‘আমার উপার্জিত টাকা সাধারণত পড়াশোনার খরচ ও নিজের জন্য ব্যয় করি। তবে এবার ঈদে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করেছি।’
Published : 23 Mar 2025, 09:49 PM
নওগাঁর সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চকবুলাকী গ্রামে আমার বাড়ি। বাবা স্থানীয় একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত, মা গৃহিণী। আমরা দুই ভাই, এক বোন। আমি সবার ছোট।
প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পর বুঝতে পারি, বাবার স্বল্প আয় দিয়ে সংসার চালানো এবং আমাদের পড়াশোনার খরচ মেটানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই নিজেও উপার্জনের পথ খুঁজতে শুরু করি।
একদিন এক বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে পরিচয় হয়, যিনি একটি মোবাইল অপারেটরের সিম বিক্রির কাজ করতেন। তিনি আমাকে সিম বিক্রির সুযোগ দেন। ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত কাজও শিখে নিই। এখন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলা ও অন্যান্য সেবা দেই।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে আমার একটি ছোট দোকান রয়েছে। স্কুলের সময় ছাড়া সেখানে বসি এবং প্রয়োজনে মানুষের বাসায় গিয়ে সেবা দিয়ে থাকি।
আমার উপার্জিত টাকা সাধারণত পড়াশোনার খরচ ও নিজের জন্য ব্যয় করি। তবে এবার ঈদে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করেছি।
আয় থেকে এবার আমার বোনকে কিছু উপহার দেব, অসহায় কিছু মানুষকে ঈদ সামগ্রী কিনে দেব এবং বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেব। এছাড়াও অনাথ শিশুদের কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
নিজের উপার্জনের অর্থ দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।