“সহায়তা হ্রাস পেলে এসডিজির মাতৃস্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে।”
Published : 09 Apr 2025, 06:00 PM
বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে এলেও, এখন উন্নয়ন অংশীদাররা পর্যাপ্ত তহবিলের জোগান না দিলে মাতৃস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ।
মঙ্গলবার হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের সংস্থা তিনটি এই আশঙ্কার কথা জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রকাশিত ‘ট্রেন্ডস ইন ম্যাটারন্যাল মরটালিটি’ শীর্ষক জাতিসংঘের নতুন বৈশ্বিক প্রতিবেদনে মাতৃমৃত্যু কমার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অগ্রগতির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। যেখানে ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু বছরে গড়ে ৭ শতাংশ করে কমার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অগ্রগতি অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রমাণ তুলে ধরে। অবশ্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যে বৈশ্বিক উদ্বেগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের এই সব অর্জন এখন হুমকির মুখে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের ওআইসি প্রতিনিধি স্ট্যানলি গোয়াভুয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই অর্জন শুধু সরকারের প্রতিশ্রুতি নয়, উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তার ফল। কিন্তু এই সহায়তা হ্রাস পেলে এসডিজির মাতৃস্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহমেদ জামশিদ মোহামেদ বলেন, “আমরা জানি এখনও প্রান্তিক, দরিদ্র এবং গ্রামীণ নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারে বৈষম্য রয়েছে। প্রতিটি নারীর জন্য সমান সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।”
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, “বর্তমানে তহবিলের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বব্যাপী যে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে তা এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরুপ। প্রতিটি নারী যেন মানসম্মত ধাত্রী সেবা পান, যেটা কিনা তার প্রয়োজন ও প্রাপ্য। সেটা নিশ্চিতে ধাত্রী সেবা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে, অব্যাহত রাখা এবং এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।