কার্বোহাইড্রেইট কম খাওয়ার সমস্যা

ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2019, 11:06 AM
Updated : 28 August 2019, 11:06 AM

ওজন কমাতে ‘কার্বোহাইড্রেইট’ সবার আগে খাদ্যাভ্যাস থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ‘ডায়েট’ প্ল্যানের মুখ্য বিষয় হয় ‘কার্বোহাইড্রেইট’ নিয়ন্ত্রণ।

দিনে সর্বনিম্ন ৩০ গ্রাম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৩০ গ্রামের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয় এর পরিমাণ। এই খাদ্যাভ্যাস শরীরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে যা সবসময় উপকারী নাও হতে পারে। বিশেষ করে যারা প্রচুর ‘কার্বোহাইড্রেইট’ গ্রহণ করে অভ্যস্ত।

‘কার্বোহাইড্রেইট’ কমিয়ে দেওয়ার কারণে শরীরের উপর বাড়তি ধকল যায়, কারণ শরীর তখন অন্য জ্বালানি খোঁজে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে বমিভাব, মাথাব্যথা ইত্যাদি।

এগুলো ছাড়াও আরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য অবলম্বনে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া: যারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ইন্সুলিন’ বা অন্য কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের ‘কার্বোহাইড্রেইট’ কমানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ ‘কার্বোহাইড্রেট’ কমালে ওষুধের মাত্রায় সেই অনুযায়ী পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা আশঙ্কাজনক মাত্রায় কমে না যায়।

পুষ্টির অভাব: ‘কার্বোহাইড্রেইট’ খাওয়ার পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে অনেক মানুষ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন, তবে ব্যতিক্রমও আছে। সম্ভাবনা কম হলেও এমন খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি।

লো-কার্ব ফ্লু: অতিরিক্ত ‘কার্বোহাইড্রেইট’ খেতে অভ্যস্ত মানুষ হঠাৎ তা অনেক বেশি কমিয়ে আনলে দেখা দিতে পারে অসুস্থতা। এর উপসর্গের মধ্যে অবসাদ, মাথা ঝিমঝিম করা, মাথাব্যথা ইত্যাদি অন্যতম। এই সমস্যা সামাল দেওয়া যাবে পর্যাপ্ত পানি পান ও লবণ খাওয়ার মাধ্যমে। ‘কার্বোহাইড্রেইট’ কমালে এমন অসুস্থতার কারণ হল খাদ্যাভ্যাস শুরু করার প্রথমদিকে শরীর তরল ও লবণ বের করে দিতে থাকে। হঠাৎ বন্ধ না করে নিরাপদ উপায় হবে ধীরে ধীরে ‘কার্বোহাইড্রেইট’ কমানো।

পেশিতে টান: ‘কার্বোহাইড্রেইট’ কমিয়ে দিলে শরীর পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় লবণ হারাতে থাকে। তাই এই অবস্থায় পেশি ব্যথা, টান পড়া ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ খেতে হবে। এছাড়াও স্যামন মাছ, ডিম, কাঠবাদাম, মাশরুম, টকদই ইত্যাদি পূরণ করতে পারবে পটাশিয়ামের অভাব।

কোষ্ঠকাঠিন্য: এই খাদ্যাভ্যাস শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তবে শরীর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নিলে সমস্যার সমাধান হবে আপনা থেকেই। বেশি অস্বস্তি হলে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন