আমার কাছে ম্যারাথন মানে শুধু দৌড় নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটি উপায়।
Published : 09 Apr 2025, 08:35 PM
ঈদের ছুটিতে ফেইসবুকের নিউজ ফিড স্ক্রল করতে করতে একটা পোস্ট আমার নজরে আসে। জানতে পারি, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় একটি মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। আমি তখনই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেব বলে সিদ্ধান্ত নিই।
শরীরচর্চা আর স্বাস্থ্য নিয়ে এখন আমি বেশ সচেতন। কারণ, কয়েক মাস আগেও আমি স্থূলতার সমস্যায় ভুগছিলাম। সুষম খাবার খেয়ে আর শরীর চর্চার মাধ্যমে ওজন কমাতে পেরেছিলাম অনেকটাই। এর ফলে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ঈদের আগেই পরিকল্পনা করি যে, ম্যারাথনে অংশ নেব। প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিলের ৪ তারিখ। অংশ নিতে আমরা আগের দিন খুব সকালে বগুড়া থেকে নওগাঁর রাণীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
সেখানে পৌঁছে ভাবছিলাম, আশেপাশে কোথাও যদি একটু ঘুরে আসা যেত। তখনই মনে পড়ে গেল পাহাড়পুরের কথা। ইতিহাসের প্রতি আমার প্রবল টান রয়েছে। তাই যেই ভাবা, সেই কাজ। সবাই মিলে পাহাড়পুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সেখানে পৌঁছেই যেন হারিয়ে গেলাম ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায়ে। সোমপুর মহাবিহারের সামনে দাঁড়িয়ে অনুভব করতে লাগলাম, আমি এমন এক স্থানে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শত শত বছর আগে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মচর্চা করতেন, পড়াশোনা করতেন, শান্তির খোঁজ করতেন। সেই প্রাচীন দেয়ালগুলো যেন এখনও অতীতের গল্প বলছিল আমাদের।
পরদিন ৪ এপ্রিল, অর্থাৎ ম্যারাথনের দিন। এদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সব প্রস্তুতি সেরে নিই। তারপর পৌঁছে গেলাম ম্যারাথনের ভেন্যু রাণীনগর মহিলা কলেজ মাঠে।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ম্যারাথন শুরু হয় রাণীনগরের রেলগেইট এলাকা থেকে।
প্রায় চার শতাধিক প্রতিযোগী ম্যারাথনে অংশ নেয়। আমি কোনো স্থান অর্জন করিনি, তবে আমার লক্ষ্য ছিল শেষ পর্যন্ত দৌড় শেষ করা। অবশেষে আমি তা পেরেছি এবং ফিনিশার মেডেল অর্জন করি।
আমার কাছে ম্যারাথন মানে শুধু দৌড় নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর একটি উপায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: বগুড়া।