ত্বক উজ্জ্বল রাখতে পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার।
Published : 26 May 2023, 08:30 PM
পরিবেশ দূষণ, ক্ষতিকর জীবাণু এবং পানির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি।
ভারতের ‘দাদু মেডিকেল সেন্টার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং চর্ম বিশেষজ্ঞ ডা. নিবেদিতা দাদু এই বিষয়ে বলেন, “পিএইচ স্কেল কোনো পদার্থের অম্লতা ও ক্ষারত্ব পরিমাপ করে। এবং শূন্য থেকে ১৪ পর্যন্ত পরিমাপ করে। যেখানে নিরপেক্ষ মাপ হল সাত। সাতের নিচে মানগুলোকে অম্লীয় এবং এর ওপরের মানগুলোকে ক্ষারীয় ধরা হয়।”
সুস্থ ত্বকের পিএইচ মাত্রা সামান্য অম্লীয় , ৪.৫ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত।
এই বিষয়ে তিনি আরও বিস্তারিত জানান টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
পিএইচ’য়ের ভারসাম্যহীনতা সুরক্ষার স্তরে বাধার সৃষ্টি করে নানান রকম ত্বকের জটিলতা যেমন- শুষ্কতা, সংবেদনশীলতা, প্রদাহ ও ব্রেক আউট সৃষ্টি করে।
ত্বকের পিএইচের মাত্রা খুব বেশি বা কম থাকলে তা ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কারণ, নানান রকম ত্বকের সমস্যা যেমন- ব্রণ, একজিমা ইত্যাদি দেখা দেয়।
পিএইচ মাত্রা বজায় রাখার কয়েকটি উপায়ও রয়েছে।
পিএইস ভারসাম্যকারী প্রসাধনী ব্যবহার
পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় থাকে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ’য়ের মাত্রা বজায় থাকে।
ত্বক ভেদে পিএইচ’য়ের মাত্রা ভিন্ন হয়ে থাকে। সেটা বুঝে নিজের জন্য প্রসাধনী বাছাই করতে হয়।
খুব ক্ষারীয় পণ্য ব্যবহার যেমন- শক্ত সাবান, ত্বকের পিএইচ’য়ের ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। ফলে ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা বা জ্বালা পোড়া হতে পারে।
কড়া ও ক্ষারীয় পণ্য বাদ দেওয়া
কড়া ও ক্ষারীয় পণ্য ত্বকের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য ব্যাহত করে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। উচ্চ মাত্রায় অ্যালকোহল বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত স্ক্রাব, অ্যাস্ট্রিজেন্টস এবং টোনারের পরিবর্তে পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষা করে এমন মৃদু ক্লেঞ্জার বাছাই করা উপকারী।
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েটিং এড়িয়ে চলা
এক্সফলিয়েটিং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে।
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করা ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ’য়ের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে জ্বলুনি ও প্রদাহ দেখা দেয়।
তাই ত্বকের সুস্থতায় সপ্তাহে দুয়েকবার মৃদু এক্সফলিয়েটর দিয়ে এক্সফলিয়েট করা নিরাপদ।
আর্দ্র থাকা
পর্যাপ্ত পানি পান ত্বকের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম শর্ত। পানি দেহের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে সুস্থ সুন্দর ত্বক নিশ্চিত করে।
পানিশূন্য ত্বক দেখতে মলিন, শুষ্ক ও খসখসে লাগে।
তাই আর্দ্রতা রক্ষায় দৈনিক আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
সুন্দর ত্বকের জন্য এর পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
পিএইচের ভারসাম্যযুক্ত ত্বকের প্রসাধনী ব্যবহার করে, কড়া ও ক্ষারীয় পণ্য এড়িয়ে চলে, কম এক্সফলিয়েশন করলে এবং সঠিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পানি পান করে ত্বকের পিএইচ বজায় রাখা যায়।
একই সাথে ত্বকও হয় উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন