আর এই ফলাফল পাওয়া গেছে নিউ জার্সি’র রাটগার্স ইউনিভার্সিটি ও ফিলাডেলফিয়া’র ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায়।
রাটগার্স ইউনিভার্সিটি’র আয়োজিত এই পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় অংশ নেন ২০৭ জন স্থূল ও অতিরিক্ত ওজনধারীরা।
লক্ষ্য ছিল প্রতিদিন শারীরিকভাবে ক্যালরি খরচের চাইতে ৫শ’ ক্যালরি কম গ্রহণ করার মাধ্যমে ওজন কমানো।
গবেষকদের বরাত দিয়ে ইনসাইডর ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরিমিত আকারে প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা (দৈনিক ২০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণের মধ্যে ১৮ শতাংশ প্রোটিনের মাধ্যমে গ্রহণ) বাড়ানোর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও চর্বিহীন পেশি গঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি প্রোটিন গ্রহণ করেছেন তারা তাদের সঙ্গীর মতোই ওজন কমাতে পেরেছেন (৬ মাসের মোট ওজনের ৫ শতাংশ কমেছে)। তবে ডায়েট চলার সময় তাদের মাঝে বেশি চর্বিহীন পেশি গড়তে দেখা গেছে।
পাশাপাশি দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা কম প্রোটিন গ্রহণ করেছেন, তাদের চাইতে বেশি গ্রহণকারীরা পত্রল সবুজ সবজির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি গ্রহণের মাত্রাও কমেছে।
এটা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে তা বুঝতে না পারলেও গবেষকরা আন্দাজ করেন যে, কম প্রোটিনের জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমিয়ে স্বাস্থ্যকর পূর্ণশষ্যের খাবার হয়ত এই ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
এই গবেষণায় সাধারণভাবে প্রোটিনের উৎস ছিল মুরগি ও গরুর মাংস, সামুদ্রিক খাবার, ডিম, বাদাম ও বীজ ধরনের খাবার।
যারা বেশি প্রোটিন গ্রহণ করছেন তাদের মাত্রা ছিল দৈনিক ৭৯ গ্রাম, যা কিনা পরিমিত পরিমাণ হিসেবে চিহ্নিত।
পুষ্টিবিদরা সাধারণত প্রতি পাউন্ড দেহের ওজন অনুসারে প্রতিদিন অন্তত ৩৬ থেকে ৩৭ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খেলোয়াড় বা যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ বাড়তে পারে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারী যিনি সপ্তাহে দুতিন ঘণ্টা ব্যায়াম করেন বা কর্মক্ষম থাকেন তার ওজন যদি ১৩০ পাউন্ড হয় তবে তার দৈনিক ৭০ থেকে ১১৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।
হজম ও কিডনি জটিলতা না থাকলে ৩৫ শতাংশের ওপরেও প্রোটিন গ্রহণ করা যায়। তবে পুষ্টিবিদদের মধ্যে বেশিরভাগেরই এই বিষয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন