যাটাক’ হতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল’য়ের করা গবেষণার বরাত দিয়ে জানায়, ৫০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
এই লক্ষণগুলোর বিষয়য়ে সতর্ক থাকলে ও সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিপদের আগেই সাবধান হওয়া সম্ভব।
প্রারম্ভিক সতর্কতা চিহ্নের ওপর সমীক্ষা
গবেষণায় ৫০০জন নারীর ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশরই আক্রমণের ‘এক মাস বা তার আগে’ সতর্কতা চিহ্ন দেখা দিয়েছিল।
এই ধরনের লক্ষণ একদিন, সপ্তাহ বা এমনকি মাসব্যাপী দেখা দিয়েছিল। এই সময়সীমা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
দুর্বলতার দিকে মনযোগ
জরিপ অনুসারে, হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে আসা ৭১ শতাংশ রোগীদের অস্বাভাবিক ক্লান্তি হল সর্ব প্রাথমিক সতর্কতার চিহ্ন।
ক্লান্তিভাবের মধ্যে রয়েছে অত্যাধিক ক্লান্তি, শারীরিক ও মানসিক প্রেরণার অভাব ও দুর্বলতার। দৈন্দিন কাজ যেমন- গোসল করা, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি হঠাৎ অনেক বেশি ক্লান্তিকর মনে হওয়া।
হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ ক্লান্তি সৃষ্টি করে। যদি রক্ত প্রবাহ বন্ধ থাকে তাহলে হৃদপিণ্ড আরও জোরে রক্ত পাম্প করার চেষ্টা করে এতে ক্লান্তিভাব বাড়ে।
দুর্বলতা ছাড়াও, হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি লক্ষণ হল বুক শক্ত হয়ে আসা ও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। শ্বাস কষ্টও বাড়তি চাপের সৃষ্টি করে।
নারীদের মাঝে এই লক্ষণ বেশি দেখা দেয়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই রকম প্রাথমিক লক্ষণগুলো পুরুষের তুলনায় নারীদের মাঝে বেশি দেখা দেয়।
অধিকাংশ মানুষই এই লক্ষণ চিহ্নিত করতে ভুল করেন এবং এগুলো স্থায়িত্ব কম হওয়াতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন না।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
প্রারম্ভিক লক্ষণগুলো ছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের আগে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
যেমন- মানসিক চাপ, ভারীভাব, শক্ত হয়ে আসা বা বুকের মাঝে চাপ দিয়ে ব্যথা হওয়া, ব্যথা বুক থেকে বাহু, থুতনি, পিঠ ও পেটে ছড়িয়ে পড়া, হালকা মাথা ব্যথা বা ঝিম ঝিম ভাব, ঘাম হওয়া, দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস, বমিভাব বা বমি ইত্যাদি।
অনেকের ক্ষেত্রে উদ্বগ, কাশি বা শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
হার্ট অ্যাটাকের যে উপসর্গ অনেকেরই অচেনা