“একজন শিশুর যদি ১৩ বা ১৪ বছর বয়সে বিবাহ হয় তাহলে সে পড়াশোনার বাইরে চলে আসে এবং তাকে একটি কঠিন জীবনে প্রবেশ করতে হয় যে জীবনের জন্য সে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়।”
Published : 28 Dec 2022, 06:09 PM
বাল্যবিয়ে হলে একটি কিশোরী শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমনকি তার গর্ভের সন্তানও ঝুঁকিতে পড়ে। ১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে আর কী কী সমস্যা হয় তা নিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাগেরহাটের সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বকশী।
হ্যালো: শিশু বিবাহের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রদীপ কুমার বকশী: আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছ। এটি এই সময়ের জন্য উপযোগী প্রশ্ন। বাংলাদেশে শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে যদি কোনো শিশুর বিবাহ হয় সেটা আমরা বাল্যবিবাহ বলছি। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি ২১ বছর।
বাল্যবিবাহের পর যদি কোনো কিশোরী মা হয় তবে তার শারীরিক, মানসিক সমস্যা হয়। এছাড়া তার গর্ভস্ত সন্তানেরও কিন্তু শারীরিক সমস্যা হতে পারে। একজন শিশুর যদি ১৩ বা ১৪ বছর বয়সে বিবাহ হয় তাহলে সে পড়াশোনার বাইরে চলে আসে এবং তাকে একটি কঠিন জীবনে প্রবেশ করতে হয় যে জীবনের জন্য সে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়।
স্বামীর-সংসার এবং পরিবারের যে বোঝা তার কাঁধে চাপানো হয় সেজন্য তো পড়াশোনা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আল্টিমেটলি সে ঝরে পরা শিশুর তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলে। যার পরবর্তী জীবনে পড়াশোনা করে বড় হয়ে দেশের ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথা তাকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। এতে আমরা আলটিমেটলি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাব।
আর শারীরিক সমস্যার কথা যদি বলি তাহলে বলতে হয় গর্ভধারণের সময় সে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগে। তার রক্তস্বল্পতা তৈরি হয় এবং এই অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতার জন্য গর্ভস্ত সন্তানও অপুষ্টিতে ভোগে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: বাগেরহাট।