ঢাকা শহরে এখন কেবল বার্গারেরই দোকান হয়েছে বেশ কটি। এর মধ্যে স্বাদে ভিন্নতার কারণে খাদ্যরসিকদের সমর্থনও কোনও কোনও দিকে একটু বেশিই ঝুঁকে থাকে। কেবল স্বাদ বা গন্ধে নয় বার্গার প্রস্তুতিতেও যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
Published : 13 Sep 2014, 06:51 PM
অনেকেই চেষ্টা করছেন পশ্চিমা ধাঁচে এই খাবারটি বানাতে। সেটাই অবশ্য হওয়ার কথা কারণ এই খাবার যে ওই দুনিয়ার!
কামাল আতার্তুক রোডের প্রীতম বার্গার দোকানের বার্গারে ব্যবহার করা হয় এদের নিজস্ব রসুইঘরে তৈরি প্যাটি।
প্রীতম বার্গারের দাবি "এতে ব্যবহার করা হয় বাজারের সেরা গরুর মাংসের কিমা।"
কোনও ধরনের মসলাবিহীন সেই প্যাটির উপরে দেওয়া হয় নিজস্বভাবে তৈরি বারবিকিউ সস। আর বার্গার বানে (রুটি) ব্যবহার করা হয় ‘গোপন’ রেসিপির একটি ককটেইল সস, সঙ্গে কুচি করে কাটা লেটুস।
এখানকার শেফের মতে, "এই সসই হল প্রীতম বার্গারের মূল বিশেষত্ব!"
ঢাকা শহরের যেকটি রেস্তরাঁয় বেইকন (বিফ) ব্যবহার করা হয় তা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে সম্ভবত খোঁজা যাবে!
তবে প্রীতমে বার্গার বানানোর সময় প্যাটির উপরে সাজিয়ে দেওয়া হয় দুটি বিফ বেইকন। তাতে দেওয়া হয় বাটারের প্রলেপ। প্যাটি আর বেইকন সবই গ্রিল করা হয় রেসিপি অনুযায়ী নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, যাতে স্বাদের তারতম্য না হয়।
মোৎজারেল্লা চিজের সঙ্গে এই সস ও বেইকনের মিশ্রণ স্বাদের ইন্দ্রিয়তে একটু আলাদা নাড়া দেবে বৈকি!
“দেখুন, বার্গার বলুন আর পিৎজা, স্বাদে ভিন্নতা চাইলে অনেক রকমের খাবার পরিবেশন করা সম্ভব। আমাদের কাছেও স্বাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটি বিষয়। সেটি হল পরিচ্ছন্নতা। স্বাস্থ্যসম্মত কিচেন আমাদের পয়লা শর্ত।” বললেন প্রীতম বার্গারের উদ্যোক্তা প্রবীর সরকার।
এই বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরির করার জন্য প্রীতমের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়!
বসার ব্যবস্থা আছে ২০ জনের। তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়তি আরও ৪০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে।
খোলা থাকে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। ঠিকানা ৩২ নম্বর বাড়ি, নীচ তলা, কামাল আতার্তুক অ্যাভনিউ।