টিনজাত টুনাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। তাজা টুনা খাওয়া পুষ্টিকর হলেও এতে রয়েছে পারদ যা অনেক ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
এক্ষেত্রে টিনজাত টুনা খাওয়া বিষক্রিয়ার ঝুঁকি কমায় ও পুষ্টি সরবারহ করে।
প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা বাড়ায়
খাবারে টুনা মাছ রাখা প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচা’রের তথ্যানুসারে ইটদিসনটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, তেলে রাখা ‘ক্যান্ড টুনা’তে থাকে ৪৬.৬ গ্রাম প্রোটিন, যেখানে পানিতে সংরক্ষিত টুনাতে থাকে ৩১.৭ গ্রাম প্রোটিন।
দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে তা প্রতি পাউন্ড ওজনে ০.৩৬ গ্রাম প্রোটিন সরবারহ করে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে টিনজাত টুনা মাছ খাওয়া যেতে পারে।
মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
টিনজাত টুনাতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এটা প্রদাহ ও চোখের শুষ্কতার সমস্যাও কমায়।
তেলে সংরক্ষিত টুনা ওজন বাড়াতে পারে
টিনজাত তেলে সংরক্ষণ করা টুনা মাছের তুলনায় পানিতে সংরক্ষিত টুনায় বেশি প্রোটিন ও স্বাদ বেশি থাকলেও তেলে সংরক্ষিত টুনায় ক্যালরি ও চর্বি থাকে বলে ওজন বাড়ায়।
তেলে সংরক্ষিত টুনায় প্রতি আউন্সে ৫৬ ক্যালরি ও দুই গ্রাম চর্বি থাকে। আর পানিতে সংরক্ষিত টুনায় প্রতি আউন্সে ২৪ ক্যালরি ও এক গ্রামের চেয়ে কম চর্বি থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কম ক্যালরি গ্রহণ করতে পানিতে সংরক্ষিত টিনজাত টুনা নির্বাচন করা ভালো।
ফোলা বা ফাঁপা অনুভব করা
টিনজাত টুনায় রয়েছে সোডিয়াম যা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ফোলাভাব অনুভব করায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওরেগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’র ‘লাইনস পলিং ইন্সটিটিউট’য়ের তথ্যানুসারে একই প্রতিবেদনে জানানো হয়, তেল বা পানিতে রাখা টুনা মাছ দৈনিক চাহিদার গড়ে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ সোডিয়াম সরবারহ করে।
নিয়মিত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণ করা ফোলাভাব সৃষ্টি করে। সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন পরিমিত টিনজাত টুনা মাছ খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত টুনা মাছ খাওয়া পারদের বিষক্রিয়া ঘটায়
তাজা টুনার চেয়ে টিনজাত টুনাতে পারদের মাত্রা কম থাকে, ফলে তা নিয়মিত খাওয়া যায়।
‘নিউরোটক্সিন’ হিসেবে পারদ এড়ানো উচিত। লেবেলে ‘লাইট টুনা’ লেখা থাকে। অর্থ এতে পারদের মাত্রা কম; যা প্রাপ্ত বয়স্করা সপ্তাহে একবার কোন ঝামেলা ছাড়াই খেতে পারেন।
লেবেল দেখে এবং পরিমিত টিনজাত টুনা মাছ খাওয়া হলে পারদের বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর পুষ্টি উপাদানও মেলে।
আরও পড়ুন