ডায়াবেটিস থাকলে সকালের নাস্তায় বিশেষ নজর দিতে হয়।
Published : 20 Sep 2022, 06:23 PM
সকালের নাস্তায় কফি হতে পারে ডায়াবেটিকদের জন্য ক্ষতিকর।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল সকালের নাস্তা। অনেকেই ওজন কমাতে বা ব্যস্ততার কারণে সকালে ঠিক মতো নাস্তা করেন না। তবে এর ফলাফল হয় বিপরীত।
সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার ফলে নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে, বিপাক ধীর হয়, ওজন বাড়ে এমনকি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায়।
তাই দিনের শুরুতে কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে।
খাদ্য, স্বাস্থ্য আর রক্তের শর্করা
কফি এটা ক্লাসিক পানীয়। তবে সকালে কফি পান অনেক ক্ষেত্রেই হতে পারে ক্ষতির কারণ।
‘দ্যা ফার্স্ট টাইম মম’স প্রেগনেন্সি কুকবুক’, ‘দ্যা সেভেন ইনগ্রিডিয়েন্স হেলদি প্রেগনেন্সি কুকবুক’ এবং ‘ফুয়েলিং মেইল ফার্টিলিটি’ বইয়ের মার্কিন লেখক নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ লরেন মানাকার বলেন, “অনেক ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে সকালে ক্যাফেইন গ্রহণ রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়।”
এই পুষ্টিবিদের মন্তব্যের পাশাপাশি ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো কিনিকের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি ডায়াবেটিস হয়েছে এবং ইন্সুলিন নেওয়া লাগছে এরকম রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে ক্যাফেইন গ্রহণ (প্রায় ২০০ মি.গ্রা) রক্তে শর্করার মাত্রার হ্রাস বৃদ্ধির ওপর ভূমিকা রাখে।
তাছাড়া সকালে খালি পেটে কফি খাওয়া এর মাত্রা আরও বাড়ায়।
নিউ ইয়র্ক’য়ের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন একই প্রতিবেদনে বলেন, “ফলের রস দ্রুত কার্বোহাইড্রেইট সরবরাহ করতে পারে। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে দ্রুত।”
প্রতিদিন ফলের রস খাওয়া মানে হল- ধীরে হজমযোগ্য, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী আঁশের অনুপস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মতে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আঁশ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। শরীর আঁশ ভাঙতে বা শোষণ করতে পারে না। এর মানে হল, এটা কার্বোহাইড্রেইটের মতো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
সমাধান
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সকালে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিতে হবে।
গ্রিনের মতে, “কফির সঙ্গে প্রোটিন বা স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এতে ক্যাফেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
কফির সঙ্গে ডিম ভাজা খাওয়ার পরামর্শ দেন, পুষ্টিবিদ মানাকার। ডিম স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, চর্বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। খাবারের এই সমন্বয় রক্তে শর্করার মাত্রা সহ্যকর পর্যায়ে রাখতে সহায়তা করে।
গ্রিন আরও পরামর্শ দেন, “স্বাস্থ্যকর চর্বি হিসেবে একমুঠ বাদাম বা এক টেবিল-চামচ বাদামের মাখন, ফলের রসের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। এতে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং ক্ষুধাভাব ও দুর্বলতা কমবে।”
আরও পড়ুন