আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো, প্রতি বছর বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করে আসছে।
Published : 21 Mar 2025, 11:24 AM
বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানাতে ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু কেন এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হল?
এটা জানতে ফিরে যেতে হবে ১৯৬০ সালে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সে বছরের ২১ মার্চ বর্ণবাদী আইন পাশের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ। সেদিন শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালায় পুলিশ। আর এর ফলে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে ৬৯ জন আন্দোলনকারী। এই ঘটনাটি ‘শার্পভিল গণহত্যা’ নামে পরিচিত।
পুলিশের এমন নির্মমতা সারা বিশ্বকে নাড়া দেয়। তাই দরকার ছিল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেরিতে হলেও এই আত্মত্যাগের স্বীকৃতি মিলেছে।
ঘটনার ছয় বছর পর ১৯৬৬ সালে ২১ মার্চকে 'আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস' ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
এর এক যুগ পর ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বর্ণবাদবিরোধী লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে।
তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তখন সিদ্ধান্ত হয় যে ২১ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ ধরে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হবে। যা পালন করা হবে বিশ্বের সব দেশে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো, প্রতি বছর বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করে আসছে।
তবে, এখনো বিশ্ব থেকে বর্ণবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে এমন এক সমাজ যেখানে গায়ের রং, জাতিগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা হবে না। মানুষকে বিবেচনা করা হবে তার কর্ম ও গুণাবলীর মাধ্যমে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।