শুধু ঠাণ্ডা-কাশি নিরাময়ে নয়, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে আদা।
Published : 07 Dec 2023, 11:53 AM
দূষণ, আবহাওয়া পরিবর্তন, জীবনযাপন পদ্ধতিসহ নানান কারণে দেহে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, চুলও সেখান থেকে রেহাই পায় না।
ফলে চুল পাতলা হওয়া অকালে পেকে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। আর এর সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আদা ব্যবহার করা উপকারী।
এই বিষয়ে হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দিল্লির অ্যাপোলো হসপিটালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডিএম মহাজন বলেন, “আদা আন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী যৌগ সমৃদ্ধ। এটা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।”
এতে থাকা ‘জিঞ্জেরল’ উপাদান মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার পাশাপাশি ফলিকলে পুষ্টি সরবরাহ করে। এর জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য চুলের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সমস্যা, যেমন- খুশকি ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করে মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
উপকারিতা
আদা সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটা চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে এর প্রমাণ সীমিত বলে জানান এই ত্বক বিশেষজ্ঞ। চুলের ক্ষেত্রে এর উপকারিতার মধ্যে রয়েছে-
চুল পড়া কমায়: আদা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ফলিকল উজ্জীবিত করে চুল মজবুত ও লম্বা হতে সহায়তা করে। এতে থাকা নানান রকম ভিটামিন, খনিজ ও ফ্যাটি অ্যাসিডস চুল শক্ত করতে, চুল পড়া কমাতে ও আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে।
খুশকির সমস্যা কমায়: আদাতে আছে জীবাণুরোধী ক্ষমতা যা খুশকির সমস্যা কমিয়ে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও অন্যান্য চুলের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
ভালো ফলাফল পেতে তাজা আদার রস শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা উপকারী।
চুল কন্ডিশনিং করে: আদাতে আছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনিং উপাদান যা চুলকে দেখতে ও অনুভবে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তাজা আদাতে থাকা বিশেষ তেল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত ও ভঙ্গুর হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
আগা ফাটা কমায়: চুলের আগা ফাটার সমস্যা থাকলে তাজা আদার গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে স্প্রে করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে নিতে হবে। চুল বড় না হলে আদাকে ‘লিভ ইন কন্ডিশনার’ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এর কোমলভাব চুলের জট ছাড়াতে সহায়তা করে।
চুলের নিয়মিত যত্নে যেভাবে আদা ব্যবহার করা যায়
তাজা আদার কুচি থেকে রস বের করে জলপাইয়ের বা নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে সরাসরি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে আলতোভাবে মালিশ করে নিতে হবে।
পুষ্টি শোষণের জন্য আধা ঘন্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ডা. মহাজন বলেন, “চুলের যত্নে আদা যোগ করতে চাইলে আগে প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো।”
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি?
আদা ব্যবহারে মাথার ত্বকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া যেমন- ত্বকে অস্বস্তি, লালচেভাব বা জ্বলুনির সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত আদা ব্যবহারে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে নানানবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও ত্বক যাদের সংবেদনশীল তাদের আদা ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যহারের আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন