সকালের নাস্তায় প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট খেলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই।
Published : 23 Mar 2022, 06:32 PM
দিন শুরু হয় সকালের নাস্তা দিয়ে, আর সেই খাবারটা স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। তবে ব্যস্ততার জন্য ওই সকালের নাস্তার সময়ই থাকে রাজ্যের তাড়াহুড়া। তাই সবাই ‘শর্টকাট’ খোঁজে।
আর ‘শর্টকাট’ মানেই কেক, পাউরুটি, পেস্ট্রি ইত্যাদি যার সবই ‘রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট’ এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব অত্যন্ত খারাপ।
শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পেটের মেদ কমানো সবচাইতে কষ্টের। সেই কষ্ট সাধন করতে হলে প্রোটিন খেতে হবে বেশি।
সকালের নাস্তায় সেজন্য ডিম আদর্শ খাবার। সঙ্গে খেতে পারেন ঘরে তৈরি রুটি, টকদই ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যালান্স ওয়ান সাপ্লিমেন্ট’য়ের পুষ্টিবিদ ট্রিস্টা বেস্ট ‘ইট দিস’ ওয়েবসাইট’য়ের এক প্রতিবেদনে বলেন, “সকালের নাস্তায় প্যাকেটজাত পাউরুটি, ডোনাট, ‘মিল রিপ্লেসমেন্ট বার’ ইত্যাদি একেবারে বাদ দিতে পারলেই ভালো। কারণ এগুলোতে থাকা প্রক্রিয়াজাত ‘কার্বোহাইড্রেট’ ও চিনি মূলত পেটে মেদ জমায়।”
এগুলোতে ক্যালরির মাত্রাও থাকে বেশি। এতে থাকা উপাদানগুলো শরীরের প্রদাহ সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে হুট করে। আর এত কিছুর পরও খুবই অল্পসময় পেট ভরা রাখে এগুলো।
ফলে দুপুর গড়ানো আগেই আবার ক্ষুধা লাগে, বাড়ে খাওয়ার পরিমাণ।
কার্বোহাইড্রেট আর পেটের মেদের সম্পর্ক
বেস্ট বলেন, “নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেতে থাকলে দ্রুত পেটে মেদ জমে।”
‘দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও জানান, পেটের মেদ ও প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট’য়ের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক আছে।
আর প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট’য়ের বদলে পরিপূর্ণ শষ্যজাতীয় খাবার খেলে পেটের মেদ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়।
যা করতে হবে
কেক-জাতীয় খাবারগুলো একেবারে বাদ দেওয়া ঝক্কির হতে পারে। সেক্ষেত্রে এগুলো কীভাবে খাবেন সেখানে পরিবর্তন আনতে হবে।
কালেভদ্রে খেলে সমস্যার তীব্রতা বেশি হবে না। তার সেগুলোর খাওয়ার সময় সঙ্গে অন্যান্য উদ্ভিজ্জ পুষ্টিকর খাবার থাকতে হবে। যেমন- যদি মাফিন বা পাউরুটি খান তবে সঙ্গে ডিম, টকদই রাখুন।
আরও পড়ুন