চুল পড়া কমায়, অকালে চুল পাকা রোধ করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে।
Published : 31 May 2017, 03:56 PM
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, খাবারে এই তেল ব্যবহার করলে পাওয়া যাবে বিশেষ পুষ্টি।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে: রক্তচাপ কমানোয় এর সুনাম রয়েছে। কমায় রক্তরসে শর্করার পরিমাণও। এর কারণ হল, প্রাকৃতিকভাবেই এতে থাকে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং জ্বালাপোড়া নিরোধক উপাদান, যার নাম ‘সেসামোল’।
হাড়ের সুস্বাস্থ্য: দস্তা, ক্যালসিয়াম এবং কর্পূর মেলে তিলের তেলে। তাই নিয়মিত এই তেল গ্রহণ করলে বা এই তেল দিয়ে রান্না করলে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়রোধের পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস রোধ করে এই তেল। হাড়ের জোড়ে সমস্যাজনীত বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
মানসিক সুস্বাস্থ্য: তিলের তেলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ‘টাইরোসিন’ মানসিক অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করে এবং প্রয়োজনীয় এনজাইম ও হরমোন সরবরাহ করার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে মন-মেজাজ ভালো রাখে। মানসিক চাপ দূর করার এটি আদর্শ উপাদান, যার কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
দাঁতের সুস্বাস্থ্য: ‘অয়েল-পুলিং’ নামক দাঁতের পরিচর্যার এক বিশেষ পদ্ধতিতে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তিলের তেল। এই পদ্ধতিতে মুখে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে ১০ মিনিট ধরে কুলিকুচি করতে হবে এবং একটুও পান করা চলবে না। কুলি ফেলার সময় এই তেল মুখের সকল বিষাক্ত উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে বের করে আনবে। পদ্ধতিটি ব্যবহারের পর কুসুম গরম পানি দিয়ে আবার ভালোভাবে কুলি করতে হবে। মুখগহ্বর ও ক্ষুদ্রান্ত্র পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও তিলের তেল অত্যন্ত উপাকারী।
ছবি: মারিকো গোডা/ উইকিমিডিয়া কমন্স।