উড়িতেছে সোনার ঘোড়া, চতুর্থ কিস্তি

কেরানীগঞ্জের দিকে লঞ্চ আর জাহাজের আড়ালে অন্ধকারে হঠাৎ পানির মধ্য থেকে একটা জাহাজের মাথা জেগে ওঠে, খুব ধীরে ধীরে।

মনি হায়দারমনি হায়দার
Published : 26 Sept 2022, 08:28 AM
Updated : 26 Sept 2022, 08:28 AM

বুড়িগঙ্গা নদী, অন্ধকার রাত। নদীর তীরে জ্বলছে নিয়ন আলো। মাঝ বরাবর অনেক জাহাজ-স্টিমার-কার্গো দাঁড়িয়ে ঝিমাচ্ছে।

রাত নটা কাটায় কাটায়। বিলাসবহুল লঞ্চ এম ভি সুন্দরবন ঢাকার সদরঘাট ছেড়ে বরিশালের দিকে প্রবল তরঙ্গ তুলে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের দিকে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের দিকে লঞ্চ আর জাহাজের আড়ালে অন্ধকারে হঠাৎ পানির মধ্য থেকে একটা জাহাজের মাথা জেগে ওঠে, খুব ধীরে ধীরে।

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিরাট কার্গো জাহাজ এম ভি সবুজ বাংলার মাস্টার জয়নুদ্দিন পাটাতনে দাঁড়িয়ে দুই তীরের আলো দেখছেন, তিনিও দেখতে পেলেন না পানির তল থেকে জেগে ওঠা এই জাহাজকে। পানির বুক চিরে চিরে জাহাজটা অনেকটা বোয়াল মাছের মতো জেগে ওঠে স্থির দাঁড়িয়ে যায়। জাহাজের শরীরে বাংলায় লেখা ‘এম ভি বুড়িগঙ্গা’। 

এম ভি বুড়িগঙ্গার আগাগোড়া টিনের মতো শক্ত পলিথিনে মোড়ানো। সামনে আর পেছনের দিকে দুটি দরজা। দরজা দুটো এমনভাবে তৈরি- দেখাই যায় না। কিন্তু যারা এম ভি বুড়িগঙ্গা জাহাজে থাকে কেবল তারাই জানে দরজা দুটো কোথায় এবং কীভাবে খোলা যায়।

বাংলাদেশে আবার জুরাইনের মিস্টার পাতলা মিয়া, যাকে সবাই পাতলাদা ডাকে, সেই পাতলাদার নতুন আবিষ্কার সোনার ঘোড়া লুট করার জন্য ফাঁকিস্তান সরকার আমাদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে পাঠিয়েছে। বলো, পাঠায়নি?

জাহাজের ক্যাপ্টেন মিস্টার ইফতেখার খান্ডাল। চওড়া মুখ চওড়া কপাল। নাকের নিচে দুই দিকে বাঁকানো গোঁফ। চোখ দুটো শুয়োরের দৃষ্টির মতো জ্বলছে। ক্যাপ্টেন ইফতেখার খান্ডাল কেবল এম ভি বুড়িগঙ্গা জাহাজের ক্যাপ্টেন নয়, সে ফাঁকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজরও।

ফাঁকিস্তান থেকে এই জাহাজ রওয়ানা করেছে সাতদিন আগে। জাহাজটা অনেক কৌশল করে বানিয়েছে ফাঁকিস্তান। এটা পানির উপর যেমন ভাসতে পারে, ঠিক তেমনি সহজে পানির তলায় ডুবে যেতে পারে। সেই জাহাজ আরব সাগর পার হয়ে বাংলাদেশের সীমানায় ঢোকার সময় পানির মধ্যে ডুবে যায়। ডুবে যাবার পর ফাঁকিস্তানের জাহাজ এম ভি করাচির বাইরের রূপ পাল্টে বাংলাদেশের একটা জাহাজ এম ভি বুড়িগঙ্গার রূপ ধারণ করে, যাতে বাইরের কেউ বুঝতে না পারে এই জাহাজ ফাঁকিস্তান থেকে এসেছে বাংলাদেশে।

দুটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে জাহাজের লোকজন বুক-সমান দুই হাত তুলে বলে- ফাঁকিস্তান, ফাঁকিস্তান! সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে যায়। দরজা খুলে বের হওয়ার পর কাজ-বাজ সেরে ঢোকার সময় দরজার সামনে ডান পা বাড়িয়ে, বাম হাত উঁচু করে বলে- 'পিতলের মেডেল, পিতলের মেডেল'। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে যায়।

নিরাপত্তার জন্য জাহাজে ঢোকা ও বের হবার এই দুটি কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। ছয় মাস পর পর এই কোড চেঞ্চ করে নতুন কোড দেয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাপ্টেন ইফতেখার খান্ডাল জাহাজের মধ্যে নিজের রুমে বসে ফোন করে ফাঁকিস্তান আর্মির ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখলকে। 

ইকবাল জবরদখল দুপুরের রুটি আর পাঠার মাংস খেয়ে কেবল ঘুমিয়েছে, হঠাৎ মেজর ইফতেখার খান্ডালের ফোন পেয়ে বিরক্ত হলেও দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে চলে আসে মেজর ইফতেখার খান্ডালের সামনে। এসে দেখে আরও তিনজন সহকর্মী ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি, ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী আর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক আগেই হাজির।

স্যার! সামনে হাজির হয়ে এটেনশন দাঁড়ায় ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল।

মেজর ইফতেখার খান্ডাল বলপেন দিয়ে কানের মধ্যে চুলকাতে চুলকাতে তাকায় ইকবাল জবরদখলের দিকে, বাংলাদেশে ঢোকার পর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে?

না স্যার।

মানে? মেজরের গলায় ক্রোধ, না মানে কী? প্রায় সাড়ে দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পানির নিচ থেকে পালিয়ে এলাম কেনো? আমাদের সরকার কী চাইছে? বাংলাদেশ একে একে উন্নতি করছে আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি সব জায়গায়। বাংলাদেশে আবার জুরাইনের মিস্টার পাতলা মিয়া, যাকে সবাই পাতলাদা ডাকে, সেই পাতলাদার নতুন আবিষ্কার সোনার ঘোড়া লুট করার জন্য ফাঁকিস্তান সরকার আমাদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে পাঠিয়েছে। বলো, পাঠায়নি?

জামসেদ রুমের মধ্যে ছোট একটা ট্যাবের সামনে দাঁড়ায়। ট্যাবের ট্রে খুলে দুটি বাটনে চাপ দেয়, গোটা জাহাজে ইলেকট্রিক পাওয়ার ছড়িয়ে পড়ে। জাহাজ এম ভি বুড়িগঙ্গার সঙ্গে ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ছড়িয়ে যায়।

জি স্যার।

কিন্তু আরও একমাস আগে যে দলটাকে পাঠানো হয়েছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না হলে তো সাড়ে সর্বনাশ মিস্টার ইকবাল জবরদখল। বুঝতে পারছি স্যার, ডান পায়ের ভর বাম পায়ের উপর চালান করে খুব বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দেয় ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল, আমাদের ফোনে যোগাযোগ করার জন্য করাচির হেড কোয়ার্টার থেকে যে সাংকেতিক চিহ্ন বা নাম্বার দিয়েছিলেন মিস্টার জেনারেল স্যার, সেই সাংকেতিক নাম্বারে এই পর্যন্ত তিন হাজারবার ফোন দিয়েছি, কিন্তু কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না।

যোগাযোগ হচ্ছে না? মেজর ইফতেখার খান্ডাল দাঁড়িয়ে যায়, যদি যোগাযোগ না হয়, সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা ফাঁকিস্তান সরকারের কাছে মুখ দেখাতে পারবো না।

কিন্তু স্যার, এই একটামাত্র সোর্স ছাড়া তো আগের পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো সূত্র নেই আমাদের কাছে।

মেজর ইফতেখার রুমের মধ্যে হাঁটতে শুরু করে। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন ভদ্রলোক। হাঁটতে হাঁটতে মেজর ইফতেখার খান্ডাল দাঁড়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানির সামনে, তুমি কোনো সমাধান দিতে পারো? ফাঁকিস্তান আর্মি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, তোমার মগজে উপস্থিত বুদ্ধি ভালো খেলে!

এটেনশন পজিশনে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি বলে, আমার মনে হয়- যেহেতু আমরা আমাদের পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, কিন্তু আমাদের টার্গেট মিস্টার পাতলা মিয়া বা পাতলাদা- আমরা সেই পাতলা মিয়ার বাসায় বা কারখানা খুঁজে বের করতে পারি।

অনেকক্ষণ মেজর ইফতেখার খান্ডাল তাকিয়ে থাকে মাহবুবা দুররানির মুখের দিকে, মুখে মৃদু হাসি- সত্যি তোমার মগজে ভালো বুদ্ধি খেলে। তাকায় ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবীর দিকে, তুমি কী বলো ক্যাপ্টেন? মাহবুরা দুররানির আইডিয়া কেমন?

চমৎকার স্যার! মাথা ঝাঁকায় ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী। আমরা বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকা শহরের ম্যাপটা দেখে জুরাইন এলাকাটা খুঁজে বের করে এখনই বের হয়ে যাই।

গুড! ভেরি গুড! মেজর ইততেখার খান্ডাল অফিসারদের সামনে জাহাজের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে হাক দেয়, জামসেদ?

রুমের বাইরে অপেক্ষায় থাকা জামসেদ দ্রুত রুমে ঢোকে, স্যার?

এখনই দেয়ালের অ্যান্ড্রয়েড ও ডিজিটাল পর্দায় ঢাকা শহরের ম্যাপ দেখাও।

ইয়েস স্যার!

জামসেদ রুমের মধ্যে ছোট একটা ট্যাবের সামনে দাঁড়ায়। ট্যাবের ট্রে খুলে দুটি বাটনে চাপ দেয়, গোটা জাহাজে ইলেকট্রিক পাওয়ার ছড়িয়ে পড়ে। জাহাজ এম ভি বুড়িগঙ্গার সঙ্গে ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ছড়িয়ে যায়। আর রুমের বিশাল দেয়ালজুড়ে ঢাকা শহরের মানচিত্র পরিষ্কার ভেসে ওঠে। মেজর ইফতেখার খান্ডাল দলের সবাইকে নিয়ে মানচিত্রের সামনে দাঁড়ায়। সবার চোখ মানচিত্রের উপর আছড়ে পড়ছে।

আমরা খুঁজছি বিশাল ঢাকা শহরের পূর্বকোণে জুরাইন এলাকাটা, মেজর ইফতেখার খান্ডালের বলার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরের পূর্বকোণের জুরাইন এলাকাটা বের হয়ে আসে। ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী ডান হাতের তর্জনি রাখে একটা বিন্দুর উপর, স্যার এটাই মিস্টার পাতলা মিয়ার বাসা।

তুমি কীভাবে বুঝলে? এখানে তো কোন লেখা বা চিহ্ন নেই।

মেজর খান্ডালের প্রশ্নের উত্তরে বলে রশীদ গজনবী, করাচির সেনা হেড  কোয়ার্টারে আমাকে ঢাকা শহরের মানচিত্র দেখিয়েছে জেনারেল আশরাফ জুজুলি। নানাভাবে দেখিয়েছে, যাতে আমি ঢাকা শহরের মধ্যে ঢুকলেই সব দেখে বুঝতে পারি, আমরা কোন এলাকায় আছি।

আমাদের কোনো বিশ্রাম নেই- একটাই কাজ, পাতলা মিয়ার বাড়ি খুঁজে বের করা, বাড়ি খুঁজে বের করার পর সোনার ঘোড়া ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে আমাদের এই এম ভি করাচিতে নিয়ে আসা।

মাথা নাড়ে মেজর ইফতেখার খান্ডাল, গুড জব। তাহলে তোমরা চলে যাও এখনই। যদিও বাংলাদেশের ভেতর আমরা থাকতে পারবো সাতদিন। এই সাতদিনের মধ্যে আমাদের কোনো বিশ্রাম নেই- একটাই কাজ, পাতলা মিয়ার বাড়ি খুঁজে বের করা, বাড়ি খুঁজে বের করার পর সোনার ঘোড়া ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে আমাদের এই এম ভি করাচিতে নিয়ে আসা।

স্যার! এম ভি করাচি নয়, এম ভি বুড়িগঙ্গা! সংশোধন করে দেয় ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি।

মৃদু হাসে মেজর খান্ডাল, আমি ভুল বলিনি দুররানি। কৌশলগত কারণে এম ভি করাচিকে মাত্র সাতদিনের জন্য এম ভি বুড়িগঙ্গা রাখা হয়েছে। তাই না? আমার মগজে তো এম ভি করাচিই খেলে।

রাইট স্যার! নিজেকে সামলে নেয় ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি। স্যার এখন আমরা কী করবো?

খুব সোজা, তোমরা এই পোশাক চেঞ্চ করে উড়বার পোশাক পরে বের হয়ে যাও ঢাকা শহরের জুরাইনের দিকে। খুঁজে বের করবে মিস্টার পাতলা মিয়ার বাড়ি... কারখানা... যে করেই হোক আমি ওর সোনার ঘোড়া চাই।

কী অবাক ঘটনা- বাংলাদেশের পাতলা মিয়া বা পাতলাদা তৈরি করেছে সোনার ঘোড়া! সেই ঘোড়া যেমন মাটিতে দৌড়ায়, আবার ডানা মেলে আকাশেও ওড়ে, এমনকি পানিতেও ভাসতে পারে! এমন ঘোড়া বাংলাদেশে কেনো হবে? আমরা বানাতে পারি আর না পারি, বাংলাদেশের পাতলা মিয়ার সোনার ঘোড়া আমরা ছিনিয়ে নেবো।

স্যার?

বলো! ঘাড় বাঁকা করে তাকায় মেজর ইফতেখার খান্ডাল রশীদ গজনবীর দিকে।

যদি ছিনিয়ে নিতে না পারি?

তাহলে চুরি করে নেবো।

ঠিক বলেছেন স্যার, হয় চুরি না হয় ছিনিয়ে নেবো। কিন্তু বাংলাদেশকে কখনও সোনার ঘোড়া তৈরি করতে দেবো না।

রাইট ইউ আর, ক্যাপ্টেন ইকবাল মোজাইকের কাঁধে হাত রাখে মেজর ইফতেখার খান্ডাল। কিন্তু হাতে সময় নেই, এখনই বের হয়ে যাও, কালো বাদুরের বেশে, আকাশ থেকে আকাশে।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মিস্টার ইফতেখার খান্ডাল হাসে, শালার বাঙালি! আমাদের সঙ্গে টেক্কা! এবার ছিনিয়ে নেবো তোদের সোনার ঘোড়া।

সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল, ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি, ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী আর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক রুম থেকে বের হয়ে যায়। প্রত্যেকে নিজ নিজ রুমে গিয়ে দ্রুত কাপড় পাল্টে কালো বাদুরের মতো এক ধরনের পোশাক পরে বের হয়ে আসে, জাহাজের ডেকের উপর। রাত সাড়ে নটা। বুড়িগঙ্গা নদী। পাকিস্তানি জাহাজ এম ভি বুড়িগঙ্গার ছাদ থেকে চার চারটে মানুষ আকৃতির বিশাল বাদুর উড়তে শুরু করে ঢাকা শহরের জুরাইন এলাকার দিকে।

মেজর ইফতেখার খান্ডাল রুমে চেয়ারে শরীর এলিয়ে দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে জাহাজের বিশাল পর্দায় দেখেন, চারজন ফাঁকিস্তানি গুপ্তচরের উড়ে যাওয়া। মনে মনে প্রস্তুত থাকে মেজর খান্ডাল, কোনো খারাপ খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে এম ভি করাচি জাহাজটাকে পানির নিচে ডুবিয়ে দিতে হবে।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মিস্টার ইফতেখার খান্ডাল হাসে, শালার বাঙালি! আমাদের সঙ্গে টেক্কা! এবার ছিনিয়ে নেবো তোদের সোনার ঘোড়া। আমার দলের লোকজন ঘোড়া নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজ নিয়ে চলে যাবো পানির নিচে। নিচ থেকে চলে যাবো আরব সাগরে, সেখান থেকে বন্দর করাচি... হা হা হা.... তোরা দেখবি তোদের সোনার ঘোড়া উড়িতেছে করাচি শহরের আকাশে... হা হা হা....।

চলবে… 

কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!