Published : 03 Jul 2024, 06:22 PM
প্রতি বছর বাংলাদেশের অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের মতে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। পানিতে ডোবা শিশু বা ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে বেঁচে যেতে পারে অনেক জীবন।
চতুর্থ শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বইয়ে পানিতে ডোবা ব্যক্তিকে উদ্ধার ও তার প্রাথমিক চিকিৎসার কথা বলা আছে। বইয়ে বলা হয়েছে, কাউকে পানিতে ডুবে যেতে দেখলে সম্ভব হলে তার দিকে লাঠি বা দড়ি এগিয়ে দিতে হবে যা ধরে সে পাড়ে উঠে আসতে পারে। অথবা শুকনো কাঠ বা কলাগাছ ভাসিয়ে দেয়া যায় যা তাকে ভেসে থাকতে সাহায্য করবে।
তবে কাউকে বাঁচাতে গিয়ে কোনোভাবেই পানিতে ঝাঁপ দেওয়া যাবে না। সাঁতার জানা থাকলেও না। এতে যে বাঁচাতে যাবে সেও ডুবে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো শিশু যদি কাউকে পানিতে ডুবে যেতে দেখে তাহলে সে বড় কাউকে বিষয়টা জানাবে, যাতে তারা ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারে।
পানি থেকে তোলার পর প্রথমেই খেয়াল করতে হবে সে নিশ্বাস নিতে পারছে কিনা। যদি তার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ থাকে তবে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত সিপিআর বা কৃত্রিমভাবে শ্বাস প্রশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সিপিআর দেওয়ার জন্য রোগীকে চিৎ করে শুইয়ে দিতে বলা হয়েছে। এরপর থুতনি আলতো করে উপরের দিকে তুলে ধরে মুখে কয়েকবার ফু দিতে হবে যতক্ষণ না রোগীর বুক ফুলে উঠে। এরপর তাকে শ্বাস ত্যাগের জন্যও সময় দিতে হবে। ফুঁ দেয়ার পর তার বুকে ৩০ বার চাপ দিতে হবে। এভাবে ফু ও চাপ দেয়া চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।