ওজন কমাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ওজন কমাতে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও কাজে আসতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2019, 09:00 AM
Updated : 20 April 2019, 10:12 AM

কিভাবে? লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অবলম্বনে সেটাই জানানো হলো।

লোভনীয় খাবারের ছবি এড়ানো: অস্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবারগুলো দেখতে অত্যন্ত লোভনীয়। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পিৎজা, বার্গারের ছবি দেখলে নিজেকে আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। মনে হয় গোল্লায় যাক ওজন কমানো, আজকেই ওটা খেতে হবে। বিশেষজ্ঞরাও এর সঙ্গে সহমত, তাদের মতে, নিয়মিত লোভনীয় খাবারের ছবি ক্ষুধা বাড়ায়। তাই এই ধরনের ছবি বা ভিডিও সংবলীত ‘পোস্ট’ ‘আনফলো’ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

স্বাস্থ্যকর পরামর্শ: অস্বাস্থ্যকর খাবারের ‘পোস্ট’ যখন লোভ বাড়াচ্ছে, তাহলে স্বাস্থ্যকর পরামর্শ সংবলীত ‘পোস্ট’ দেখলে কেমন হয়? হয়ত স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রতি লোভ বাড়বে। আর ওজন কমানোর যাত্রায় মনোবল ও আগ্রহ ধরে রাখাই সবচাইতে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’। আর এই ‘চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলা করতেও সাহায্য করবে স্বাস্থ্যকর ‘পোস্ট’গুলো। ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অন্যদের ওজন কমাতে সফল হওয়া গল্প ইত্যাদি দেখতে পারেন, অন্যান্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পাড়েন। এতে অন্যরা অনুপ্রাণিত না হলেও নিজের অনুপ্রেরণা ঠিকই বাড়বে।

নিজের ছবি: নিজ অনুভুতি, জীবনযাত্রা ইত্যাদি প্রকাশ করাই যেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মুল উদ্দেশ্য। তাই যদি হয়, তবে নিজের স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ে তোলার প্রয়াস বাদ যাবে কেনো। ওজন কমানোর জন্য নিজের চেষ্টা, ব্যর্থতা, সাফল্য সবই তুলে ধরতে পারেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মাধ্যমে বন্ধুদের কাছ থেকে যে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ, প্রশংসা পাবেন তা আপনার মনোবল বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুন, বাড়বে আত্নবিশ্বাস। আবার আপনার কাছ থেকে অন্যরাও অনুপ্রেরণা পাবে।

লিখুন নিজের গল্প: ওজন কমানোর লক্ষ্যে আপনি কি করছেন, তাতে কিভাবে উপকার হচ্ছে, লক্ষ অর্জনের পথে কতটা এগোলেন, কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এসবকিছুই লিখে রাখতে পারেন। এতে নিজের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, সাফল্যগুলোর আনন্দ আরেকটু বাড়বে। আবার এই গল্পগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে বন্ধুদের সাধুবাদ আপনাকে আরও তৃপ্তি দেবে।

খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ: নিজের খাদ্যাভ্যাস নজরদারিতে রাখা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন স্মার্টফোনের বিভিন্ন ‘অ্যাপ’। এতে করে কতটুকু ক্যালরি গ্রহন করলেন, কতটুকু ঝরালেন, কখন আসলেই ক্ষুধা লেগেছে আর কোনটা শুধুই জিহ্বার ক্ষুধা তার পার্থক্য বুঝতে পারবেন। লক্ষ্য অর্জন হবে আরও সহজ ও মজার।

আরও পড়ুন