আদিবাসী লোকগল্প ও ছবি দেখার আনন্দে পাঠক হারিয়ে যাবে উপকারী টিয়া আর বাঘিনীর রাজ্যে।
Published : 29 Jan 2024, 12:42 PM
আদিবাসী লোকগল্প অবলম্বনে প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও গবেষক সালেক খোকনের নতুন বই ‘পাখির গল্প ও বাঘিনীর বিয়ে’।
শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা বইটির প্রকাশক শৈশবপ্রকাশ। ৪৮ পৃষ্ঠার বইটি জুড়ে অলংকরণ এঁকেছেন শিল্পী নিয়াজ চৌধুরী তুলি। বইটির ছাপা মূল্য ২০০ টাকা।
সালেক খোকন বইটি উৎসর্গ করেছেন উত্তরার জাহান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সাওবানকে।
‘পাখির গল্প ও বাঘিনীর বিয়ে’ নামটির ভেতরের কারণ অনেকটাই বোঝা যায় ফ্ল্যাপের লেখা থেকে। সেখানে উল্লেখ আছে এমন, “স্বর্গ থেকে চুপিচুপি নানা খবর জেনে আসত টিয়া পাখিটি। সে খবরগুলো জানিয়ে দিত এক সওদাগরকে। স্বর্গপুরী থেকে নেমে আসা শত শত শারোখ পাখির মলগুলো কেমন করে সোনা হয়ে গেল? টিয়ার জন্য কেন বুক চাপড়ে কাঁদলেন সওদাগর? আবার ঘটক-কে কেন বাঘেরা খায় না? কীভাবে এক বাঘিনীকে বিয়ে দিলেন এক ঘটক?”
এমন প্রশ্নের উত্তরগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে এ গল্পের ভেতরেই। গল্প ও ছবি দেখার আনন্দে যে কোন বয়সের পাঠক হারিয়ে যাবে উপকারী টিয়া আর বাঘিনীর রাজ্যে।
সালেক খোকন মূলত মুক্তিযুদ্ধ ও আদিবাসী বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে গবেষণাধর্মী কাজ করেন। তার লেখা ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ বইটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাবই হিসেবে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক’ পুরস্কার এবং ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ’ বইটি ২০১১ সালে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ অর্জন করে।
তার প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৩। ‘পাখির গল্প ও বাঘিনীর বিয়ে’ বইটি শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা তার চতুর্থ বই। অন্যান্য বইগুলো- ‘চন্দ্র কেন কম আলো দেয় সূর্য কেন বেশি’ (শৈশবপ্রকাশ), ‘নদী মা’ (ইকরিমিকরি) ও ‘চন্দন পাহাড়ে’ (ইকরিমিকরি)।
সালেক খোকনের নতুন বইটি শিশু-কিশোরদের আদিবাসী সাহিত্যের সঙ্গে যেমন পরিচয় ঘটাবে তেমনি তাদের মনোজগতেও প্রভাব ফেলবে- এমনটাই মনে করেন শৈশবপ্রকাশের কর্ণধার জসিম উদ্দিন। সারাদেশের বইবিপণী ছাড়াও বইটি পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন বুকশপে।