দেহ পরিষ্কারে করছেন তো ঠিক মতো?

নিয়মিত গোছল করছেন ঠিকই। তবে সঠিকভাবে অঙ্গ পরিষ্কার করছেন তো!

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2018, 09:03 AM
Updated : 30 Sept 2018, 09:03 AM

নিয়মিত গোসল করার পরও শরীরের কিছু অংশ সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয় না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেহের বিভিন্ন অংশ পরিষ্কারের সঠিক পন্থাগুলো এখানে দেওয়া হল।

হাত: শৌচাগার ব্যবহারের আগে ও পরে, খাওয়ার আগে ও পরে, এমনকি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এমন যে কোনো স্থান স্পর্শ করার পরও হাত পরিষ্কার করা উচিত। না হলে হতে পারে মারাত্বক সংক্রমণ।

সবাই মনে করেন প্রতিবার হাত ধোয়ার সময় জীবাণুনাষক, ব্যাকটেরিয়ানাষক সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা দরকার।

তবে আরও জরুরি বিষয় হল, যা দিয়েই ধোয়া হোক না কেনো তা কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাতে মাখাতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে আঙ্গুলের ফাঁকে, নখের গোড়ায় ও ভেতরে হাতের ভাঁজে এমন সব জটিল স্থানে।

মুখমণ্ডল: নামিদামি ফেইসওয়াশ, ত্বকের চিকিৎসা, স্ক্রাব এতকিছু করতে গিয়ে অনেকেই বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই মৃদু মাত্রার ফেইসওয়াশ অল্প পরিমাণে নিয়ে বৃত্তাকারে চেহারায় মাখতে হবে। পরে মুখ ধুয়ে শুকনা নরম কাপড় দিয়ে আলতো চাপে মুছে নিতে হবে।

প্রতিদিন ‘এক্সফোলিয়েট’ করা উচিত নয়।

দাঁত: দৈনন্দিন কাজের তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল দাঁত ব্রাশ করা। অধিকাংশ মানুষ দাঁত ব্রাশ করায় কোনো না কোনো ভুল করে থাকেন নিজের অজান্তেই। ফলে মুখে অম্লের তারতম্য ঘটে, এনামেলের আস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সঠিক পন্থা হল ব্রাশ ৪৫ ডিগ্রি কোনে দাঁতের বিপরীতে বৃত্তাকার ভঙ্গিতে ঘষতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাড়িতে যেন বেশি চাপ না পড়ে। নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, সঙ্গে ফ্লস ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।

কান: কান পরিষ্কার করতে মানুষ বেছে নেন চিকন, সুঁচালো, শক্ত উপকরণ। যার ফলাফল কানের ভেতরের সংবেদনশীল অংশ আঘাত লাগা! বয়ে আনে নানারকম দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা।

প্রথমত, কানেরর ভেতরের অংশ পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই, তা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়। আর বাইরের অংশ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে হালকা চাপে কানের চারপাশ ও পেছন দিকটা পরিষ্কার করতে পারেন।

মাথার ত্বক: শ্যাম্পু করার সময় আমাদের সকল মনোযোগ থাকে চুল পরিষ্কার করার দিকে, মাথার ত্বকের কথা বেমালুম ভুলে যাই। যাদের চুল ঘন ও লম্বা তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য। আবার তাড়াহুড়ার কারণে অনেকে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ভালো করে না ধুয়েই গোসল শেষ করে ফেলেন।

চুল যদি ঘন হয় তবে অবশ্যই চুল সরিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ব্যবহার করতে মৃদু মাত্রার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনা। ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলে ও মাথায় অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের বিষয়েও সচেতন হওয়া চাই।

নাভি: পুরো শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করলেও দেহের এই ছোট অংশটি পরিষ্কারের গুরুত্ব নেই অনেকের কাছেই। যদি মনে করেন পুরো শরীরে মাখানো সাবান আর পানি নাভিও পরিষ্কার করে দেবে, তাহলে ভুল করলেন।

ব্যাকটেরিয়া বিস্তারের অন্যতম আদর্শ স্থান এই নাভি। তাই কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে নাভির ভেতর পরিষ্কর করতে হবে। আঙ্গুল ব্যবহার না করে টুকরা তুলা ব্যবহার করতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন