একে অন্যকে দোষারোপ করার মাত্রা কমাতে চাইলে ঝগড়ায় বিরতি নিন।
Published : 23 Sep 2024, 05:20 PM
এরপর কোনো ঝগড়া লাগলে মাত্র পাঁচ সেকেন্ড বিরতি নিন। তাহলেই কমে আসবে কটু কথা বলার মাত্রা, হবে উত্তপ্ত পরিস্থিতির অবসান।
আর এই তথ্য মিলেছে ‘স্কটল্যান্ড’স ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট. অ্যান্ড্রুস’য়ের ৮১টি যুগলদের ওপর গবেষণার মাধ্যমে।
‘ন্যাচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণার প্রধান এবং মনোরোগ ও স্নায়ুবিজ্ঞানের পিএইচডি’র শিক্ষার্থী অ্যানা ম্যাককারি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা দেখতে চেয়েছিলাম জোর করে ঝগড়ায় মাঝে বিরতি নিলে নেতিবাচক অনুভূতি কমানো যায় কি-না।”
সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ম্যাককারি ও তার সহকর্মীরা আরও বলেন, “আমরা সত্যি অবাক হয়েছি, যখন দেখেছি ঝগড়ার মাঝে পাঁচ, ১০ এবং ১৫ সেকেন্ড বিরতি নিতে পারলে উভয়ের মাঝে একই প্রভাব পড়ে। আর নেতিবাচক অনুভূতি হ্রাস পেয়ে চড়াও হওয়ার স্বভাব কমে।”
“আমরা ভেবেছিলাম পাঁচ সেকেন্ড হয়ত অনেক কম। তবে বিষয় হল সেকেন্ডের হিসাবে প্রভাবের পার্থক্য দেখা গেছে”- বলেন এই গবেষক।
তবে তিনি মন্তব্য করেন, “এই পদ্ধতি দম্পতি বা যুগলদের মধ্যে সাধারণ ঝগড়ার মধ্যেই কার্যকর। নির্যাতন ও ‘ডমেস্টিক ভায়োলেন্স’ বা পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না।”
এই ধরনের বিরতির চর্চার বিষয়ে অনেক আগে থেকেই মনোবিজ্ঞানিরা পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
‘ইউনিভার্সিটি অফ সাসেক্স’য়ের মনোবি্জ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মারিকা ভিসারম্যান একই প্রতিবেদনে বলে, “যথন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় তখন স্বল্প বিরতি নিলে মানুষের আগ্রাসী মনোভাব কমে।”
তিনি আরও বলেন, “এর মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের মস্তিষ্ক কত দ্রুত কাজ করে। স্বল্প এই বিরতিতেই ঘটে যায় জাদুকরী বিষয়।”
তিনি পরামর্শ দেন, ঝগড়ার মাত্রা বেশি হলে বিরতির সময়ও বাড়াতে হবে।
তবে ভিন্ন মত পোষণ করেন যুক্তরাজ্যের চারিত্রিক মনোবিজ্ঞানি অড্রে ট্রাং।
তার কথায়, “এই গবেষণাটি করা হয়েছে শিক্ষার্থী যুগলদের ওপর, যারা একসঙ্গে বসবার করেন না। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন যারা পার করছেন তাদের এই কৌশলের পরিবর্তন আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যাদের সংবার জীবন আট বছর পার হয়ে গেছে তাদের কথা বলার ঢং, চাহিদা, কৌশল, ঝগড়ার পদ্ধতি বিষয় সব কিছুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তারা একে অন্যকে থামিয়ে দেওয়ার বা উত্তপ্ত অবস্থা নিরসনে কী করতে হবে সেটা তাদের মতো করে ভালো জানেন।”
আরও পড়ুন