তেল দেওয়া ভালো

চুল, ত্বক ও নখের যত্নে প্রাকৃতিক তেল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2015, 09:30 AM
Updated : 13 Sept 2015, 09:30 AM

অনেক ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক উপাদান হতে পারে সহজ সমাধান। আর প্রাকৃতিক তেলে রয়েছে এমনসব গুণ যা চুল, ত্বক বা নখের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এরকমই কিছু তেলের কথা জানানো হয়।

নারিকেল তেল

ত্বক কোমল রাখতে উপকারী। তবে চুল ও মাথার ত্বক মালিশ করতে নারিকেল তেল সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ এই তেল চুলে প্রোটিনের ঘাটতি পুষিয়ে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। তাছাড়া শ্যাম্পু করার আগে চুলে নারিকেল তেল মালিশ করা হলে চুলের এলোমেলোভাব দূর করে ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

অলিভ বা জলপাই তেল

কনুই ও হাটুর শুষ্ক ত্বক এমনকি পা ফাটা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। এই তেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা নমনীয়তা বজায় রেখে ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। ফলে চামড়ার তারুণ্য বজায় থাকে দীর্ঘদিন।

তিলের তেল

ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা ফাঙ্গাল ইনফ্লেমেশন বা জ্বলুনি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ব্যবহারের ফলে এটি ত্বকে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়। আর এই তেল সেবনে শরীরে টক্সিন দূর হয়।

কাঠবাদামের তেল

রূপচর্চায় এই তেলের ব্যবহার বেশ পুরানো। ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঠবাদামের তেল চোখের নিচে ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী। চোখের কালি দূর করতে এবং রোদে পোড়া ত্বক সারিয়ে তুলতে এই তেল কার্যকর্। তাছাড়া নখ শক্ত করতে ও কিউটিকল ভালো রাখতে আমন্ড অয়েল মালিশ করা যায়। এই তেলে রয়েছে পটাশিয়াম ও জিঙ্ক যা নখ শক্ত করতে সাহায্য করে। তবে কারও অ্যালার্জি থাকলে এই তেল এড়িয়ে চলা ভালো।

টি ট্রি অয়েল

ব্রণ, র‌্যাশ বা যে কোনো ত্বকের সমস্যায় দারুণ উপকারী। তাছাড়া শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিলে উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চিকেন পক্স বা গুটি বসন্তের দাগ থেকে রেহাই পেতেও সাহায্য করে এই তেল। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে নিলে ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে।