যেভাবে বুঝবেন চাকরিটা ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছে

অফিসে কবে ভালো সময় কেটেছে সেটা যদি মনেই করতে না পারেন তাহলে বর্তমান চাকরি বদলানোর কথা চিন্তা করা যেতেই পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2018, 07:38 AM
Updated : 19 Feb 2018, 07:38 AM

উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে মতো বিরোধ, বিরক্তিকর সহকর্মীর যন্ত্রণা বা কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তবোধ করা, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। বিষয়গুলো কালেভদ্রে হলে ঠিক আছে, তবে শেষ কবে অফিসে ভালো সময় কেটেছিল তা যদি আপনার মনে না পড়ে, তাহলে বিকল্প পথ খোঁজা শুরু করা উচিত।

জীবনযাত্রাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত এখানে দেওয়া হল যার সারমর্ম হল আপনার বর্তমান চাকরি ছাড়ার সময় হয়েছে।

নতুন কিছু শেখার নেই: কর্মক্ষেত্রে যদি নতুন কিছু জানার সুযোগ ফুরিয়ে যায় তবে গতবাঁধা কাজে বিরক্তি আসতে পারে। কাজে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকবে না। ফলে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করেও মনে হতে পারে ব্যক্তিগত কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই অন্য কোথাও চাকরি খোঁজাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

উন্নয়ন থেমে গেছে: বছরের পর বছর ধরে প্রশংসামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পদোন্নতির নাম-গন্ধও নেই। এই অবস্থায় নিজেকে বন্দি মনে হতে পারে, ভবিষ্যত অনিশ্চিত মনে হতে পারে। যদি মনে হয় মেধা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছেনা, তবে এখানে আটকে না থেকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। এক্ষেত্রে পারিশ্রমিকটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

নেতিবাচক পরিবেশ: যে কাজ করছেন সেটা যতই প্রিয় হোক না কেনো, অফিসের পরিবেশ যদি ভালো না হয় তবে কাজের অনুপ্রেরণা ফুরিয়ে যেতে থাকবে। উর্ধতন কর্মকর্তা যদি অযথা দোষারোপ করে, সহকর্মীরা যদি ষড়যন্ত্র নিয়েই ব্যস্ত থাকে, অফিসের রীতিনীতি যদি ন্যায্য ও নিরপেক্ষ না হয় তবে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের মানসিক শান্তির চেয়ে কোনোকিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

চাকরি নিরাপত্তাহীনতা: মাস শেষে পাওয়া বেতনটার উপর অনেক কিছুই নির্ভরশীল। হুট করে তা বন্ধ হয়ে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার যোগাড় হয়। আর তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো চাকরিচ্যুত হওয়া। একজন অযোগ্য ব্যক্তি চাকরিচ্যুত হতেই পারে। তবে সামান্য কারণে যদি অফিস কর্মী ছাঁটাই করে, তাহলে আপনি সবসময়ই চাকরি হারানোর আতঙ্কে দিন পার করবেন। দিনের পর দিন আতঙ্কে কাটানোর বদলে আরেকটি চাকরি যোগাড় করে বর্তমান কর্মস্থল ছেড়ে দিন। এতে নিজের মনে তৃপ্তি আসবে।

আর বেতনটাও যদি অনিয়মিত হতে থাকে তাহলে বর্তমান চাকরিটা নিয়ে দ্বিতীয় ভাবনা দেওয়াই সমীচীন হবে।

স্বাস্থ্যহানী: অফিসে সবসময় কাজের চাপে থাকতে হয় আর তা আপনার স্বাস্থ্যের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। কাজের চাপ সইতে ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি বদোভ্যাসে জড়িয়ে যাচ্ছেন। সামান্য বিষয় ভুলে যাচ্ছেন, রাতে ঘুম হয় না, নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না। এক অফিসের জন্যই আপনার জীবনের অবস্থা যদি এমন হয় তাবে তা ছেড়ে দেওয়াই মঙ্গল।

ছবির প্রতীকী মডেল: মাহা। ছবি: দীপ্ত।

আরও পড়ুন