বিজ্ঞান কল্পকাহিনির পথপ্রদর্শক ইংরেজ সাহিত্যিকের এ বইটি অনুবাদ করেছেন কবি কাজী শোয়েব শাবাব।
Published : 22 Feb 2025, 02:34 AM
একজন নামহীন টাইম ট্র্যাভেলার (সময় অভিযাত্রী) তার উদ্ভাবিত টাইম মেশিনে চড়ে চলে যান ভবিষ্যতে। সেখানে তিনি দুটি বিপরীত মেরুর মানবজাতি ‘এলোই’ ও ‘মরলক’-এর মুখোমুখি হন। এলোইরা নরম, নিরীহ, অলস এক জাতি, যারা প্রাচীন অভিজাত শ্রেণির বিবর্তিত রূপ।
আর মরলকরা গুহাবাসী, শক্তিশালী এবং ভয়ংকর— যারা মূলত এলোইদের শিকার করে টিকে থাকে। সময় অভিযাত্রী বুঝতে পারেন, সমাজের শ্রেণিবিভাজন কীভাবে একদিন চরম রূপ নিতে পারে।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনির পথপ্রদর্শক ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ. জি. ওয়েলসের (১৮৬৬-১৯৪৬) এ উপন্যাস শুধু টাইম ট্রাভেল নিয়ে রোমাঞ্চকর কল্পনা নয়, এটি মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি সমাজতাত্ত্বিক ভাষ্য।
এখানে ধনী ও শ্রমজীবী শ্রেণির দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ধাবিত হয়। সময় অভিযাত্রী আরও দূরবর্তী ভবিষ্যতে গিয়ে দেখে, পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব প্রায় নিঃশেষ।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনির ইতিহাসে ‘দ্য টাইম মেশিন’ একটি মাইলফলক। এটি শুধু টাইম ট্রাভেলের ধারণাকেই জনপ্রিয় করেনি, বরং ভবিষ্যতের এক সম্ভাব্য চিত্র এঁকে দেখিয়েছে। বইটি আজও পাঠকদের ভাবায়— সভ্যতা কী সত্যিই টিকে থাকবে? নাকি শ্রেণিসংগ্রামের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে?
পাঠকের এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই বইটি কিশোর উপযোগী করে অনুবাদ করেছেন কবি কাজী শোয়েব শাবাব। এবারের অমর একুশে বইমেলায় এটি প্রকাশ করেছে ‘জ্ঞানকোষ প্রকাশনী’।
বইটি সম্পর্কে কাজী শোয়েব শাবাব বলেন, “ওয়েলসের ‘দ্য টাইম মেশিন’ (১৮৯৫) শুধু বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সূচনা-প্রায় এক উপন্যাস নয়, এটি সময় ও সভ্যতার প্রকৃতি নিয়ে গভীর চিন্তার খোরাক জোগায়। কৈ মাছের মতো লাফাতে লাফাতে যে কৈশোর পার হয়ে এসেছি, সেই দুরন্ত-রোমাঞ্চকর বয়স ও সময়ের কথা ভেবে বইটি অনুবাদ করেছি।”
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন তানভীর আহমেদ রিও। মুদ্রিত মূল্য ১৪০ টাকা।