সকালবেলার বাজে কাজ

দিনের প্রথম ভাগে চাই ফুরফুরে মেজাজ, ঝরঝরে শরীর। তবে সাধারণ কিছু কাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে মেজাজ হযে যেতে পারে খিটখিটে বা শরীর করতে পারে ম্যাজম্যাজ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2016, 08:56 AM
Updated : 18 August 2016, 08:56 AM

এমন কয়েকটি অভ্যাসের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেইট: দিনের শুরুতে প্রথম খাবার গুরুত্ব দেওয়া এবং এসময় বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার কথা শুনেছেন অনেকেই। তবে কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে বাছাই করে। পেট পুরে সিরিয়াল বা রুটি খেলেই হবে না। কারণ এতে দ্রুত আবার ক্ষুধা লাগবে। এর বদলে আমিষ, বাদাম স্মুদি, ওটস খেতে পারেন। এতে দীর্ঘসময় পেট ভরা অনুভুতি মিলবে।

নাস্তার পর দাঁত ব্রাশ করা: সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করতে হবে, সকালের নাস্তা খাওয়ার পর নয়। কারণ সকালের নাস্তায় ‘অ্যাসিডিক’ বা অম্লজাতীয় খাবার, যেমন: জুস, দই, কফি ইত্যাদি খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ‘এনামেল’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

সকালে মোবাইল ফোন নয়: ঘুম থেকে উঠেই ফোনে মেইল দেখা বা ‘চ্যাট’ করা মোটেই উচিত কাজ নয়। ঘুম ভাঙার পর প্রথমেই ফোনের পর্দায় তাকালে চোখের ক্ষতি হয়। কারণ এসময় চোখের আর্দ্রতা কম থাকে। ফলে চোখে অস্বস্তি হতে পারে।  

ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম: শরীরচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে ঘুমও কম জরুরি নয়। ওজন কমানো আর স্বাস্থ্য দুটোই নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাইলে উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যায়ামাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম কমালে চলবে না। ঘুম কম হলে শরীর ক্লান্ত থাকবে, ফলে শরীরচর্চার মনোবল কমে যাবে।

আলো: সকালে একটু বেশি সময় ঘুমানোর জন্য জানালার পর্দা নামিয়ে ঘর অন্ধকার করে রাখেন অনেকেই। তবে আমাদের শরীরও আলো-অন্ধকারের প্রতি সংবেদনশীল। ঘর অন্ধকার থাকলে সকাল হওয়ার খবর শরীরে পৌঁছায় না। ফলে সময় অনুযায়ি দেহ প্রস্তুতও হয় না। তাই দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের পরও ঘুমভাব থেকেই যায়।

গোসল: কুসুম গরম পানিতে গোসল আরামদায়ক হতে পারে, তবে শরীর জাগাতে চাই ঠাণ্ডা পানিতে গোসল। গরম পানিতে গোসল করলে স্নায়ুতন্ত্র পেশি শিথিল করার ইঙ্গিত দেয়। ফলে ক্লান্তি অনুভুত হয়।

ছবি: রয়টার্স।