প্রতি সপ্তাহে ঘর পরিষ্কারের একটা রুটিন বানিয়ে নিলে একবারে খাটনির পরিমাণ কমে।
Published : 05 Feb 2024, 06:40 PM
পরিচ্ছন ঘর সবারই পছন্দ। তবে প্রতিদিন সব কিছু পরিষ্কার করার সময় হয় না।
আবার গভীরভাবে পরিষ্কার করাও কঠিন।
তবে প্রতি সপ্তাহে যদি কিছু জিনিস সব সময় পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়া যায় তাহলে পরিশ্রম অনেকটাই কমে যায়।
গোছানো
সপ্তাহিক গোছানোর অভ্যাস অনেক কাজ কমিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টিএলসি ক্লিনিং’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ট্রিশা লেক বলেন, “যাদের ছোট শিশু আছে তাদের ঘর তাড়াতাড়ি অগোছালো হয়। তবে প্রতিদিন জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার অভ্যাসে এই ঝঞ্ঝাট এড়ানো যায়।”
পাশাপাশি রুটিন হিসেবে কাজ করতেও সহায়তা করে। যেমন- প্রতি শুক্রবার যদি রান্নাঘর গোছান তবে শনিবার চলতে পারে অন্যান্য ঘর গোছানোর কাজ।
এছাড়া ওষুধের বাক্সে রাখা মেয়াদ শেষের পথে ওষুধ সরানোর মতো বিষয়গুলো প্রতি সপ্তাহে একবার করা উচিত।
মেঝে মোছা
ঘর মোছা মোটেই আনন্দদায়ক কাজ নয়।
তবে লেক বলেন, “কঠিন হলেও নিয়মিত মেঝে মুছলে ঘর পরিষ্কার রাখা যায়। বিশেষ করে যদি পরিবারে ছোট সদস্য থাকে।”
পাশাপাশি ‘বাইরের জুতা ঘরে ঢুকবে না’- এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে বিশাল পার্থক্য চোখে পড়বে।
বিছানার চাদর পরিবর্তন
বিছানার চাদর পরিবর্তন করাটা অনেক সময় ঝক্কির মনে হয়।
তবে লেক পরামর্শ দেন, “সপ্তাহে একবার সব বিছানার চাদর পরিবর্তন করার অভ্যাস গড়লে যেমন স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তেমনি ঘরে আসে টাটকা অনুভূতি।”
ধুলা ঝাড়া
সবকিছু পানিতে ধোয়া হয় না।
“তবে সপ্তাহের একবার সব আসবাবপত্রের ধুলা পরিষ্কার করা উচিত”- পরামর্শ দেন লেক, “আর যাদের রাস্তার পাশে বাসা তাদের অন্তত দুতিন দিন পরপর এই কাজ করলে ঘর পরিষ্কার থাকবে বেশি আর একবারে সব কিছু পরিষ্কার করার চাপ কমবে।”
কার্পেট থাকলে সপ্তাহে একবার অন্তত ভ্যাকুয়াম করা উচিত। আর ধুলা পরিষ্কার রাখলে ঘরে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা হবে না।
বাথরুম পরিষ্কার
ময়লা বাথরুম দেখতে কারও ভালোলাগে না। আবার অনেকদিন পরপর পরিষ্কার করলে খাটনিও বেশি হবে।
তাই লেক পরামর্শ দেন, “কমোড, সিঙ্ক, শাওয়ার, বাথটাব, বাথরুমের দেওয়ালসহ সবকিছু সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়া উচিত।”
রান্নাঘর পরিষ্কার ও পরিপাটি করা
“রান্নাঘর পরিষ্কার করার কথা ভুলে গেলে চলবে না”- বলেন লেক।
“রান্নার সরঞ্জাম, সিঙ্ক, কেবিনেট পরিষ্কারের পাশাপাশি ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেইটরের কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস থাকলে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন অন্তত এই কাজগুলো করা উচিত।”
খেয়াল করে দেখবেন, সব ঘরের চাইতে রান্নাঘরেই সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। তাই সাপ্তাহিক পরিষ্কারের পাশাপাশি দৈনিক কাজের শেষে রান্নাঘরের তাক ও মেঝে মুছে রাখলে পরিষ্কার করার খাটনিও কমবে।
ছবি: পেক্সেল ডটকম
আরও পড়ুন
দেহ পরিষ্কারে করছেন তো ঠিক মতো?