কলার তৈরি প্যাক চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে উজ্জ্বল ও ঘনভাব ফুটিয়ে তোলে।
এছাড়াও, এতে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা খুশকি কমাতে সহায়ক।
ভারতের ব্লসম কোচ্চার গ্রুপ অব কোম্পানিজ’য়ের পরিচালক ব্লসম কোচ্চার চুলে মসৃণ ও উজ্জ্বলভাব আনতে কলার তৈরি কয়েকটি কার্যকর মাস্কের উপকারিতা সম্পর্কে জানান টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
চুলে অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহারে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। আর চুল পড়া শুরু হয়। তাই চুলের প্রসাধনী নির্বাচনে সতর্ক হওয়া জরুরি।
গরমের চুলের যত্নে
গরমে চুলের বাড়তি যত্নের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক উপকারী। কলার সাথে দুধ বা মাখন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে ব্যবহারে আর্দ্রতা রক্ষা পায় এবং আগা ফাটা কমে।
মাস্ক তৈরিতে একটা কলা, এক চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল এবং এক চা-চামচ জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে মসৃণ প্যাক তৈরি করে নিতে হবে।
প্যাক চুলে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আর্দ্রতা রক্ষা করতে
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ১৫ দিন পর পর আর্দ্রতা রক্ষাকারী প্যাক ব্যবহার করা উচিত।
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে একটা পাকা কলার সাথে এক টেবিল-চামচ জলপাইয়ের তেল ও এক চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
প্যাক চুলে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কলার দানা চুলে আটকে থাকলে আরেকবার চুল ধুয়ে নিতে হবে।
রুক্ষ ও খসখসে চুলের সমস্যা সমাধানে
এক টেবিল-চামচ কন্ডিশনার, অর্ধেক কলা চটকানো, এক টেবিল-চামচ লেবুর রস, এক চা-চামচ জলপাইয়ের তেল, দুই টেবিল-চামচ দই এবং দুতিন ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে।
মাস্কটি চুলে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এতে চুল মসৃণ, চকচকে ও উজ্জ্বল হবে।
দ্রুত ও কার্যকর মাস্ক
একটা কলা, এক চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল ও এক চা-চামচ জলপাইয়ের তেল নিয়ে ভালো মতো মিহি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
মিশ্রণটি চুলে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন