বয়স চল্লিশ হলে শরীরে নানান পরিবর্তন আসে। ফলে মেদ কমানো সহজ হয় না।
Published : 23 Nov 2020, 12:33 PM
পেটে মেদ জমা সবার জন্যই বিরক্তিকর। পেটের মেদ কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা কার্যকর। তবে বয়স চল্লিশ পেরুলে এই কাজগুলো হয়ে পরে কষ্টসাধ্য। কারণ এই সময় শরীরে নানান পরিবর্তন আসে।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে চল্লিশের পরে পেটের মেদ জমার নানান কারণ ও সমাধান সম্পর্কে জানান হল।
চল্লিশের পরে পেটের মেদ কমানো কষ্টকর
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশি ভর হারাতে থাকে, ফলে কমতে থাকে বিপাক ক্ষমতা। বিপাক হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালরি খরচের হারও কমা শুরু করে। তাই সহজেই ওজন বেড়ে যায়, বিশেষত শরীরের মাঝামাঝি অংশ অর্থাৎ পেটের অংশে।
এছাড়াও এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তন হয়। ওজন বাড়া বা কমা দুটাই হরমোনের ওপর প্রভাব রাখে।
নারীদেহে স্বাভাবিকভাবে কোমল চর্বি পেটের অংশে জমাট বাঁধে। এটা সাধারণত বয়ঃসন্ধির পর থেকে শুরু হয় এবং বয়স চল্লিশ অব্দি স্থায়ী থাকে।
নারী ও পুরুষ সবারই চল্লিশের পরে হরমোনে পরিবর্তন আসে। এই সময়ে নারীদের মেনোপোজ ও পেটের মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে এবং টেস্টোস্টেরন ও এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় পুরুষদেরও পেটের চর্বি জমার প্রবণতা বেড়ে যায়।
পেটের মেদ কমানো যে কারণে জরুরি
শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটের মেদ কমানো বেশি কষ্টকর। পেটের অভ্যান্তরে জমে থাকা মেদ শরীরের জন্য নানাভাবেই ক্ষতিকারক। এটা শ্বাসের সমস্যা, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়।
চল্লিশের পরে পেটের মেদ কমানোর উপায়
চল্লিশের পরে পেটের মেদ কমাতে প্রয়োজন বাড়তি প্রচেষ্টা। এক্ষেত্রে শরীর সুস্থ রেখে ওজন কমাতে চাইলে মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম।
মানসিক চাপ কমানো: ওজ়ন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল মানসিক চাপ। তাই ওজন কমাতে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। ধ্যান ও যোগ ব্যায়াম এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ শরীরচর্চার পরিমাণ কমতে থাকে, এতে ক্যালরি খরচ হয় কম ও জমা বাঁধে বেশি। তাই নিয়মিত ক্যালরি খরচ করতে ও শক্তি বাড়াতে শরীরচর্চা করতে হবে। একই সময়ে বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করা শরীরের নানান উপকার করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: এই বয়সে ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। ভেষজ প্রোটিন খাবারে বেশি করে যোগ করতে হবে। আর যতটা সম্ভব প্রক্রিয়াজাত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
ছবির মডেল: বন্যা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন