লবণের পরিবর্তে লবণাক্ত উপাদান

রান্নায় কাঁচা-লবণ ব্যবহার না করেও বিকল্প উপায়ে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর রয়েছে পন্থা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 01:40 PM
Updated : 19 Nov 2019, 01:40 PM

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে লবণ কম গ্রহণের কথা বলা হয়। কারণ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আর হৃদরোগ।

‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ দৈনিক ১,৫০০ মি.লি. গ্রাম লবণ গ্রহণের পরামর্শ দেয়। এক চা-চামচে ২,৩২৫ মি.লি. গ্রাম লবণ ধরে। অর্থাৎ দৈনিক এক চা-চামচেরও কম লবণ গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

বাসার রান্না, বাইরের খাবার সব মিলয়ে দৈনিক লবণ গ্রহণের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। তাই বাসার রান্নায় অন্যান্য উপাদান দিয়েও লবণে স্বাদ পূরণ করা যেতে পারে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে লবণের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায় এরকম কিছু উপাদানের নাম এখানে দেওয়া হল।

সয়া সস: রান্নার উপাদান হিসেবে সয়া সস ব্যবহারের কথা সবাই জানেন। তবে এটা ব্যবহার করলে কাঁচা-লবণ না দিলেও হয়। গাঁজানো সয়াবিন এবং লবণ মিশিয়ে সয়া সস তৈরি করা হয়। ঘন সস বলে রান্নায় অল্প ব্যবহার করাই যথেষ্ট। মুরগির মাংস মেরিনেইট করতে, ভাজা সবজি তৈরিতে সহজেই ব্যবহার করা যায় সয়া সস।

টিনজাত মাছ: বাজারে এখন টিনজাত অনেক রকম মাছ কিনতে পাওয়া যায়। যেমন- টুনা এবং সার্ডিন। এগুলো টিনজাত করার সময় লবণ ব্যবহার করা হয়। ফলে এসব দিয়ে রান্না করার সময় কাঁচা-লবণ ব্যবহার না করলেও হয়।

ফিশ সস: সয়া সসের মতেই ফিশ সসও রান্নার সময় লবণের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কারণ এটা তৈরি হয় মাছ গাঁজিয়ে ও লবণ দিয়ে। সেই সঙ্গে থাকে সামুদ্রিক স্বাদ। পিৎজা সস তৈরি, পাস্তা, নুডুলস কিংবা সালাদের ড্রেসিংয়ে ভালোমতোই ব্যবহার করা যায় ফিশ সস। আর পরিমাণ মতো ব্যবহার করলে রান্নায় আলাদা লবণ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।

আচার: যে কোনো ধরনের আচার তৈরি করতে তেল ও লবণ ব্যবহার করা হয়। আর আচার শেষ হয়ে গেলেও বোতলে রয়ে যাওয়া মসলা-তেলের মিশ্রণটি লবণের বিকল্প হিসেবে সহজেই ব্যবহার করা যায়। অন্তত মাখানো মুড়ি কিংবা সালাদে-তো অবশ্যই।

লেবুর রস: কোনো খাবার যদি খেতে স্বাদহীন লাগে তবে লবণ নয় বরং যোগ করতে পারেন লেবুর রস। এর অ্যাসেডিক স্বাদ খাবারে নিয়ে আসে আলাদা ভাব। সালাদ, সিদ্ধ এবং সৌতে করা সবজি, গ্রিল্ড ফিশ বা চিকেন, সস কিংবা সুপে লবণের পরিবর্তে আরমসেই লেবুর রস ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো হয়।

টক ফলের খোসা: শুধু রস নয়- লেবু বা কমলা লেবুর খোসা কুচি করে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে স্বাদ বাড়ানো যায়। মেরিনেইট করতে কিংবা যে খাবার বেইকড করা লাগে সেগুলোতে টক ফলের রসের চাইতে খোসা ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়ে।

ভিনিগার: আগেই বলা হয়েছে খাবার খেতে স্বাদহীন লাগবে লবণ নয় যোগ করতে হবে খাবার-অ্যাসিড। আর এই ক্ষেত্রে ভিনিগার সুন্দর সমাধান। সালাদের ড্রেসিং, খাবার মেরিনেইট করতে ভিনিগার হয়। এক্ষেত্রে লবণ ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। সাদা, কালো বা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পরিমাণ বুঝে ব্যবহার করে খাবারের স্বাদ বহুগুনে বাড়ানো সম্ভব।

উপরের উপাদানগুলো সাধারণ মাছ মাংস রান্নায় ব্যবহার করা না গেলেও দৈনিক লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমাতে অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা যেতেই পারে।

ছবি: পিক্সাবে ফ্রি পিকচার

আরও পড়ুন