ভোর কমায় ওজন

ইংরেজিতে ‘রাইজ এন্ড শাইন’ কথাটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়, ভোরে ঘুম থেকে উঠলে শরীর শুধু ভালোই থাকে না, বাড়তি ওজনও কমে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2014, 03:08 AM
Updated : 2 August 2014, 04:37 AM

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিন, ‘পিএলওএস ওয়ান’ জার্নালে এই তথ্য প্রকাশ করে।

ওমেনসহেলথম্যাগ ডটকম এই ফলাফল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

গবেষকরা এই বিষয়ে জানতে ৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের হাতে এক রকমের ‘রিস্ট মনিটর’ পরিয়ে দেয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ত্রিশের ঘরে।

সকালের রোদ তাদের কীভাবে প্রভাবিত করছে তা এই রিস্ট মনিটরের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণা চালানো হয়। সেই সঙ্গে তাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকাও রেকর্ড করা হয়।

সাতদিন পর ফলাফলে দেখা যায়, যারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে তাদের চাইতে সকালে যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছে তাদের বাড়তি ওজন কমেছে। শুধু তাই নয়, বয়সের তুলনায় তারা কর্মঠও বেশি।

এর কারণ কী? গবেষকরা জানান, এর উত্তর দুটি।

প্রথমত: যারা সকালের রোদ গায়ে মাখেন, প্রাকৃতিকভাবেই তারা নিয়মের মধ্যে চলে আসেন। মানে, সকালে ঘুম থেকে উঠলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া হয়, ফলে ঘুম পর্যাপ্ত হয়। আর পরিমিতি ঘুম হজম শক্তি বাড়ায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

দ্বিতীয়ত: প্রাকৃতিকভাবেই দুপুর বা, বিকালের চাইতে সকালের আলো বেশি শক্তিশালী। কারণ সকালের রোদে নীল আলোর পরিমাণ বেশি থাকে, যা স্বাভাবিক নিয়মে ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ বা, ২৪ ঘন্টার স্বাভাবিক ছন্দের মধ্যে উপযুক্ত প্রভাব ফেলে।

তবে সকালের আলো গায়ে মাখার জন্য বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু ভোরে উঠার অভ্যেস করতে হবে। আর সকাল আটটা থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট রোদ গায়ে মাখতে হবে।

অবশ্য আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে যারা ছুটেন তাদের এই কাজটি এমনিতেই হয়ে যায়।

যাদের বেলা করে ঘুম থেকে উঠার অভ্যেস, তাদের কষ্ট করে বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। শুধু একটু সকালে উঠুন। আর ভোরের আলোয় মুখ ভিজিয়ে চা বা কফির কাপে চুমুক দিন।