প্রকৃতির নিয়মে পৌষের শেষ হয় একদিনে। তবে মানুষের নিয়মে পৌষ সংক্রান্তি পালন হয় দুদিনে।
Published : 16 Jan 2020, 12:19 PM
পৌষের শেষ বিকেলে পুরান ঢাকায় চক্কর দিলে মাথাও চক্কর দিতে পারে। আকাশে ঘুড়ির মেলা, নিচে ইটপাথরের ছাদে ‘ডিস্কো লাইট’ আর ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় মত্ত পুরান ঢাকা বাসিন্দারা।
পৌষ সংক্রান্তির এই চিরায়ত রূপ আদীকাল থেকেই চলে আসছে। যা ‘সাকরাইন’ নামেও পরিচিত।
অথচ এক সময় এই উৎসব একদিন পালন হত। এখন হয় দুদিন। অর্থাৎ ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি। তবে এলাকা ভিন্ন।
তবে এই উৎসব যে শুধু বাংলাদেশে হয় তাও নয়।
নবাবদের আমলে পৌষের শেষ দিন ছিল খাজনা আদায়ের দিন। তখন তো আর এই এলাকা এত দেশে ভাগ ছিল না, ফলে এশিয়ার বহু অঞ্চলেই খাজনা আদায়ের এই দিনে উৎসবের আয়োজন করা হত। ঘুড়ি ওড়ানো সেই সময় থেকেই চলে আসছে।
আদিকালের ধারাবাহিকতায় এই উৎসব তাই এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশেই পালন করা হয়। যেমন- নেপালে এটা পরিচিত মাঘী নামে, থাইল্যান্ডে সংক্রান, লাওসে পিমালাও, মিয়ানমারে থিং ইয়ান এবং কম্বোডিয়ায় মহাসংক্রান নামে পরিচিত। আর ভারতে পৌষ সংক্রান্তি নামেই চলে পৌষকে বিদায় জানানোর পালা।
পৌষ সংক্রান্তির ঢাকাইয়া নাম ‘সাকরাইন’। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উৎসবের জৌলুস। শীতের উদাস দুপুর আর নরম বিকালে আকাশে গোত্তা খায় নানান রংয়ের ঘুড়ি। ঘুড়িতে ঘুড়িতে হৃদ্যতামূলক কাটা-কাটি খেলাও চলে। অহরহ কাটা-কাটি খেলায় হেরে যাওয়া অভিমানী ঘুড়ি সুতার বাঁধন ছিড়ে উড়ে যায় দূরে। চারিদিক থেকে শোনা যাবে ‘ভোঁকাট্টা’ রব।