“নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চাপ কমবে। আমার আর এত প্রাইভেট, কোচিংয়ের পিছনে দৌঁড়াতে হবে না।”
Published : 09 Jan 2023, 03:07 PM
প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান নিয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষা বিভাগ বলছে পরীক্ষামূলক পাঠদানে অভুতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় আশাবাদী তারা।
নেত্রকোণা জেলায় প্রথম শ্রেণীতে ৪৯ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ৯৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসাও কারিগরি মিলিয়ে এক হাজার ৭০০ বিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৫৮৭ জন শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করবেন।
জেলা শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় নতুন আদলে দেয়া হবে পাঠদান। এক বছর ধরে জেলার মনসুরপুর আব্দুল হামিদ তালুকদার ও বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলক পাঠদানে মিলেছে সফলতা। এই পাঠক্রমে শিক্ষার্থীদের কমবে পরীক্ষার প্রতিযোগিতা। অতিরিক্ত পড়ার চাপ থেকেও রেহাই পাবে তারা।
জেলা শহরের নাগড়া এলাকার শিক্ষার্থী চয়ন সাহা। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
নতুন শিক্ষাক্রম প্রসঙ্গে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে চয়ন বলছিল, “নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চাপ কমবে। আমার আর এত প্রাইভেট, কোচিংয়ের পিছনে দৌঁড়াতে হবে না।”
শহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা মো. শহীদুল্লাহ। তার মেয়ে স্কুলে পড়ে।
এই অভিভাবক হ্যালোকে বলেন,“মেয়ের পড়াশোনার চাপ এত বেশি। তাদেরকে প্রাইভেট আর কোচিংয়ের পিছনেই টাকা ঢালতে ঢালতে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। পোলাপানগুলিও এত চাপ নিতে পারতাছিল না। নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে আমরাও বাঁচলাম। আমরার সন্তানেরাও বাঁচল। হেরা এখন হাসতে হাসতে খেলতে খেলতে পড়াশোনা শেষ করবে। এই পদ্ধতিটা আমরার লাইগ্যা খুবই ভালা অইছে।”
শহরের জাহানারা স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে হ্যালো।
তিনি বলছিলেন,“নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠদানে আমরা প্রস্তুত।আমাদের শিক্ষকদের আগের নেয়া প্রশিক্ষণ নতুন পাঠদানে সহায়তা করবে। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে সফল পাঠদানের জন্য দরকার প্রশিক্ষণের।”
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলভাবে নতুন পাঠ্যক্রমে পাঠদানে শিক্ষাবিভাগপ্রস্তুত আছে বলে জানান সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমদাদুল হক।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর হ্যালোকে বলেন, “ইতোমধ্যে নেত্রকোণায় পরীক্ষামূলকভাবে দুটি স্কুলে পাঠদানে সফলতা পেয়েছি। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নেত্রকোণা।