এই গরমে বাসায় শান্তিভাব আনতে বেশি খরচের দরকার নেই।
ঘরের আসবাব পরিবর্তন করতে গেলে খরচের কথাটা মাথায় চলে আসে। তবে কয়েকটি জিনিস পরিবর্তন করে গ্রীষ্মে সহজেই সতেজ অনুভূতি আনা যায় ঘরে।
বিছানার চাদর
কড়া রং গরমকালে আরও বেশি গরম লাগায়। তাই বিছানায় যদি হালকা রং ব্যবহার করা যায় তবে মনে প্রশান্তি খেলা করবেই।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হোমগুডস স্টাইল’ বিশেষজ্ঞ জেনি রেমল্ড’য়ের ভাষ্য হচ্ছে, “বিছানা সাজানো হতে পারে ঘরে প্রশান্তি আনার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।”
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি পরামর্শ দেন, “পুরো বেডরুমের সাজসজ্জা পরিবর্তের চাইতে বিছানার চাদরের দিকে নজর দিন। হালকা রংয়ের সরলরেখাযুক্ত নকশার বিছানার চাদর বিছিয়ে দেখুন। মুহূতেই ঘরে আসবে শান্তি শান্তি ভাব।”
এছাড়া নতুন চাদর কেনার ক্ষেত্রে গরম কম লাগে এমন কাপড় বেছে নিন। সুতি হতে পারে আদর্শ।
বালিশ
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘এভার্স কালেক্টিভ অ্যান্ড ডেকোরেট বাই ন্যান্সি এভার্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ন্যান্সি এভার্স একই প্রতিবেদনে বলেন, “বিছানা আর সোফার বালিশ পরিবর্তন করলে ঘরে এক ধরনের সতেজভাব খেলা করে।”
তবে বিছানায় যেমন হালকা রংয়ের চাদর বেছে নিচ্ছেন। বালিশের ক্ষেত্রে বেছে নিন উজ্জ্বল তবে হালকা কাপড়ের কুশন।
হালকা ও গাঢ় রংয়ের এই খেলায় ঘরে ফুটে উঠবে প্রফুল্লভাব।
ভারী পর্দা আর নয়
শীতকালে হয়ত ভারী পর্দা কার্যকর। তবে গরম যতই থাকুক, বাইরের বাতাস ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা করলে বাসার ভেতর সতেজভাব খেলা করে।
এই কারণে ন্যান্সি, ভারী পর্দা সরিয়ে হালকা কাপড়ের পর্দা ঝোলানোর পরামর্শ দেন। আর বেছে নিতে বলেন প্রাকৃতিক যে কোনো রং। হালকা সবুজ বা নীল হলে বেশ হয়।
প্রকৃতির ছোঁয়া
ঘরের ভেতর ফাঁকা কোনায় কিংবা প্রধান দরজার সামনের অংশে পাতাবহুল কিছু গাছ রাখার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গৃহসজ্জাকর উর্সালা কার্মোনা।
তিনি বলেন, “বাগান করার অভ্যাস না থাকলে, কৃত্রিম গাছ দিয়ে অন্দরসজ্জা করলেও একই রকম সতেজ অনুভূতি কাজ করবে। পাশাপাশি যত্ন কম করতে হয় এরকম গাছ দিয়েও বারান্দার একটি অংশ সাজিয়ে নিতে পারেন।”
কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক দুই ধরনের গাছ দিয়েও বাসা সাজানো যায়। সোফার কর্নার টেবিল কিংবা মাঝের টেবিলে রাখা যেতে পারে লতানো ছোট গাছ।
এভাবে কৃত্রিম গাছের সঙ্গে ছোটখাট প্রাকৃতিক গাছের সমন্বয় করে রাখতে পারলে দেখতেও ভালো লাগে। পাশাপাশি গাছের সবুজের কারণে ঘরে ফুটবে সতেজ ভাব।
আরও পড়ুন