গোলাপ জল নিজেই ত্বকের জন্য উপকারী। এর সাথে অন্য কিছু মিশিয়ে ব্যবহার না করাই ভালো।
Published : 27 Jun 2023, 02:07 PM
ত্বক পরিচর্যায় গোলাপ জলের ব্যবহার জনপ্রিয়। এটা প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।
লোমকূপ থেকে ময়লা দূর করে ত্বকে আনে মসৃণভাব। তবে অনেক সময় ভুল উপাদানের সাথে মিশ্রণের ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মুম্বাইয়ের ‘স্কিনফিনিট অ্যাস্থেটিক স্কিন অ্যান্ড লেজার ক্লিনিক’য়ের প্রতিষ্ঠাতা কস্মেটিক ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা জয়শ্রী শারদ এই সম্পকে বলেন, “গোলাপ জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের মলিনভাব ও শুষ্কতা কমে।”
গোলাপ জল কী?
ডা. শারদ ব্যাখ্যা করে বলেন, “গোলাপ জল মূলত গোলাপের পাপড়ির নির্যাস যা বাষ্পীভবনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। বাজারে অ্যাস্ট্রিনজান্ট, টোনার বা রিফ্রেশিং মিস্ট হিসেবে গোলাপ জলের ব্যবহার সুপরিচিত। এছাড়াও, ফেইসক্রিম, সেরাম ও মাস্ক তৈরিতেও এটা ব্যবহার করা হয়।”
গোলাপ জল ব্যবহার পদ্ধতি
মুখ ধুয়ে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জলে ভেজানো তুলা দিয়ে ত্বকে মুছে নিতে হবে। এটা টোনারের মতো কাজ করে যা ত্বক পরিচর্যার অন্যতম ধাপ।
গোলাপ জল মেইকআপের পরে মিস্টের মতো স্প্রে করা যায়।
গোলাপ জলের সাথে যেসব উপাদান মেশানো খারাপ
গোলাপ জল ত্বকের জন্য মৃদু। তবে পিএইচ’য়ের স্বাভাবিক মাত্রা নষ্ট করে এমন উপকরণের সাথে মেশানো হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
গোলাপ জল ও এসেনশল অয়েল: ডা শারদ বলেন, “অনেকেই গোলাপ জল ও এসেনশল অয়েল একসঙ্গে ব্যবহার করেন। কারও কারও উপকার হলেও সুগন্ধিতে অ্যালার্জি আছে বা অ্যাজমা, ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ ইত্যাদির সমস্যা থাকলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
তাই গোলাপ জল ও এসেনশল অয়েল একসঙ্গে ব্যবহার না করাই ভালো।
গোলাপ জল ও ‘উইচ হেইজল’: উইচ হেইজল প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজান্ট সমৃদ্ধ। তবে যখন এর সাথে গোলাপ জল মেশানো হয় তখন সেটা ত্বককে শুষ্ক ও সংবেদনশীল করে তোলে।
গোপাল জলের সাথে বেইকিং সোডা: বেইকিং সোডা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান সমৃদ্ধ। এটা সাময়িকভাবে ব্যাক্টেরিয়া কমাতে সহায়তা করে, ফলে ব্রণে সমস্যা দূর হয়।
তবে গোলাপ জলের সাথে বেইকিং সোডার ব্যবহার ত্বকের পিএইচ’য়ের মাত্রার বিপরীতে কাজ করে। ফলে ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে যায়।
গোপাল জল ও ভিনিগার: ভিনিগার ত্বকের দাগছোপ ও ব্রণ কমায়। তবে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করা ত্বকের পিএইচ’য়ের মাত্রাকে পরিবর্ত্ন করে।
গোলাপ জল ও লেবুর রস: লেবুর রস ভিটামিন সি’র ভালো উৎস যা ব্রণ চিকিৎসায় ভালো কাজ করে।
ডা শারদ বলেন, “লাইম বা লেবুর রসের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এতে পিএইচ’য়ের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে ত্বকের সুরক্ষার স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন