“তরুণ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি আমি। দেখাতে চেয়েছি কঠিন সংগ্রামের পরও কীভাবে এদেশের মানুষ, এত প্রানোচ্ছ্বল জীবনযাপন করে। সারা বিশ্বের গড়পড়তা মানুষ আসলে যেই চোখে বাংলাদেশকে দেখে, তার বাইরে থেকে শিল্পীর চোখ দিয়ে অসাধারণ সুন্দর এই দেশটাকে তুলে ধরতেই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী আয়োজন করতে চেয়েছি।"
Published : 18 Oct 2014, 08:02 PM
বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারিতে আলাপচারিতাকালে এমনই ঢংয়ে নিজের কথা জানালেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেহাদা। অবশ্য নেহায়েত সময় কাটাতে নয়, বরং স্পেন দূতাবাস ও দৃকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'ইন্সপারেশন' বা অনুপ্রেরণা শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন ও প্রতিযোগিতার পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসেই, এমনটা বলেছেন লুইস।
প্রতিযোগিতার জন্য আলোকচিত্র আহ্বান করা হয়েছিল বেশ আগেই। আর সেখানে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ২৭ অগাস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমাও পড়েছে প্রায় চার হাজারেরও বেশি আলোকচিত্র। বিচারকমণ্ডলির নির্ধারিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই ৫৭টি অনুপ্রেরণাদায়ক মুহূর্ত বাছাই করেছেন, যা দিয়ে সাজানো হয়েছে দৃক গ্যালারির এই প্রদর্শনী।
প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক মুহূর্ত। তাই ধানমণ্ডির এই গ্যালারি ঘুরে দেখতে পাওয়া যাবে, বেশ কিছু অসাধারণ আলোকচিত্র।
এমনিতেই বেশ কয়েক বছর হল সারাবিশ্বের শিল্পবাণিজ্যে বাংলাদেশের আলোকচিত্র বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। তার উপর, এমন ধরনের আয়োজন যেখানে পুরষ্কার জেতারও সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে শিল্পের ব্যাপারে তরুনদের আরও উৎসাহী করে তুলবে। এছাড়া প্রদর্শনী আয়োজনের পাশাপাশি নির্বাচিত আলোকচিত্র নিয়ে একটি বই প্রকাশনার উদ্বোধনও করা হয়েছে, যেখানে সহজেই দেখা মিলবে দারুণসব আলোকচিত্র।
তবে পুরষ্কার বিজয়ী আরেক আলোকচিত্রী কায়সার আহমেদ বলেছেন একটু ভিন্ন কথা, “অবশ্যই এমন উদ্যোগ তরুণদের প্রেরণা যোগাবে। তবে বইটি ক্যাটালগের মতো না হয়ে, প্রচলিত ফটোবুক ধাঁচের হলেই আরও বেশি ভালো হত।"
১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। আর প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই আয়োজন।
দৃক গ্যালারির ঠিকানা: বাসা ৫৮, রোড ১৫এ (নতুন), ধানমণ্ডি, ঢাকা ১২০৯।
ছবি: ফায়হাম ইবনে শরীফ