‘মাঝে মাঝে একঘেয়েমি লাগলে আঁকাআঁকি করি বা ঘর সাজাই, যা মনকে প্রশান্তি দেয়।’
Published : 23 Mar 2025, 08:15 PM
রোজার মাস এলে আমাদের অনেকেরই দিনলিপি বদলে যায়। দিনের শুরু ও শেষ হয় একেবারে ভিন্নভাবে। আমার বেলাতেও এমনটাই ঘটে থাকে।
তবে এবারের রোজায় সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল—এবার আমি বাড়িতে নেই। পড়াশোনার জন্য ঢাকায় এক ছাত্রীনিবাসে থাকছি।
এখানে সেহরির জন্য রাতের শেষ ভাগে ঘুম থেকে উঠি। খাওয়া শেষে ফজরের নামাজ পড়ি। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই, যাতে সারাদিন ক্লান্তিভাব না আসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনায় মন দিই। কারণ ঈদের পরপরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পড়তে পড়তে দুপুর হয়ে যায়। মাঝে মাঝে একঘেয়েমি লাগলে আঁকাআঁকি করি বা ঘর সাজাই, যা মনকে প্রশান্তি দেয়। দুপুরে আবার কিছু সময় বিশ্রাম নিই, যেন বিকেলে নতুনভাবে প্রস্তুত হতে পারি।
বিকেলের পর পর ইফতার তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়। এখানে বাড়ির মত ইফতার তৈরি করা সম্ভব না হলেও বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করা হয়। এটা বেশ আনন্দের।
ইফতারের পর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়তে বসি। রাতে পড়া শেষ করে দ্রুত ঘুমাতে যাই, যাতে সেহেরির জন্য উঠতে কষ্ট না হয়।
পরিবারের সঙ্গে রোজার দিন কাটানোর অনুভূতি ছাত্রীনিবাসে পাওয়া না গেলেও এখানে নতুন এক অভিজ্ঞতা হচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করা, নামাজ পড়া, নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করা, পড়াশোনার চাপ—সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও সময়টা ভালোই কাটছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।